রাহুল গাঁধী ও নরেন্দ্র মোদী।
সমালোচনা করতে গিয়েও চিনের নাম উচ্চারণ না করার জন্য ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রশ্নের মুখে। শনিবার নাম না করেই লাল কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় চিনের সমালোচনা করেছিলেন। পাকিস্তানেরও নাম না করে তার সন্ত্রাসবাদ ও চিনের সম্প্রসারণবাদকে একই বন্ধনীতে টেনেছিলেন। কিন্তু চিনের নাম উচ্চারণ না করার জন্য আজ রাহুল গাঁধী-সহ কংগ্রেস নেতারা মোদীকে নিশানা করলেন। চিনের নাম মুখে না আনাকে ‘কাপুরুষতা’ তকমা দিয়ে রাহুলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর এই কাপুরুষতার সুযোগ নিয়েই চিন ভারতের জমি দখল করেছে।
লাল কেল্লা থেকে মোদী বলেন, নিয়ন্ত্রণরেখা বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা- সীমান্তে দেশের সার্বভৌমত্বকে যখনই কেউ চ্যালেঞ্জ করেছে, ভারতীয় সেনা জবাব দিয়েছে। আজ রাহুল বলেন, “সকলেই ভারতীয় সেনার বীরত্বে বিশ্বাসী। শুধু প্রধানমন্ত্রী ব্যতিক্রম।”
প্রধানমন্ত্রী এর আগে দাবি করেছিলেন, কেউ ভারতের এলাকায় ঢোকেনি। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে যখন লাদাখে অনুপ্রবেশ করা চিনের সেনাকে পিছু হটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রীর ওই দাবিতে চিনেরই সুবিধা হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। কারণ চিনের সামনে ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করার সুযোগ এসে যায়। প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে বক্তৃতা সংশোধন করতে হয়। রাহুলের যুক্তি, “প্রধানমন্ত্রীর কাপুরুষতার জন্যই চিন ভারতের জমি দখল করেছে। তাঁর মিথ্যের জন্য চিন তা নিজের দখলে রেখে দেবে।”
সেনা সূত্র বলছে, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে একাধিক স্থান জবরদখল করে বসে থাকা চিন সেনা পর্যায়ে একাধিক বৈঠকের পরেও অবস্থানে অনড়। ফলে প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লা থেকে কী বার্তা দেন তা নিয়ে আগ্রহ ছিলই। মোদী বলেন, যারাই নিয়ন্ত্রণরেখা হোক বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল, আমাদের সাহসী সেনারা তাদের জবাব দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার মতে, সকলের সরকারকে প্রশ্ন করা উচিত কী ভাবে চিনের সেনাকে পিছনে ঠেলে আমাদের ভৌগোলিক সার্বভৌমত্ব রক্ষা হবে! কেন ক্ষমতায় বসে থাকা ব্যক্তিরা চিনের নাম মুখে আনতেও ভয় পাচ্ছেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy