সম্প্রতি পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হল সল্টলেক থিয়েটার আয়োজিত দ্বাদশ নাট্যোৎসব। শুরুতেই রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন সুপ্তি চট্টোপাধ্যায়। স্বাগত ভাষণে সভাপতি হীরকশুভ্র চট্টোপাধ্যায় গ্রুপ থিয়েটারের কঠিন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। এর পর ছিল দেবশঙ্কর হালদার অভিনীত নাটক ‘কাল্লুমামা’। অন্যান্য নাটকের মধ্যে ছিল দেবেশ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত ‘নিঃসঙ্গ সম্রাট’, পার্থপ্রতিম দেবের নির্দেশনায় ‘নাচনি’, সোহিনী সেনগুপ্তের ‘স্ত্রীর পত্র’। এর পর মঞ্চস্থ হয় হীরকশুভ্র চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত সল্টলেক থিয়েটারের নিজস্ব প্রযোজনা ‘এই অপরাহ্ণে’। ‘বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ’। বর্তমানে হারিয়ে যাওয়া সেই মূল্যবোধের সন্ধানেই এই নাটক। নাটকটির শুরুতেই উদীয়মান অভিনেতা পুলিশের গুলিতে আঘাত পায়। সমস্ত সহকর্মীই এই বিপদে পাশে দাঁড়ায়। তার বান্ধবী বর্ষা বাধ্য হয়ে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু সে বিবাহ সুখের হয় না। পনেরো বছর পরে এক বৃদ্ধাশ্রমে বর্ষা আকাশকে আবিষ্কার করে। প্রত্যেকেই খুব ভাল অভিনয় করেছেন।
দেশ ছাড়িয়েও
সম্প্রতি পঁয়ত্রিশতম মূকাভিনয় উৎসব হয়ে গেল যোগেশ মাইমে। এ বছর অন্যান্য দেশ থেকেও শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন। উৎসবে নজর কাড়ে মূকাভিনয় ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’। রচনা শ্রীকান্ত বসুর। পরিচালনায় যোগেশ দত্ত। দ্বিতীয় দিনে আয়োজন করা হয়েছিল মূকাভিনয় শিবিরের। বিভিন্ন দেশের ৫০ জন মূকাভিনয় অভিনেতা অংশ নিয়েছিলেন। দিনের শেষ পর্যায়ে মূকাভিনয় পরিবেশন করলেন বর্ধমান নির্বাক নারী নির্যাতন। যোগেশ মাইম অ্যাকাডেমির পরিবেশনায় ছিল ‘আমাকে বাঁচতে দাও’, ‘পালে বাঘ পড়েছে’, ‘অভিব্যক্তি’ ও ‘ক্ষুধার্ত ভিক্ষুক’। এই উৎসবের বড় প্রাপ্তি ‘চোর ও পুলিশ’-এ অরিন্দম বর্মনের অভিনয়। অন্যটি শ্রীকান্ত বসুর ‘নিপীড়িত কিশোরী মালালা’। উদ্বোধনী সঙ্গীতে ছিলেন প্রকৃতি দত্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy