মরিয়া: ফুটব্রিজের সিঁড়িতে পদপিষ্ট রেলযাত্রীরা। তার মধ্যেই বাঁচার চেষ্টায় অনেকে। শুক্রবার মুম্বইয়ের এলফিনস্টোন স্টেশনে। ছবি: পিটিআই।
এলফিনস্টোন স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর জন্য পুরোপুরি বিজেপি সরকারই দায়ী বলে দাবি করল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাদের কটাক্ষ, হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে বুলেট ট্রেন চালুর স্বপ্ন দেখছে কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু রেলের বর্তমান পরিকাঠামোর উন্নতির দিকে তাদের নজর নেই।
ঘটনা হলো, ২০১৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ গণপত সাবন্তকে লেখা চিঠিতে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু জানিয়েছিলেন, এলফিনস্টোন রোডে ১২ মিটার চওড়া নতুন ফুট ওভারব্রিজ তৈরির বিষয়টি রেল মন্ত্রক গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। মুম্বইয়ের দুই বাসিন্দাও টুইটারে ফুটব্রিজের শোচনীয় অবস্থার কথা জানিয়েছিলেন সুরেশ প্রভু ও খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি। আজ রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের শহর মুম্বইয়ে এই ঘটনার পরে বিরোধীদের পাশাপাশি মুখ খুলেছে এনডিএ শরিক শিবসেনাও।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর কথায়, ‘‘এটা পুরোপুরি মানুষের তৈরি বিপর্যয়। রেলের সুরক্ষার দিকে উপযুক্ত নজর দিলে এমন ঘটনা ঘটত না।’’ মুম্বই-অমদাবাদ বুলেট ট্রেনের জন্য ৫০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকারের। রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের মতে, ওই টাকা এখনই রেলের সুরক্ষা বাড়ানো ও স্টেশনে বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়ার জন্য খরচ করা উচিত। মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী নেতা রামকৃষ্ণ ভিখে পাটিলের দাবি, ‘‘রেলকর্তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত।’’
আরও পড়ুন: বিকানেরে দিল্লির যুবতীকে ২৩ জন মিলে গণধর্ষণ
প্রায় একই সুর এনসিপি-র অজিত পওয়ার ও শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের। রাউতের কথায়, ‘‘এটা গণহত্যা। দায়ী সরকার ও রেল। আমরা বার বার দাবি জানিয়েছি পুরনো ফুটব্রিজ সারানোর। কিন্তু সরকারের তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। তারা বুলেট ট্রেন নিয়ে ব্যস্ত।’’
রাজনীতিকদের মতে, বুলেট ট্রেন চালু হলেও তা উচ্চবিত্তরাই ব্যবহার করতে পারবেন। অন্য দিকে সাধারণ রেল পরিষেবা মূলত ব্যবহার করেন আমজনতা। ফলে এই সুযোগে বিরোধীরা মোদীর ‘গরিব বিরোধী’ ভাবমূর্তিও ফের তুলে ধরতে চাইছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy