Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বারাণসীতে ধর্না দিল তৃণমূলও

শুরুটা করেছিলেন প্রিয়ঙ্গা গাঁধী বঢরা। সেই পথে হেঁটেই এ বার একে একে তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, সিপিএমের নেতারা সোনভদ্রে পৌঁছনোর চেষ্টা করে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের উপরে চাপ তৈরি করলেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০০:৫০
Share: Save:

বিজেপির উপর চাপ তৈরি করতে বিরোধী-ঐক্যের প্রয়োজন ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সোনভদ্রের ঘটনা।

শুরুটা করেছিলেন প্রিয়ঙ্গা গাঁধী বঢরা। সেই পথে হেঁটেই এ বার একে একে তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, সিপিএমের নেতারা সোনভদ্রে পৌঁছনোর চেষ্টা করে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের উপরে চাপ তৈরি করলেন। শনিবার সকালেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল বারাণসী পৌঁছে সেখান থেকে সোনভদ্র যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সোনভদ্রে যাওয়ার অনুমতি না মেলায় তাঁরা বারাণসী বিমানবন্দরেই ধর্নায় বসেন।

বারাণসী বিমানবন্দরে ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে দেখা করে প্রিয়ঙ্কা তাঁদের ধন্যবাদ জানান।

১৭ জুলাই সোনভদ্রে আদিবাসী কৃষকদের উপর গুলিতে ১০ জনের মৃত্যু হলেও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সেমুখো হননি। কিন্তু বিরোধীদের সম্মিলিত চাপে রবিবার যোগী সোনভদ্রে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই চাপ বজায় রাখতে তৃণমূল সোমবারই রাজ্যসভায় সোনভদ্র নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিস দিয়েছে।

প্রিয়ঙ্কা শুক্রবার সোনভদ্রে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে মির্জাপুরে আটকে দেওয়া হয়। শনিবার সকালে তৃণমূলের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল বারাণসী বিমানবন্দরে পৌঁছনো মাত্র তাঁদেরও সেখানেই আটকে দেওয়া হয়। রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুনীল মণ্ডল ও আবীররঞ্জন বিশ্বাস বিমানবন্দরেই ধর্নায় বসে পড়েন। সকাল পৌনে দশটা থেকে দুপুর পর্যন্ত ধর্নার পরে জেলা প্রশাসন তাঁদের বারাণসীর হাসপাতালেই আহতদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়। তাঁদের পুলিশ পাহারায়, পুলিশের গাড়িতে এসকর্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু সোনভদ্র যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদে ফের সন্ধ্যায় কলকাতার বিমান ধরা পর্যন্ত বিমানবন্দরের বাইরে ধর্নায় বসেন তৃণমূল সাংসদরা। ডেরেক বলেন, ‘‘বিজেপি বাংলায় প্রতিদিন গুণ্ডামি করছে, সুশাসনে বাধা দিচ্ছে। সেই বিজেপি উত্তরপ্রদেশে বিরোধী দলের সাংসদদের নিহত আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে দেখা করে, তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার অনুমতি দিচ্ছে না।’’

শুক্রবার সিপিএমের একটি প্রতিনিধিদল অবশ্য ঘুরপথে পুলিশ-প্রশাসনের নজর এড়িয়ে সোনভদ্রের উম্ভা গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিল। এসপি-র স্থানীয় নেতাদের একটি দল গ্রামের বাইরে সভা করে ফিরে আসে। বিএসপি-র একটি দলকে সোনভদ্র জেলায় ঢোকার পরেই আটকে দেওয়া হয়। বারাণসী থেকে ফেরার পথে প্রিয়ঙ্কা টুইট করে বলেন, অন্য দলের যে সব নেতারা সোনভদ্র পৌঁছনোর চেষ্টা করেছেন, আমি তাঁদের হৃদয়ের অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Sonbhadra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE