Advertisement
০৬ মে ২০২৪
শনিবারের নিবন্ধ ১

পোষ্য

ওদের মতো নিঃস্বার্থ ভালবাসা কে আর দেয়! জীবনটাই কেমন বদলে যায় তাদের থাকা, না-থাকায়। অভিজ্ঞতা শুনলেন মহাশ্বেতা ভট্টাচার্য।প্রিয় পোষ্যের কথা মনে করলেই দেখবেন ঠোঁটের কোণে আপনিই একটা হাসির রেখা ফুটে উঠছে। জীবনে এতটাই পূর্ণতা এনে দেয় পোষ্যের উপস্থিতি। ওদের মতো নিঃস্বার্থ ভালবাসা কে আর দেয়! জীবনটাই কেমন বদলে যায় তাদের থাকা, না-থাকায়। অভিজ্ঞতা শুনলেন মহাশ্বেতা ভট্টাচার্য।

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৪ ০০:০১
Share: Save:

বাগানের এক কোনায় সমাধিটা তাঁর নিজের হাতে গড়া। ইট দিয়ে ঘেরা ফুট আড়াইয়ের ছোট্ট বৃত্ত। ঘাস জন্মানো মাটিতে গাঁধা ধূপ। তার পাশে যত্নে রাখা একটা ফুল আর একটা সন্দেশ। প্রতিদিন সকালে উঠে ওই ইট ঘেরা মাটিটুকুর উপর পরম মমতায় এই তিনটি জিনিস সাজিয়ে দেওয়া অসিতাভ ভট্টাচার্যের প্রথম কাজ। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি গত তেরো বছরে এক দিনের জন্যও নড়চড় হয়নি এর।

মাত্র এক বেলার রোগভোগে মারা গিয়েছিল অসিতাভর দিনরাতের সঙ্গী পিকি। বাগানে তার সবচেয়ে পছন্দের কোণটায় নিজের হাতে মাটির তলায় শুইয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার স্মৃতি এতটুকু মলিন হতে দেননি। এক দিনও ভুল করেননি পিকির সবচেয়ে পছন্দের মিষ্টিটা তার কাছে পৌঁছে দিতে।

কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রশাসক এবং অসামান্য রাশভারী বলে পরিচিত ছিলেন জ্যোতিষচন্দ্র গুহ। কিন্তু নিজের অ্যালসেশিয়ান হেক্টারের সঙ্গে একদম ছেলেমানুষ! একদিন সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে কাজের লোকের হাত ছাড়িয়ে ছুটতে গিয়ে দোতলা বাসের তলায় পড়ে যায় হেক্টার। শুনেছি, জ্যোতিষবাবু নিজের আলমারি থেকে ধুতি বের করে এনে পাগলের মতো তার রক্ত থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। হেক্টারকে বাঁচানো যায়নি। তার পরে বহু দিন পর্যন্ত রাতের পর রাত হেক্টারের নাম নিয়ে ডুকরে কাঁদতেন জ্যোতিষবাবু।

পোষ্য মানেই ভালবাসার নিঃশর্ত বন্ধন। কিন্তু সেই নিখাদ স্নেহের সমুদ্র মন্থনে অমৃতের সঙ্গে পোষ্যকে হারানোর এই গরল পান এড়ানোর পথ নেই। যন্ত্রণা যতই তীব্র হোক। বাড়ির সবচেয়ে আদরের সদস্যটি চলে যাওয়ার পর দীর্ঘ দিন একটানা কান্না, বাড়িতে হাঁড়ি চড়া বন্ধ, প্রতি কথায় তাকে মনে পড়া এর সাক্ষী নয়, এমন পশুপ্রেমী পরিবার খুঁজে পাওয়া কঠিন। এমনকী গভীর বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ায় মনোবিদের সাহায্য নিতে হয়েছে, সেই নজিরও আছে। সম্ভবত ঈশ্বরের কাছে এই একটাই অভিযোগ প্রত্যেক পশুপ্রেমীর-- ওদের জীবনটা আরও প্রলম্বিত করে পাঠালে না কেন?

অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারের একটা সময় এক জোড়া দুধ-সাদা লাসা অ্যাপসো ছিল, টম আর জেরি। উনি বলছিলেন, “বাবাকে হারিয়ে যতটা কষ্ট পেয়েছি, টম জেরিকে হারিয়েও ততটাই কষ্ট হয়েছিল।” মৃত্যুর পর ফুলে সাজানো নিথর জেরিকে দেখে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী।

পোষ্য হারানোর শোক এক এক জনকে এক এক ভাবে প্রভাবিত করে। কেউ জীবনে আর দ্বিতীয় কোনও পোষ্য রাখতেই পারেন না। সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্যের স্পিৎজ গুন্ডা মারা গিয়েছে পাঁচ বছর হয়ে গেল। তার পর থেকে আর কোনও পোষ্য রাখেননি। বলছিলেন, “আমি বাড়িতে আর গুন্ডা পুষি না।” এর উল্টোটাও রয়েছে। বিশিষ্ট অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রণেন রায় যেমন বলছিলেন, “এক পোষ্য হারানোর যন্ত্রণায় প্রলেপ দিতে পারে শুধু আর এক জন নতুন পোষ্য।” ব্যক্তিগত ভাবে এক পরিবারকে চেনা রয়েছে, যাঁরা পর পর কালো পমেরিয়ান রাখেন। প্রত্যেকের নাম কালু। কেন? “ওরা বেতালের মতো। মৃত্যুহীন!”

এক অর্থে প্রত্যেক পোষ্যই কিন্তু মৃত্যুহীন।

প্রিয় পোষ্যের কথা মনে করলেই দেখবেন ঠোঁটের কোণে আপনিই একটা হাসির রেখা ফুটে উঠছে। জীবনে এতটাই পূর্ণতা এনে দেয় পোষ্যের উপস্থিতি। রুসি মোদীর প্রথম পোষ্য ছিল রেক্স নামের এক বক্সার। “আট বছর বয়সে রেক্স ছিল আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু আসলে ও আমার মায়ের দ্বিতীয় সন্তান,” বছর চারেক আগে এক জায়গায় লেখেন রুসি। বলেন, “রেক্সের পর জীবনে আর কখনও কুকুর ছাড়া থাকতে পারিনি। ওরাই আমাদের লিঙ্ক টু প্যারাডাইস।”

আড়াই বছর আগের এক ডিসেম্বরে বাড়ির সামনের রাস্তায় এত্তটুকু বেড়ালছানাকে পড়ে থাকতে দেখে তুলে আনা। তার পর কখন যে এমন বন্ধনে বাঁধা পড়লেন সকলে, কে জানে! এখন প্রতি সপ্তাহে নিজেদের গোত্র, পদবি-সহ পুচাইয়ের নামে লেক কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে আসেন পিয়া।

ঠিক কোন রসায়নে এক পোষ্য গোটা পরিবারের সবচেয়ে ভালবাসার ধন হয়ে ওঠে, তার ব্যাখ্যা নেই। যা আছে সবটাই অনুভূতি। ভালবাসার লগ্নিতে শর্তহীন ভালবাসায় শতসহস্রাধিক রিটার্ন।

কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলছিলেন, “বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ওই যে ছুটে এসে অভ্যথর্না, ওটা যে কোনও অ্যাওয়ার্ডের চেয়ে বড় পাওয়া। আমাকে দরকার, আমাকে ছাড়া চলবে না এমন উগ্র প্রেম আর কোথায় পাব?”

ফেসবুকের দারুণ জনপ্রিয় সদস্য ছিল কলকাতার স্পুটনিক। সে আর নেই। তবে চি ওয়া ওয়া স্পুটনিকের মালিক, কমপ্যাশনেট ক্রুসেডরসের দেবাশিস চক্রবর্তী বলছিলেন, পোষ্যপ্রেমীদের নাকি দু’টো ভাগ। ডগ লাভার্স আর ক্যাট ফ্যান্সিয়ার্স। বলছিলেন, “কুকুররা ভালবাসা ফিরিয়ে দেয়, অনুগত হয়। তাই যারা নিয়ন্ত্রণ করতে পছন্দ করেন তাঁরা কুকুরের প্রেমে পড়েন। অন্য দিকে, বেড়াল প্রখর ভাবে স্বাধীনচেতা। ভালবাসা নেবে কি না, সেটা স্রেফ তার মর্জি। তাই স্বাধীনচেতা মানুষের বেড়াল বেশি পছন্দ।”

ডগ লাভার থেকে ক্যাট ফ্যান্সিয়ার হয়ে ওঠেন কিন্তু অনেকেই। নবনীতা দেবসেন যেমন বলছিলেন, “বরাবর কুকুর পুষেছি। একবার কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের বড় মেয়ে পুপু গ্রে রং-এর দু’টো বেড়াল দিয়ে গেল। নাম দিলাম বিন্দু আর বিসর্গ। সেই আমার বেড়াল পোষা শুরু।”

একটা সময় বাড়িতে চার-পাঁচটা বেড়াল ছিল। তাদেরই এক জন পুটুস। তার বাচ্চা হবে। বাস্কেটে সুন্দর বিছানা পেতে আঁতুর তৈরি। কিন্তু সে ব্যাটা শেষ মুহূর্তে লাফিয়ে খাটে উঠে সটান নবনীতার কোলে চড়ে বাচ্চার জন্ম দিতে লাগল। নবনীতা বলছিলেন, “কী আর করব। মেয়েদের ডাকলাম। ওরা এসে দেখল কী করে বাচ্চা হয়। তারপর কেমন সুন্দর করে ওরা পরিষ্কার করে।” গল্পটার পরিশিষ্টও আছে। রাতে নবনীতা দেখেন পিঠে কী একটা নরম ঠেকছে। “অসভ্য বেড়াল, হুলোর থেকে বাঁচাতে আমার কাছে এনে রেখেছে। ভয়ে মরি, পিছন ফিরলে বাচ্চা চিপটে যাবে। নোনা লাগার ভয়ে হাতও দিতে পারছি না। কাঠ হয়ে শুয়ে রইলাম। আর পাশের ঘরে গিয়ে মহানন্দে ঘুম লাগাল পুটুস।”

আপাতত নবনীতার তিন বাচ্চা। মিক্সড ব্রিড কেলটুস ওরফে কৃষ্ণেন্দু। ককার স্প্যানিয়েল ভুতুমলাল। স্প্রিংগার স্প্যানিয়েল তুরতুরিয়া ওরফে নীরাজনা। সবাই দেবসেন।

একাধিক পোষ্য যাঁরা রেখেছেন, তাঁরা জানেন প্রত্যেকটি প্রাণী আলাদা ব্যক্তিত্ব। তাদের পছন্দ আলাদা, চরিত্র আলাদা। কেউ ভিতু, কেউ অসম সাহসী, কেউ ‘মহা ন্যাকা’ তো কেউ ‘খুব লক্ষ্মী’। খাওয়া দাওয়াতেও এক এক জনের পছন্দ এক এক রকম। বেড়াল হলেই মাছ-ভক্ত, এমন মোটেই জরুরি নয়। কালিন্দী নামের এক মার্জার লুচি পেলে আর কিছু চায় না। শাখাঁলু, কড়াইশুটি, নারকোল কুল ভক্ত কুকুরের সঙ্গেও আলাপ রয়েছে। এক লাসা ঝুপ ক্ষীরের মিষ্টি ছাড়া মুখে তোলে না। পোষ্যরা সাধারণত খুব ব্র্যান্ড সচেতনও। মানে আপনার পোষ্য যদি নির্দিষ্ট কোম্পানির মেরি বিস্কুট পছন্দ করে, হাজার অনুরোধেও তাকে অন্য কোনও কোম্পানির মেরি খাওয়াতে পারবেন না। দুই পোষ্যপ্রেমীর দেখা হলে এমন ‘অ্যানেকডোটস’ আদানপ্রদান হবেই!

তবে সবাই পশুপ্রেমী হবে এমন ফতোয়া নেই। যেমন টলিউডের মহাতারকা প্রসেনজিৎ নাকি সারমেয়ে স্বচ্ছন্দ নন! অন্দর কি বাত বাতলে দিলেন খোদ মহাতারকার বোন, অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। পল্লবী বলছিলেন, “ছোটবেলায় আমাদের দমদমের বাড়িতে পনেরোটা কুকুর ছিল। টিয়া, বদ্রী, বেজি, মুরগি, হাঁস এমনকী ছাগলও। বিরাট বাগান আর পুকুর। বাস্তু কেউটে, মা বলতেন মারতে নেই। হাঁস খাওয়ানোর দায়িত্ব আমার ছিল, মুরগির দায়িত্ব দাদার। তবে দাদা কুকুর ভয় পেত। কুকুরের তেড়ে আসা আজও পছন্দ নয়।”

পোষ্য কেন পোষেন আর কেনই বা পোষেন না। সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন।

এক জন পোষ্য বাড়ির চেহারাটাই পাল্টে দেয়। পাগ-এর মতো ব্রিডের চোখে খুব সহজে খোঁচা লাগে। পাগদের বাড়ির মেঝে সাজানো হয় এটা মাথায় রেখে। ছোট কুকুর থাকলে চটি-জুতো লোপাট হবেই! বিড়াল থাকলে সোফার শৌখিন কভার বদলে অবধারিত মোটা কাপড়ের আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করতে হয়। আবার এক কুকুর মালিককে বাড়ির সব জানালায় তার লাগিয়ে ফেলতে হয়েছিল রাতারাতি। কারণ তাঁর চার মাসের সারমেয় পর পর দু’বার জানলা থেকে লাফিয়ে পা ভেঙেছে মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে। কিসমিস নামের এক পমেরিয়ানকে চিনতাম। ভীষণ গরম বাতিক। এসি না চললেই এক হাত জিভ বেরিয়ে যাবে। তাদের বাড়িতে দেখেছি অন্যদের কম্বল জড়িয়ে বসতে হলেও কিসমিসের এসি ঠিক চলছে!

ডা. রণেন রায় বলছিলেন, “ওদের প্রয়োজনগুলো মাথায় রেখে অনেক কিছুই বদলে ফেলতে হয়।” আজকাল যেমন বেড়াতে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, শুধু ওদের কথা ভেবে। ওঁর যোধপুর পার্কের বাড়িতে আপাতত তিন সারমেয়ের বাস। গোল্ডেন রিট্রিভার জোয়ি আর দুই নেড়ি কুচি এবং বসি। বসি সবচেয়ে ছোট আর “বাড়িটা ও-ই চালায়।”

ব্যস্ত চিকিৎসক হয়েও পশুদের অস্ত্রোপচারে হাত লাগানোর সময় বের করে ফেলেন নিয়মিত। প্রাণীজগৎকে কিছুু ফিরিয়ে দেওয়ার তাগিদেই শুধুুমাত্র পশুদের জন্য নির্দিষ্ট যন্ত্র আর সরঞ্জামে সাজানো প্যাথলজিক্যাল সেন্টার খুলেছেন। বলছিলেন, “কুকুরের একটা এক্স রে করাতে গেলেও পিছনের দরজা দিয়ে চোরের মতো ঢুকতে হত। ওদের মর্যাদা দিতে চেয়েছি।” সেই ভাবনা থেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত পাঁচ বন্ধু মিলে কসবায় শুরু করেছেন ‘প্য পাথ’। রণেন বলছিলেন, “বাণিজ্যিক উদ্যোগ নয়, ওদের জন্য কিছু করার আনন্দ থেকেই চেষ্টাটা।”

পোষ্যের সঙ্গে বন্ধনটা এমনই যে সেখানে নিজের স্বাচ্ছন্দ্যকে ছাপিয়ে ওদের প্রয়োজনটা বড় হয়ে ওঠে।

দেবশ্রী রায় যেমন। ক’দিন আগেই অ্যালার্জি টেস্টে ধরা পড়েছে লোম থেকে নিঃশ্বাসের কষ্টে ভুগছেন। কিন্তু অভিনেত্রী বলে দিয়েছেন ডাক্তারকে, নিজের দুই সরমেয়, ৬ বছরের স্পিৎজ টনজো আর ৪ বছরের ককার স্প্যানিয়েল গ্লসিকে সরানোর প্রশ্ন নেই। “আমার ঘরটাই ওদের ঘর। খাটে আমার আর ওদের বালিশ পাশাপাশি! বললেই হবে? অ্যালার্জি যা হচ্ছে হোক। আমি আলাদা করব না।”

দেবশ্রী কলকাতার রাস্তার কুকুরদের জন্যও কিছু করার চেষ্টা করছেন। কলকাতাকে রেবিস মুক্ত করার স্বপ্ন দেখেন তিনি। নিজের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না। এমনকী নিয়মিত রাস্তার কুকুরদের জন্য খাবার, এমনকী চিকিৎসারও বন্দোবস্ত করছে তাঁর সংস্থা। বলছিলেন, “এলাকার কুকুর এলাকায় থাকবে। এটা ওদের অধিকার। পাড়ার লোকে যদি ওদের জন্য সামান্য একটু ভ্যাকসিনেশন, কয়েকটা ওষুধের বন্দোবস্ত করে, তা হলেই আর সমস্যা থাকে না।”

শেষে এমন একজনের কথা বলব, যাঁকে পরিবার ফিরিয়ে দিয়েছে আন্দামানের রস দ্বীপের পশুপাখি। অনুরাধা রাও নিজের গোটা পরিবারকে হারিয়েছিলেন সুনামিতে। শুধু নিজে সে দিন অন্যত্র থাকায় রক্ষা পান। বছর পঞ্চাশের অনুরাধা এখন রস দ্বীপের গাইড। রোজ যান। সঙ্গে থাকে ছাতু, ছোলা, পাউরুটি। হরিণের পাল তাঁর সঙ্গী। এক অন্ধ হরিণের নাম রেখেছেন বাবু। অন্যদেরও নাম আছে। নামে ডাকলেই তারা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে। ঠিক যেমন আসে ময়ূর, বুলবুলি, কাঠবেড়ালি ছোটা চিকচিক, বড়া চিকচিক, আরও কয়েক জন। ওরা অনুরাধার সঙ্গেই ঘোরে তিনি যতক্ষণ দ্বীপে আছেন।

সুনামির সর্বহারাকে এমন ভাবেই নিজেদের জগতে ঠাঁই দিয়েছে জংলিরা।

মডেল: পার্নো মিত্র। ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mahasweta bhattacharya pet animals
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE