এয়ার পকেটে ঝাঁকুনি খাবেন বারবার। বিজয় ‘কিংফিশার’ মাল্য তবু মাটিতে নামবেন না!
ঋণ জালিয়াতির মামলায় সাময়িক ভাবে পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর এ বার তাঁকে ব্রিটেন থেকে প্রত্যর্পণের তোড়জোড় শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু এর মধ্যেই মাল্য আজ জানিয়ে দিলেন, বিদেশে তাঁর কোথায়, কত সম্পত্তি রয়েছে, তা তিনি ভারতের ব্যাঙ্কগুলিকে বলবেন না। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে মাল্যর দাবি, সংবাদমাধ্যমের চাপে পড়ে তাঁকে অকারণ কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। ১৭টি ব্যাঙ্কের থেকে নেওয়া ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে শোধ না করার জন্য মাল্যর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সুপ্রিম কোর্ট মাল্যকে আজকের মধ্যে তাঁর বিদেশের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিতে বলেছিল। কিন্তু হলফনামায় মাল্য যুক্তি দিয়েছেন, তিনি অনাবাসী ভারতীয়। সেই হিসেবে বিদেশে থাকা সম্পত্তির হিসেব দিতে তিনি বাধ্য নন। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান, সকলেই মার্কিন নাগরিক। তাঁদের সম্পত্তির তথ্য জানারও অধিকার নেই ভারতের ব্যাঙ্কগুলির। তা ছাড়া, ঋণ মঞ্জুর করার সময় বিদেশের সম্পত্তির হিসেব দেখা হয় না। সংবাদমাধ্যমকে দুষে মাল্য যুক্তি দিয়েছেন, তিনি পালিয়ে যাননি। কিন্তু তাঁকে যে অন্যায় ভাবে কাঠগড়ায় তোলা হবে, সেই আশঙ্কা ছিলই। সংবাদমাধ্যমে তাঁকে দোষী প্রমাণের চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর জন্য দেশে কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেও মানতে রাজি নন মাল্য।
তবে কিংফিশার প্রধান যা-ই বলুন, আজ ইডি-র তরফে বিদেশ মন্ত্রককে অনুরোধ করা হয়েছে, মাল্যকে প্রত্যর্পণের জন্য যেন কূটনৈতিক স্তরে চেষ্টা শুরু হয়। ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড কর্নার নোটিস জারির জন্যও সিবিআইকে চিঠি লিখতে চলেছে ইডি। এর মধ্যে হায়দরাবাদের একটি আদালত আজ চেক বাউন্সের একটি মামলায় মাল্যকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এর পাশাপাশি, আইডিবিআই থেকে ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে কিংফিশারের যে সব সম্পত্তি তৈরি হয়ে থাকতে পারে, সেগুলি বাজেয়াপ্ত করারও পরিকল্পনা নিচ্ছে ইডি।
কর্তাদের দাবি, মাল্যর তরফে ঋণ শোধ করার একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সত্যিই ঋণ মিটিয়ে দিতে ইচ্ছুক কি না এবং তাঁর সেই আর্থিক ক্ষমতা রয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতেই মাল্যকে বিদেশের সম্পত্তির হিসেব পেশ
করতে বলা হয়েছিল। মাল্য তা না মেনে ভুল করলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy