সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
মুর্শিদাবাদের তারিকুল শেখ ও রেজাউল হক। মালদার দুলাল শেখ ও বীরভূমের শেখ জাহিরুদ্দিন। চার জনেরই দাবি, সুদীপ্ত সেনের সারদা-য় লগ্নি করে তাঁরা টাকা খুইয়েছেন। সারদার এই আমানতকারীরা এ বার আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সোমবার সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর মন্তব্য, ‘‘আমরা এই মুহূর্তে চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত দেখভালের জন্য নজরদারি কমিটি তৈরি করতে ইচ্ছুক নই।’’
সারদা-রোজ ভ্যালির মতো বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারিতে সুপ্রিম কোর্টই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে না বলে আগেও মূল মামলাকারীরা সুপ্রিম কোর্টের নজরদারির দাবি জানিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট তখনই সেই আর্জিতে কান দেয়নি। সিবিআই জানিয়েছিল, তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছে, চার্জশিটও জমা পড়েছে। রাজ্য তদন্তে বাধা দিচ্ছে বলেও সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ এসেছে। কিন্তু এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সিবিআই বা রাজ্যের বক্তব্য শোনার আগেই আমানতকারীদের আর্জি খারিজ করে দেয়। সারদা-য় সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা করার পিছনে আব্দুল মান্নানের মতো কংগ্রেস নেতা এবং বিকাশ ভট্টাচার্যের মতো বাম নেতাদের উদ্যোগ ছিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সে সময় একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। এ বার সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত দাবির পিছনে কার উদ্যোগ রয়েছে, তা নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy