কিন্তু ওই সময়ে ঠিক কী হয়েছিল গলওয়ান উপত্যকায়? ২০২০ সালের ৬ জুন কোর কম্যান্ডার স্তরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এলএসি সংলগ্ন এলাকা থেকে বাহিনী কয়েক কিলোমিটার করে পিছিয়ে নেবে দু’দেশই। কিন্তু চিন কথা রাখেনি। সেনা সূত্রের খবর, প্রোটেক্টিভ পেট্রোল-১৪-এর (পিপি-১৪) পশ্চিম ঢালের নীচে যে অস্থায়ী শিবির তৈরি করে ফেলেছিল চিন, বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তা সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল।
২০২০ সালে গলওয়ানে ভারতীয় এবং চিনা সেনার সংঘাতে মৃতের সংখ্যা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। মারপিট ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর খবর জানানো হয় কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু চিনের তরফে? আজ পর্যন্ত তা খোলসা করেনি বেজিং। প্রথমে কোনও হতাহতের কথাই স্বীকার করেনি চিন। পরে মাত্র চার জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়।
যদিও দাবি, প্রায় ৪০ জন জওয়ানকে সে দিন হারিয়েছিল পিএলএ। বেশ কয়েক জন ভারতীয় ও চিনা জওয়ান গলওয়ান নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন বলেও জানা যায়। তবে চিনের দাবি ছিল, ওই সংঘাতে মাত্র চার জন সেনা মারা গিয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে কেবল এক জন, জুনিয়র সার্জেন্ট ওয়াং ঝুওরানের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। যদিও সঠিক সংখ্যাটি কখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, সঙ্গীদের মৃত্যু দেখে ওই নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যে দৌড়ে পালাতে শুরু করে চিনা সেনারা। অকুস্থল থেকে তিব্বতের মূল ভূখণ্ডে ঢুকতে পেরোতে হয় গলওয়ান নদী। পরিস্থিতি এমন হয় যে, ভয়ে দিশেহারা হয়ে পর্যাপ্ত সুরক্ষা না নিয়েই গলওয়ান নদীতে ঝাঁপ দেন বহু চিনা সেনা। খরস্রোতা পাহাড়ি নদীর ঢেউয়ের ধাক্কায় মুহূর্তে তলিয়ে যান ৩৮ জন সেনাকর্মী।
সেই গলওয়ান সংঘর্ষ নিয়েই নাকি তৈরি সলমনের ‘ব্যাটল অফ গলওয়ান’ ছবি। যদিও সেই ছবির ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনা করে চিন সরকারের সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস অভিযোগ তুলেছে, ছবিটির সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। তাদের কথায়, ‘‘সিনেমার পর্দায় যতই বাড়িয়ে দেখানো হোক, ইতিহাস বদলাবে না। সার্বভৌম চিনা ভূখণ্ড রক্ষায় পিএলএ-র সংকল্পেও কাঁপন ধরবে না।’’
সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে একাধিক আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ সত্ত্বেও কাগজটি এ-ও দাবি করেছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার লাগোয়া গলওয়ান উপত্যকা চিনের এলাকাতেই পড়ে। তারা লিখেছে, ‘‘ভারতীয় সেনার কাজকর্মে সীমান্ত এলাকার স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। দুই দেশের সীমান্ত-সমঝোতা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল নীতি লঙ্ঘন করেছে। ভারত হতাহতের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখিয়েছে, তথ্যবিকৃতি এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে চিনা সেনার নাম কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy