Advertisement
১১ মে ২০২৪

পাক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সার্কই মঞ্চ নয়াদিল্লির

সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে ইসলামাবাদ যাচ্ছেন রাজনাথ সিংহ। অগস্ট মাসের ৪ তারিখ পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুর চ়ড়াতে চায় ভারত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি ও শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৬ ০৪:০৪
Share: Save:

সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে ইসলামাবাদ যাচ্ছেন রাজনাথ সিংহ। অগস্ট মাসের ৪ তারিখ পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুর চ়ড়াতে চায় ভারত।

কাশ্মীরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পাকিস্তান প্রবল ভাবে আক্রমণ করে চলেছে সাউথ ব্লককে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা কাশ্মীরে ভারতের ‘সেনা আগ্রাসন’ নিয়ে অভিযোগ তুলেছে। তার পরে পাল্টা তোপ দেগেছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এই পরিস্থিতিতে রাজনাথ আদৌ ইসলামাবাদ যাবেন কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়। বিষয়টি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখে ভারতও। তবে এখন স্থির হয়েছে পাকিস্তানের মাটিতেই সার্কের অন্য সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সন্ত্রাস নিয়ে সরব হতে হবে। সরকারি সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে পঠানকোট হামলার কথা বলবেন রাজনাথ। জানাবেন লস্কর প্রধান হাফিজ সইদ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত জঙ্গি হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানে খুল্লমখুলা প্রচার চালাচ্ছেন। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে রীতিমতো জনসভা করেছিলেন সইদ ও হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাহউদ্দিন। তাতে বুরহানের প্রশংসা করার পাশাপাশি জেহাদ চালিয়ে যাওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছিল। পরে আবার কাশ্মীর নিয়ে মাঠে ফয়সালা করারও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।

প্রায় একই সময়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরেই দাঁড়িয়ে বুরহানের প্রশংসা করেছিলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এ ভাবে তিনি সরাসরি জঙ্গিদের মদত দিয়েছেন বলেই মনে করে দিল্লি। কাশ্মীর নিয়ে কালা দিবসও পালন করেছে পাকিস্তান। সার্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে রাজনাথ বোঝাবেন, সন্ত্রাসে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদতের ফলে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। তবে পাক নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও আলাদা বৈঠক করবেন না তিনি।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, সার্ক বৈঠকে যোগ দিলে বোঝানো যাবে যে এলাকার উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে যোগ দিতে ভারতের সমস্যা নেই। বরং সার্কের মতো বহুপাক্ষিক মঞ্চ থেকেই অর্থনীতি ও নিরাপত্তার মতো নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে চায় তারা।

তিন দিন ধরে লাহৌরে একটি বৈঠক করেছে ভারত এবং পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতিনিধিরা। সেখানেও সীমান্তপারের সন্ত্রাস বন্ধ করাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন বিএসএফের ডিজি। পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি কাশ্মীরের ক্ষতে মলম লাগানোর কাজও শুরু করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, ‘‘আমার ধারণা বুরহান ওয়ানি সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য বাহিনীর কাছে ছিল না।

তা হলে তাকে হত্যা করা হত না।’’ মেহবুবার দাবি, ‘‘কাশ্মীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছিল। এই ঘটনার পরে ফের অশান্তি বেড়েছে। তাই আমার মনে হয় বুরহান সম্পর্কে জানলে বাহিনী তাকে বাঁচার সুযোগ দিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

SAARC Pakistan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE