আগরতলা বিমানবন্দরে সস্ত্রীক মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।
দিল্লি থেকে স্ত্রী নীতি দেবকে নিয়ে আগরতলায় ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। গত শুক্রবার বিকেলে কলকাতা থেকে তিনি দিল্লি যান। সম্প্রতি তাঁদের দাম্পত্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ‘খবর’ ছড়িয়ে পড়ে। যা ঘিরে ত্রিপুরার রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে।
সাধারণ ভাবে এর পিছনে বিরোধীদের হাত রয়েছে বলে বিজেপির তরফে বিবৃতি দেওয়া হলেও পরে দেখা যায় বিজেপির একটি শ্রেণি এর সঙ্গে যুক্ত। আজ আগরতলা বিমানবন্দরে নেমে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেও সেই ইঙ্গিত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সাথী হোক বা বিরোধী, কাউকে দুর্নীতি করতে দেব না। চক্রান্তকারীদের মুখোশ খুলে দেব।’’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিপ্লববাবু বলেন, ‘‘এরা এত ঘৃণ্য কাজ করতে পারে! এরা মানুষ না।’’ তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। মানহানি মামলাও করা হবে। দলেরই একাংশ যে এই ঘটনায় যুক্ত তার আরও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যারা দুর্নীতি করতে চাইছে, তারাই আমার বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত করেছে। নির্বাচনের সময় প্রচারে বা অন্য কাজেও তারা যুক্ত ছিল না। তারা শুধুই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্তের জাল বিছিয়েছে।’’ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী-জায়া নীতি দেবও এ দিন সাংবাদিকদের কাছে তাঁর ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই কুৎসা শুধুই মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে না। এর সঙ্গে সমগ্র রাজ্যবাসীর সম্মান জড়িয়ে আছে।’’
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্যে অনুপম পালের নামে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তিনি গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির প্রচারের কাজে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ত্রিপুরায় ‘চলো পাল্টাই’ স্লোগানের ‘কারিগর’ বলে অনুপম পাল তাঁর ফেসবুকেও লিখেছেন। এখন অবশ্য বিজেপির কেউই এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছে না। অনুপম পালের বিষয়ে সকলেই চুপ। এ দিকে, বিতর্কিত ফেসবুক পোস্টটি শেয়ার করার অভিযোগে উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর মহকুমার জামাল হুসেন নামে এক কনেস্টবলকে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি ভানুপদ চক্রবর্তী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy