প্রতীকী ছবি।
একটি মাদ্রাসার পানীয় জলে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির স্ত্রী সালমা আনসারি ওই মাদ্রাসার ডিরেক্টর। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রার চাচা নেহরু মাদ্রাসায়।
টাইমস্ অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই মাদ্রাসায় ছাত্র সংখ্যা ৪ হাজার। শনিবার আফজল নামে এক ছাত্র জল খেতে যায়। মাদ্রাসার পিছন দিকে একটি অংশে ঠান্ডা পানীয় জলের মেশিনটা রাখা। আফজলই প্রথমে দেখতে পায়, এক ব্যক্তি কিছু সাদা ট্যাবলেট ওই জলে মেশাচ্ছে। আর এক জন তার পাশে বসে রয়েছে। কী করছে জানতে চাওয়ায়, আগ্নেয়াস্ত্র বের করে আফজলকে হুমকি দেয়। ভয়ে দৌড়ে ক্লাসে চলে যায় সে। তার কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর মাদ্রাসার নিরাপত্তারক্ষী এবং শিক্ষকেরা ছুটে যান পানীয় জলের মেশিনটার কাছে। কিন্তু তত ক্ষণে উধাও হয়ে গিয়েছে।
বিষয়টি শোনার পরই সালমা আনসারি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। মাদ্রাসাতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আলিগড়ের এসপি রাজেশ পান্ডে বলেন, ‘‘ওই জলের নমুনা ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। যাতে আর এমন কোনও ঘটনা না ঘটে, সে জন্য নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক করা হয়েছে। পানীয় জলের জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে এবং সমস্ত ছাত্রদের জন্য বিকল্প জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’’ কেন এ রকম কাণ্ড ঘটানো হল তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: মোদীর বার্থডে গিফট্, ৪০০টি ৬৮ পয়সার চেক!
ইঁদুর মারার বিষ শরীরে প্রবেশ করলে কী ক্ষতি হতে পারত?
আলিগড় জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজের মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার এথিশ্যাম আহমেদ জানান, এই বিষ পেটে গেলে মানুষ সাধারণত মারা যায় না। তবে ভীষণ ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু ওই বিষের সঙ্গে অ্যান্টি কোয়াগুলেন্ট মেশানো হলে তার বিষক্রিয়া মারাত্মক আকার নেবে। রক্ত জমাট বেঁধে মানুষের মৃত্যু ঘটবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy