ডিমাতলির সেই মসজিদ। ফাইল চিত্র
বাম আমলে ২৫ বছর ধরে চলা মেলার নাম পাল্টে দিল বিজেপি সরকার| পিছিয়ে দিল সময়ও। আগে নাম ছিল ‘সংহতি মেলা’। শুরু হত ৬ ডিসেম্বর। নতুন নাম হয়েছে ‘পর্যটন ও মিলন মেলা’। এ বছর তা হবে ১০ থেকে ১২ তারিখ। সিপিএমের রাজনগর বিধানসভার কেন্দ্রের বিধায়ক সুদন দাসের দাবি, নিজেদের অতীত থেকে নজর ঘোরাতেই বিপ্লবকুমার দেবের সরকার এটা করছে। পর্যটনমন্ত্রী প্রাণজিৎ সিংহের ব্যখ্যা, এই রকম কোনও ব্যাপার নয়। মেলা এ বার বড় পরিসরে করা হবে, অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়া হবে। দর্শকের উপস্থিতিও অনেক বেশি হবে। সব কিছু করার জন্যে সময়ের প্রয়োজন বলে নাম-তারিখ পাল্টানো হয়েছে।
সুদনবাবুর বক্তব্য, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর সিপিএমের তরফে বিলোনিয়া মহকুমার রাজনগর ব্লকের ডিমাতলিতে ধান-চাল সংগ্রহে গিয়ে তাঁরা একটি পুরনো মসজিদ দেখতে পান। যা দেখতে অনেকটা বাবরি মসজিদের মতোই। ত্রিপুরায় তখন কংগ্রেস-টিইউজিএসের জোট সরকার। পরের বছর রাজ্যে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসে। ১৯৯৩ সালে ওই মসজিদ ঘিরে সংহতি মেলা শুরু করা হয়। বাবরি ধ্বংসের প্রতিবাদ হিসেবেই দিন বাছা হয় ৬ ডিসেম্বর। ছোট পরিসরে শুরু হলেও ধীরে ধীরে তার খ্যাতি ছড়ায় বাংলাদেশেও। ওই মেলার ২৫ বছর পূর্তির উৎসব হয়েছে গত বার।
সুদনবাবু বলেন, ‘‘খবর পেয়েছি, মেলার নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। দিনও। আসলে বাবরি মসজিদ
ভাঙার পেছনে ছিল বিজেপি-আরএসএসের উগ্র হিন্দত্ববাদ ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা। সে দিক থেকে নজর সরাতেই বিজেপি-আইপিএফটি সরকার এ সব করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy