কলকাতায় এসে প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানালেন সুমিত্রা মহাজন। —নিজস্ব চিত্র
পূর্বসূরির প্রয়াণ। অন্তিম শ্রদ্ধা জানাতে এসে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না, কেঁদে ফেললেন লোকসভার বর্তমান স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সুমিত্রা সোমবার সোমনাথবাবুর বাড়িতে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘উনি ছিলেন দাদার মতো। অভিভাবকের মতো। সমস্যায় পড়লেই পরামর্শ নিতাম। কিন্তু এখন আর কাকে ফোন করব?’’
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় যখন লোকসভার স্পিকার, সুমিত্রা মহাজন তখন সাংসদ। মাঝে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের সময় মীরা কুমার। তার পর এখন সেই সুমিত্রাই স্পিকারের চেয়ারে। প্রাক্তনের মৃত্যুতে কলকাতায় এসে অন্তিম শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলেন বর্তমান। শ্রদ্ধা জানানোর সময়ই স্মৃতিচারণ করলেন স্পিকার সোমনাথ থেকে নিজে স্পিকার হওয়ার সময়কালের অনেক কিছুই। গলা বুজে এল যখন বলছিলেন, ‘‘আমরা বিরোধী দলের সাংসদ ছিলাম। যখনই হইচই করতাম, উনি শুধু চোখে চোখ রেখে বলতেন, ‘নো-নো, ইউ শুড নট’। এখনও তাঁর সেই কথা কানে বাজে।’’
দেখুন ভিডিয়ো।
আরও পডু়ন: আমরাই বাবার দেহে সিপিএমের পতাকা রাখতে দিইনি, বললেন সোমনাথ-কন্যা
আরও পড়ুন: দ্বিধাথরথর সিপিএম, ৫ ঘণ্টা পর এল শোকবার্তা
স্মৃতির সরণি বেয়ে সুমিত্রা এ বার চলে এলেন নিজের স্পিকার হওয়ার সময়ের দিনগুলিতে। তিনি বললেন, ‘‘আমি স্পিকার হওয়ার পর প্রথম ফোন করেছিলেন যিনি, তাঁর নাম সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তার পর থেকে যখনই সমস্যায় পড়েছি। বিরোধী দলের সাংসদ হলেও কোনও দিন নিরাশ করেননি। বরং ছোট বোনের মতো সব সময় গাইড করেছেন। সংসদ সঠিক পথে চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন।’’ এর পরেই সুমিত্রার আক্ষেপ, ‘‘এখন আর কাকে ফোন করব?’’
এ ছাড়াও এদিন সুমিত্রা বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য এক বিরাট ক্ষতি। তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের প্রতি নিষ্ঠাশীল।’’
দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy