গোলাপ, সূর্যমুখী, গাঁদা, জবা তো অনেক হল। এ বার বাড়িতে নিয়ে আসুন সাকিউলেন্ট।
খটোমটো নাম শুনে ঘাবড়াবার কারণ নেই। বাগানের বেশ খানিকটা অংশে বা ঘরের মধ্যে অল্প কয়েকটি সাকিউলেন্ট বসানো ঝক্কির কাজ নয়। অল্প যত্ন-আত্তিতেই এই ধরনের গাছ ভাল থাকে। শুকনো মরুভূমি বা পাহাড়ি অঞ্চলের গাছ সাকিউলেন্ট। পাতা, কাণ্ড বা মূলে অসময়ের জন্য সঞ্চয় করা থাকে জল। পাতার নানা বিচিত্র আকার এবং অপূর্ব বিন্যাসের জন্য বেশ জনপ্রিয় এই ধরনের গাছ।
কী ধরনের সাকিউলেন্ট বসাবেন
কিছু গাছের পাতার বিন্যাস হয় ফুলের মতো। সবুজ ছাড়াও লাল, গোলাপি, বেগুনি রঙের ছোঁয়া থাকে এগুলিতে। বাগানে রাখার জন্য এই ধরনের সাকিউলেন্ট জনপ্রিয়। খোঁজ করতে পারেন মেক্সিকান স্নোবল, ডঙ্কিজ টেল, স্ট্রিং অব পার্লস, অ্যালোভেরা, নানা রকম ক্র্যাসুলা, লিথপ, এওনিয়াম এবং এচেভেরিয়া জাতীয় সাকিউলেন্টের। অনেক প্রজাতির গাছে ছোট ছোট রঙিন ফুলও হয়।
বসাবেন কী ভাবে
চ্যাপ্টা ধরনের পাত্র সাকিউলেন্ট বসানোর জন্য উপযোগী। কারণ এই গাছের শিকড় খুব বেশি থাকে না। মাটির পাত্র হলে ভাল হয়। তাতে সহজে জল বেরিয়ে যেতে পারে। অ্যালোভেরা বা বড় প্রজাতির ক্র্যাসুলা হলে একটি টবে একটি করে গাছ বসান। ছোট সাকিউলেন্ট একটি একটি করে বা মিলিয়ে মিশিয়ে বসাতে পারেন। ডঙ্কিজ টেল বা স্ট্রিং অব পার্লস রাখতে পারেন ঝোলানো পাত্রে। অন্য রকম চাইলে বাহারি প্ল্যান্টার, চায়ের কাপ, ফিশ বোল, এমনকী গাছের গুঁড়িতেও গর্ত করে বসাতে পারেন গাছ। রঙিন গাছের জন্য হালকা রঙের টব বেছে নিন। তাতে গাছের বিন্যাস ও রং বোঝা যাবে ভাল। মাটি, বালি ও ছোট নুড়ির মিশ্রণে বসান গাছ। টব গভীর হলে একদম নীচে থাকবে শুধুই নুড়ির একটি স্তর।
কোথায় রাখবেন
ঘরে ছোট পাত্রে গাছ রাখা সুবিধে। কফি টেবল, বারান্দা, জানালার গ্রিল— যেখানে মন চায়, সেখানেই রাখুন সাকিউলেন্ট। বাগানে জায়গা থাকলে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগান। নির্দিষ্ট নকশা মেনে বা এলোমেলো— চলবে সব রকমই। মাঝে মাঝে বাহারি পাথর রেখে সাজাতেও পারেন।
যত্ন নেবেন কী ভাবে
বেশি জল সাকিউলেন্টের শত্রু। মাটি আলগা থাকা দরকার তাই মাটি-বালি-পাথরের মিশ্রণ ঠিক হওয়া জরুরি।
সামান্য ভেজা ভেজা মাটি সাকিউলেন্টের জন্য আদর্শ। তাই রোজ জল না দিয়ে কয়েক দিন অন্তর জল দিন। ঘরে গাছ রাখলে টব থেকে জল বেরোনোর ব্যবস্থা না-ও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে খুব সাবধানে জল দিন। সরাসরি মাটিতে জল দেবেন, পাতার উপরে জল না পড়াই ভাল।
গাছ টবে থাকলে বসন্ত বা গরমে এক বার জৈব সার দিন। বাগানে থাকলে সার না দিলেও চলে।
কাণ্ড অনেক বড় হয়ে গেলে উপর থেকে কয়েক সেন্টিমিটার কেটে, সেই অংশটি ফের বসান। এতে গাছের সৌন্দর্য বজায় থাকে।
খুব চড়া রোদ অনেক সময়ে পাতার রং নষ্ট করে দেয়। আলো-বাতাস পূর্ণ, কিন্তু অল্প ছায়াযুক্ত জায়গাই সাকিউলেন্টের জন্য একেবারে উপযুক্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy