হিন্দু মহাসভা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’-তে কুরুচিপূর্ণ অবস্থায় জনসমক্ষে ভালবাসার প্রদর্শন দেখলেই সেই প্রেমিক যুগলকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। ভালবাসার প্রকৃত অর্থ কী, দু’জনকে তা-ও ভাল করে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
হিন্দু মহাসভার এমন নির্দেশের পর সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। আজ হিন্দু মহাসভার নয়াদিল্লির মন্দির মার্গের অফিস চত্বরে জড়ো হয়েছিলেন শতাধিক কলেজ পড়ুয়া। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পড়ুয়াদের পরনে ছিল বিয়ের পোশাক। গণবিবাহের দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পড়ুয়াদের প্রশ্ন, এক জন মেয়ে যদি আর এক জন মেয়েকে ভালবাসে বা এক জন ছেলে যদি আর এক জন ছেলেকে ভালবাসে, তা হলে কি হিন্দু মহাসভা তাঁদের বিয়ে দিয়ে দেবে?
তবে কোনও রকম বিক্ষোভ দেখানোর আগেই পড়ুয়াদের স্থানীয় দু’টি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিন-চার ঘণ্টা আটক করে রাখা হয় তাঁদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আটক পড়ুয়াদের মুক্তির দাবিতে থানার সামনে জমায়েত হন বহু মানুষ।
হিন্দু মহাসভা আগেই জানিয়েছিল, ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’-তে পার্ক, থিয়েটার, রেস্তোরাঁ বা কোনও প্রকাশ্য স্থানে প্রেমিক-প্রেমিকাকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখা গেলে, দু’জনের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। কারণ হিন্দু মহাসভার কাছে তা অশোভন। ভালবাসার বিশেষ দিনটিতে প্রেমিক বা প্রেমিকাকে ‘আই লাভ ইউ’ বললেও একই পরিণাম। কারণ হিন্দু মহাসভা মনে করে, এটা কুরুচিপূর্ণ।
হিন্দু মহাসভার সভাপতি চন্দ্রপ্রকাশ কৌশিকের কথায়, ‘‘আমরা ভালবাসার শত্রু নই। জনসমক্ষে কুরুচিপূর্ণ অবস্থায় ভালবাসার প্রকাশেই আমাদের আপত্তি।’তিনি জানিয়েছেন, পরিবারের চাপে বা অন্য কারণে যাঁরা বিয়ে করতে পারছেন না, জাতি-ধর্ম ভুলে হিন্দু মহাসভা তাঁদের বিয়ে দিতে চায়। কৌশিক আরও জানিয়েছেন, প্রত্যেক প্রেমিক যুগলকে বোঝানো হবে যে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’পালন হিন্দু সংস্কৃতির অঙ্গ নয়।
বজরঙ্গ দলের নেতারা আজ কানপুরের বিভিন্ন পার্ক এবং চিড়িয়াখানা থেকে কয়েক জন প্রেমিক-যুগলকে বের করে দিয়েছে। বজরঙ্গ দল নেতা নবীন কুমার বলেন, “ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী। তাই এ ভাবে প্রতিবাদ করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy