বেঙ্গালুরুতে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্য বলে দাবি তদন্তকারীদের।
২৮ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর চার্চ স্ট্রিটে বিস্ফোরণে নিহত হন ভবানী নামে এক মহিলা। আহত হন তিন জন। ওই ঘটনায় নিম্নশক্তির বিস্ফোরক (আইইডি) ব্যবহার হওয়ায় তখনই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন ও সিমি-র দিকে সন্দেহের তির ঘুরে যায়। কারণ, অনেক ঘটনায় এই ধরনের আইইডি ব্যবহার করেছে ওই সংগঠনগুলি। মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেল থেকে পালানো সিমি জঙ্গিরা ওই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন গোয়েন্দারা।
বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার এম এন রেড্ডি জানিয়েছেন, আজ বেঙ্গালুরু ও উত্তর কন্নড় এলাকার ভটকলে এক সঙ্গে অভিযান চালায় পুলিশ। বেঙ্গালুরুর পুলিকেশীনগর থেকে গ্রেফতার হয় দু’জন। ভটকলেও এক জনকে ধরা হয়েছে। রেড্ডি জানিয়েছেন, ধৃতরা হল ৩৪ বছরের সৈয়দ ইসমাইল আফাক, ৩৫ বছরের সাদ্দাম হুসেন ও ২৪ বছরের আব্দুস সাব্বুর। তারা সকলেই আদতে ভটকল এলাকার বাসিন্দা। সাব্বুর এমবিএ ছাত্র। পুলিশের দাবি, পুলিকেশীনগর ও ভটকলের কয়েকটি বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করা হয়েছে। আটক হয়েছে ল্যাপটপ, সেলফোন ও অন্যান্য যন্ত্রও। তাদের দাবি, ধৃতরা যে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন ও অন্য নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের এক শীর্ষ স্তরের নেতাই বিদেশ থেকে তাদের পরিচালনা করছিল। ধৃৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
রেড্ডির কথায়, “বেঙ্গালুরুর চার্চ স্ট্রিটে বিস্ফোরণের সঙ্গে ধৃতদের কোনও সরাসরি যোগ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ভটকল থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের পরিমাণ দেখে মনে হয় ধৃতদের কোনও বড় পরিকল্পনা ছিল।” তবে পুলিশ সূত্রে খবর, চার্চ স্ট্রিট কাণ্ডের সঙ্গে ধৃতেরা যুক্ত বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ভটকল এলাকা বহুদিন ধরেই সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নেতা রিয়াজ ভটকল, ইয়াসিন ভটকল ও ইকবাল ভটকল-সকলেই আদতে এই এলাকার বাসিন্দা। গোয়েন্দাদের মতে, ইয়াসিন ভটকল-সহ বেশ কিছু সদস্যের গ্রেফতারিতে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই সিমি সদস্যেরা ওই সংগঠনের হয়ে কাজ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy