সনিয়া গাঁধী। ফাইল চিত্র।
পনেরো বছর আগের কথা। ২০০৪-এর লোকসভা ভোটের পরে কোনও দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তৈরি হয় ‘ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স’ ওরফে ইউপিএ। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে সেই ইউপিএ-র ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে।
বৃহস্পতিবার রাতে যে দলগুলি মিলে প্রাক-নির্বাচনী জোট করবে বলে ঠিক করেছে, তার অধিকাংশই ইউপিএ-র সদস্য। ইউপিএ-র প্রধান চালিকাশক্তি কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গাঁধীকে পাশে রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, প্রাক-নির্বাচনী জোট হবে। তার অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচিও তৈরি হবে। ইউপিএ-র আর এক শরিক এনসিপি-র শরদ পওয়ারই নতুন জোট তৈরিতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছেন। উল্টো দিকে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস আগে ইউপিএ-তে থাকলেও, এখন তিনি ফের ইউপিএ-তে যোগ দিতে চাইবেন, এমনটা মনে করার কারণ নেই। অরবিন্দ কেজরীবালও ইউপিএ-তে যোগ দিতে চাইবেন না। ফলে নতুন কোনও নামে জোট তৈরি করা ছাড়া উপায় নেই। ইউপিএ-র ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ কংগ্রেসের পি চিদম্বরম বা এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তবে নতুন জোটের ‘অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি’তে কংগ্রেস যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চাইছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন চিদম্বরম। পওয়ার নিজেই বলেছেন, ওই কর্মসূচি তৈরির দায়িত্ব রাহুল গাঁধীকে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের ইস্তাহার তৈরির দায়িত্বে চিদম্বরম রয়েছেন। সেই ইস্তাহারে ন্যূনতম আয়, চাকরির সুযোগ তৈরির মতো প্রতিশ্রুতি থাকবে বলে আগেই স্পষ্ট করেছে কংগ্রেস। চিদম্বরম বলেন, ‘‘যে কোনও দল চাইবে, তার মতামত যত বেশি সম্ভব দল গ্রহণ করুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy