কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। ছবি- সংগৃহীত।
হারের ভয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর এখন ভরসা হয়েছে লাঠি!
রবিবার এই ভাবেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিকে বিঁধলেন কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। বললেন, ভোটে (বিধানসভা নির্বাচন) হেরে যাওয়ার ভয়ে এখন হিংসা ছড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন রাহুল গাঁধীর অফিসের একটি টুইটে বলা হয়েছে, ‘‘গুজরাত পুলিশ গতকাল রাজকোটে আমাদের দলের দুই প্রার্থী ইন্দ্রনীল রায়গুরু ও মিতুল ডোঙ্গার ওপর হামলা চালিয়েছে। রাজ্যে যারা ভয় আর দুর্নীতির ‘শাহ যুগ’ ( পড়ুন, অমিত শাহ) এনেছে, ওই দু’জন তার বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করে চলেছেন বলেই ভয় দেখাতে হামলা চালানো হয়েছে। মানুষ ভয় পেলেই হিংসায় উন্মত্ত হয়ে ওঠে। ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ই রুপানিকে (গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি) লাঠির ওপর ভরসা করতে বাধ্য করছে।’’
আরও পড়ুন- ‘কংগ্রেসকে হাড়ে হাড়ে চেনে উত্তরপ্রদেশ, চেনে গুজরাতও’
আরও পড়ুন- বিনা যুদ্ধেই ১৬০০ সেনা প্রাণ হারান এ দেশে
শনিবার রাজকোটে একটি ব্যানার টাঙানো নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বাদানুবাদকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি। পশ্চিম রাজকোট আসনের কংগ্রেস প্রার্থী ইন্দ্রনীল রায়গুরুর ভাই দিব্যনীল রায়গুরু নিগৃহীত হন। তাঁর মাথায় চোট লাগে। অভিযোগ, পুলিশকে পাশে নিয়ে বিজেপি কর্মীরাই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে ইন্দ্রনীল পূর্ব রাজকোট আসনের কংগ্রেস প্রার্থী মিতুল ডোঙ্গা ও দলীয় কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির বাড়ির সামনে। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে তাঁদের বক্তব্য শোনার দাবি জানান। তার পরেই মারমুখী হয়ে ওঠে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ করতে আধাসেনাদের নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর বেধড়ক লাঠি চালায় পুলিশ। ইন্দ্রনীল, মিতুল সহ বেশ কয়েক জন কংগ্রেস কর্মীকে আটকও করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy