—ফাইল চিত্র।
রাফাল নিয়ে রাহুল গাঁধীর মুখোমুখি চ্যালেঞ্জ স্বীকার করেননি প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যেই অনিল অম্বানীর সংস্থাকে ফ্রান্স ১১০০ কোটি টাকা কর মকুব করেছিল বলে জানিয়েছে সে দেশের একটি সংবাদপত্র। চাপ বাড়াতে এ বারে নরেন্দ্র মোদী আর ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের কথোপকথন সামনে আনার দাবি তুলল কংগ্রেস।
গতকালই ফরাসি সংবাদপত্র ‘ল্য মোঁদ’ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, দাসো সংস্থার থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ঘোষণার কয়েক মাস পরেই ফরাসি সরকার অনিল অম্বানীর কর মকুব করেছে। যদিও তার আগে তদন্ত করে অনিলের সংস্থার বকেয়া কর মেটানোর দাবি তুলেছিল ফ্রান্স। গতকাল কংগ্রেস এ নিয়ে সরব হয়। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের শরিক দলের নেতা শরদ পওয়ার রাফাল নিয়ে তোপ দাগেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, ‘‘রাফাল চুক্তি প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। তাই তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।’’
রাহুল গাঁধী গোড়া থেকেই রাফালে ‘চুরি’ নিয়ে সভায় সভায় খড়গহস্ত হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ থেকেই উৎপত্তি হয়েছে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানের। যা এখন রীতিমতো বিড়ম্বনায় ফেলেছে নরেন্দ্র মোদীকে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
‘আমিও চৌকিদার’ নামে পাল্টা অভিযান শুরু করতে হয়েছে তাঁকে। প্রতি সভাতেই তা বলছেন। কিন্তু এরই মধ্যে নতুন রিপোর্ট ও শরদ পওয়ারের মন্তব্য বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। যে পওয়ার মাস কয়েক আগে রাফাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছিলেন।
পওয়ারের অতীতের সেই মন্তব্যকে নিয়ে জয়ধ্বনি করেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। কিন্তু এখন সেই পওয়ারের গলায় উল্টো সুর আরও বিপাকে ফেলছে বিজেপিকে। বিশেষ করে যখন মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপি জোটে লোকসান দেখছে নরেন্দ্র মোদীর দল। রাহুলের বদলে তাই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আজ পওয়ারকে জবাব দিয়েছেন। টুইট করে অমিত শাহ বলেন, ‘‘আপনিও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পওয়ার সাহেব, আপনার থেকে এর থেকে ভাল কিছু প্রত্যাশা করা যায়। আসন নিয়ে আপনার পরিবারের লড়াই আপনাকে অস্বস্তিতে রেখেছে, তাই মিথ্যে প্রচার করছেন। আর ছাড়ার (পর্রীকরের মন্ত্রক ছাড়া) কথাই যদি বলেন, তাহলে মনে করে দেখুন আপনি কেন কংগ্রেস ছেড়েছিলেন? আর তার পরেই
বা কী হয়েছিল?’’
কিন্তু কংগ্রেস না দমে আক্রমণের ধার আরও বাড়াচ্ছে। আনন্দ শর্মা আজ বলেন, ‘‘রাষ্ট্রনায়কেরা একা কথা বললেও সে আলাপচারিতার নোট রাখা হয়।
রাফাল চুক্তির সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, সেটি প্রকাশ্যে আনুক সরকার। কারণ, এখনও পর্যন্ত ওলাঁদ যা বলেছেন তা খন্ডন করেননি প্রধানমন্ত্রী।’’
প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ দাবি করেন, রাফাল চুক্তিতে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে ‘অফসেট পার্টনার’ করতে অনুরোধ করেছিল ভারত সরকারই। পরে অবশ্য ফরাসি সরকার ও দাসো সংস্থার তরফে সেই বক্তব্য খণ্ডন করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy