প্রায় দু’বছর ধরে করিমগঞ্জ জেলায় মোটর ভেহিকল ইন্সপেক্টরের (এমভিআই) পদটি খালি পড়ে রয়েছে। ফাইলের পাহাড় জমছে করিমগঞ্জের ডিটিও অফিসে। অথচ ডিটিও অফিসের মূল চাবিকাঠি রয়েছে এমভিআইয়ের হাতেই। গাড়ি চালানোর যোগ্যতা, গাড়ির সার্টিফিকেট, গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়লে তারও রিপোর্ট দিতে হয় এমভিআইকেই। এক কথায় এমভিআই ছাড়া অচল ডিটিও অফিস। প্রায় ২ বছর ধরে করিমগঞ্জের ডিটিও অফিসে স্থায়ী কোন এমভিআই নেই। এই পরিস্থিতিতে ৮ মাস ধরে ডিটিওর পদটিও শূন্য রয়েছে। যদিও এনফোর্সমেন্ট ইন্সপেক্টর ডিটিওর কাজ সামলে যাচ্ছেন, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। কারণ স্থায়ী ডিটিও যতটা কাজ করবেন ততটা কাজ এনফোর্সমেন্ট ইন্সপেক্টরের পক্ষে করা সম্ভব নয় বলে অনেকের বক্তব্য।
এর ফলে করিমগঞ্জ জেলা পরিবহণ আধিকারিকের কার্যালয়ে কার্যত কোনও কাজই হচ্ছে না। এমভিআইয়ের টেবিলে চার-পাঁচশো ফাইল পড়ে রয়েছে বলে বিভাগীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এমভিআই পদে স্থায়ী কেউ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধার মানুষকে। করিমগঞ্জ জেলা পরিবহণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা এনফোর্সমেন্ট ইন্সপেক্টর ঘনকান্ত গগৈ বলেন, ‘‘লাইসেন্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন এসে বিফল হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কারণ ডিটিও অফিসে এমভিআইয়ের কাজ করার যোগ্যতা অন্য কোনও আধিকারিকের নেই।’’ ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর জনৈক অজয় ডেকা করিমগঞ্জের এমভিআইয়ের দায়িত্ব পান। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ৮ ডিসেম্বর তিনি করিমগঞ্জ থেকে গুয়াহাটিতে বদলি নিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ এরপর থেকে কার্যত কোন কাজই হচ্ছে না করিমগঞ্জের ডিটিও অফিসে।
পরে তরুণ ফুকন নামে অপর এক এমভিআইকে করিমগঞ্জের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গুরুতর অসুস্থ থাকায় তিনি করিমগঞ্জে আসবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। প্রয়োজনে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দিতেও প্রস্তুত বলে করিমগঞ্জ জেলা ডিটিও অফিসের এক সূত্র জানিয়েছে। প্রায় ৫০০টিরও বেশি ফাইল এই মুহূর্তে জমে রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাইলাকান্দি থেকে এমভিআইকে এনে সাময়িক সমস্যা মেটানোর কথা ভাবছে করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এ নিয়ে করিমগঞ্জের জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে হাইলাকান্দির ডিটিও অফিসে কাগজপত্রও পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি কবে করিমগঞ্জে আসবেন তা এখনও জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy