রাহুলকে চুমু, মিম মোদীকে

ভরা লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীকে আলিঙ্গন করে চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে। আজ তাঁর চমকে যাওয়ার পালা।

গুজরাতের বলসরে সভা করছিলেন রাহুল গাঁধী। একদল মহিলা ফুল, মালা নিয়ে অভিনন্দন জানাতে এলেন। রাহুল উঠে দাঁড়ালেন হাসিমুখে। নিমেষের মধ্যে কাণ্ডটা ঘটে গেল। গোলাপি শাড়ি পরা এক মহিলা রাহুলের গলা ধরে টেনে গালে সটান চুমু খেয়ে বসলেন। আদর করে দিলেন চিবুক ধরে। রাহুল হাসিটি ধরে রাখলেও তত ক্ষণে লজ্জায় রাঙা। ভ্যালেন্টাইন দিবসে ভিডিয়োটি ভাইরাল হতে দেরি হল না।

ভোটের বাজারে এ বারের প্রেমদিবস অবশ্য সরগরম ছিল রাজনৈতিক মিম-এর ছড়াছড়িতে। সেখানেও টেক্কা দিয়েছে কংগ্রেসই। মোদী-অমিত তো বটেই, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের ধরে ধরে মিম বানিয়েছে তারা। লাল রঙের হৃদয় চিহ্নের মধ্যে এক-এক জনের কার্টুন। সঙ্গে লাগসই টিপ্পনী। নীচে লেখা, ‘হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে’। যেমন, অমিত শাহর মিম বলছে, ‘তুমি কি বি‌ধায়ক? তা হলে তোমার সঙ্গে ঘোড়ার ব্যবসা করব!’ যোগী আদিত্যনাথমের মিম বলছে, ‘আজসে তুমহারা নাম ‘মেরি’ হ্যায়’!

স্বয়ং মোদীর মিম রাফালে মোড়া। সে বলছে— ‘তুমি কি অনিল অম্বানী? তা হলে আমি তোমার চৌকিদার হতে চাই!’ ইন্সটাগ্রামে সেই মিম পোস্ট করে সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল চৌকিদার, চোরি চোরি চুপকে চুপকে’! কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া টিম-এর নেত্রী দিব্যা স্পন্দনা একটি ব্যঙ্গাত্মক ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন। সেখানে ‘সেরা প্রেমকাহিনি’ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে মোদী-অনিলকে। দু’জনে রাফাল চেপে চলেছেন আর গুঁড়িয়ে যাচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা চুক্তির স্বচ্ছতার মতো শব্দগুলো!

বিজেপি আসরে নামে একটু দেরিতে। তারা কংগ্রেসেরই আদলে সনিয়ার মিম বানিয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, ‘‘তুমি কি প্রতিরক্ষা চুক্তি? তা হলে আমি কমিশন নেব!’’ বিজেপি বরং অনেক বেশি মন দিয়েছে সরাসরি ভোট চাওয়ার খেলায়। একাধিক মিম-এ দেখা যাচ্ছে প্রেমিক বা প্রেমিকা কংগ্রেসকে ভোট দিতে চাইলে তাকে পাহাড় থেকে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বা জুতোপেটা করা হচ্ছে!