—ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রীর কথায় নিজেকে ‘অপবাদমুক্ত’ বলে দাবি করলেন ফেরার শিল্পপতি বিজয় মাল্য। আর প্রধানমন্ত্রী বললেন, গত পাঁচ বছরে অনেককে জেলের দরজা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছেন। ফের তাঁকে জেতানো দরকার, যাতে জেলের ভিতরেও তাঁদের নিয়ে যেতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের নিশানা শুধু ফেরার শিল্পপতিরাই নন, দেশের বিরোধী দলের নেতারাও। প্রবীণ আমলাদের বিরুদ্ধেও আজ প্রথম মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী।
ক’দিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘বিজয় মাল্য ব্যাঙ্কের কাছে ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার বিশ্বজুড়ে তাঁর ১৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।’’ দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা শোধ না করার অভিযোগ ওঠার পরেই ব্রিটেনে পালিয়ে যান মাল্য। আজ টুইটারে মাল্য বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর সরকার ব্যাঙ্কের কাছে আমার ঋণের থেকেও বেশি অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছেন। এই মন্তব্যই আমাকে অপবাদমুক্ত করেছে।’’
এই মন্তব্য বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেললেও এটিকেই দুর্নীতি দমনে নিজের ‘সাফল্য’ হিসেবে মেলে ধরতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লিতে ‘আমিও চৌকিদার’ অনুষ্ঠানে মোদী বললেন, ‘‘দেশকে যাঁরা লুঠ করেছেন, তাঁদের পাইপয়সার হিসেব ফেরত দিতে হবে।’’ মাল্য-নীরব মোদীদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে রাহুল গাঁধীরা রোজ অভিযোগ করেন। আজ মোদী যুক্তি দেন, আসলে তাঁর ভয়েই সকলে পালিয়েছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এই প্রসঙ্গে তিনি আজ প্রবীণ আমলাদের বিরুদ্ধেও মুখ খুললেন। বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি সরকারে আসার পর অনেক পুরনো অফিসার থেকে গিয়েছেন। যাঁরা পূর্ববর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁরা অবসর নেওয়ার পর নতুন অফিসার আসছেন। এখন আরও ‘কাগজ’ সামনে আসছে। ফলে কাজ করতে সুবিধা হচ্ছে। জনতার উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘‘আপনাদের আশীর্বাদে আমি অনেককে জেলের দরজায় নিয়ে গিয়েছি। অনেকে জামিনে আছেন, কেউ আদালতের চক্কর কাটছেন। তাঁদের জেলের ভিতরে নিয়ে যেতে সময় লাগবে। আগামী পাঁচ বছরে সেটি করব। দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির ক্লাবে নিয়ে যেতে হবে। শিক্ষাকেও বিশ্বের মাপকাঠিতে নিয়ে যেতে হবে।’’
মাল্য-নীরব মোদীদের বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেউ কেউ বিদেশি আদালতে গিয়ে বলেন, ভারতের জেলের হাল খারাপ। তাই থাকতে পারবেন না। তাঁদের কি আমি প্রাসাদ দেব? যে জেলে ইংরেজরা গাঁধীজিকে রেখেছিল, তার থেকে ভাল জেল কী দেব? দুনিয়ার যে কোনও কোণে সম্পত্তি থাকলে তা বাজেয়াপ্ত হবে। কখনও না কখনও তাঁদের ভারতের আইনের আওতায় আসতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy