ফাইল চিত্র।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা বলছেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্য আইন করতে হবে সরকারকে। এ কাজে নরেন্দ্র মোদীকে বাধ্য করতে দরকারে আন্দোলন হবে। প্রশ্ন উঠছে, আইন করে কি পথ খুলবে মন্দিরের?
পরিষদের পূর্বাঞ্চলের সংগঠন সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহের বক্তব্য, ‘‘জওহরলাল নেহরুর আপত্তি সত্ত্বেও সর্দার বল্লভভাই পটেল সোমনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণ করিয়েছিলেন। এবং নতুন আইন করেই সেটা করা হয়েছিল। এখনও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মোদীও ‘সর্দার পটেল’ হতে পারেন। সংসদের যৌথ অধিবেশনে কেন্দ্রকে রাম মন্দির আইন পাশ করাতে হবে।’’
কিন্তু কেন্দ্র আইন করলেও সুপ্রিম কোর্ট তা বেআইনি বলে খারিজ করতে পারে। ফলে সমস্যা মেটার আশা কম। আসলে রাজ্যসভার নতুন সদস্যরা এলে ২০১৮-তে বিজেপি সংসদের উচ্চকক্ষে শক্তিশালী হবে। তাই এখন থেকেই আইন তৈরির দাবি তুলছে পরিষদ। এরই পাশাপাশি কেউ কেউ মনে করছেন, ২০১৮-র বছর অক্টোবরে মন্দির নির্মাণ শুরু করতে চায় পরিষদ। কারণ তার ঠিক দু’মাস পরেই মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় ও রাজস্থানে বিধানসভা ভোট। এই তিন রাজ্যে জেতার অঙ্কে মেরুকরণের জন্যেও এই পরিকল্পনা।
তবে শুধু মেরুকরণ দিয়ে যে ভোট জেতা যাবে না, সেটা বুঝেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। সম্প্রতি ভোপালে আরএসএসের নীতি নির্ধারণের বৈঠকে ভাইয়াজি জোশী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, চাষিদের স্বার্থরক্ষা এবং গ্রামের দিকে তাকানোই এখন সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। গুজরাত দেখিয়েছে সঙ্ঘের পরামর্শ ভুল ছিল না। গ্রামেই বেগ পেয়েছে বিজেপি। বেগ দিয়েছেন চাষিরা।
এ বার কি তা হলে রামের মন্দির আর চাষের মাঠ নিয়েই কৌশল রচনা করছে সঙ্ঘ পরিবার?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy