এর পর শেয়ার কেনাবেচার একটি প্রক্রিয়া শুরু করেন অস্মিতা। তাঁর দাবি, ওই প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিক ভাবে লাভ হবে। ২০২০ সালে ‘অস্মিতা পটেল গ্লোবাল স্কুল অফ ট্রেডিং’ নামে একটি সংস্থা চালু করেন অস্মিতা। খুচরো বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার বাজার সংক্রান্ত শিক্ষাকে সহজ করার লক্ষ্যে ওই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
প্রথাগত শেয়ার কৌশলগুলিকে সেকেলে বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন অস্মিতা। দাবি করেছিলেন, আর্থিক স্বাধীনতার ‘বিপ্লবী হাতিয়ার’ তার সংস্থার ‘লেটস মেক ইন্ডিয়া ট্রেড’ (এলএমআইটি), ‘মাস্টার্স ইন প্রাইস অ্যাকশন ট্রেডিং’ (এমপিএটি) এবং ‘অপশন মাল্টিপ্লায়ার’ (ওএম) কোর্সগুলি। ওই কোর্সগুলির মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় সূচক এবং ‘মাস্টার প্রাইস অ্যাকশন ট্রেডিং’ এড়ানো যাবে বলেও দাবি করেছিলেন অস্মিতা।
অস্মিতার বিরুদ্ধে তদন্তের শেষে ১২৮ পৃষ্ঠার বিবৃতিতে বিস্তারিত ভাবে সেবি জানিয়েছে, কী ভাবে পটেলের স্কুল টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত সুপারিশ করেছে অবৈধ ভাবে। সেবির দাবি, অস্মিতার সেই কর্মকাণ্ড অবৈধ, কারণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত সুপারিশ কেবলমাত্র আইনত নিবন্ধিত বিনিয়োগ উপদেষ্টারাই দিতে পারেন।
সেবির তদন্তের পর অস্মিতার সংস্থা একটি স্বতঃপ্রণোদিত নিষ্পত্তির আবেদন করেছে। যদিও সেবি স্পষ্ট করেছে যে, নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করলেও তদন্ত প্রক্রিয়া থামবে না। পাশাপাশি, পুরো বিষয় নিয়ে, আর্থিক প্রভাবীদের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং শেয়ার বাজারে এই ধরনের অবৈধ কাজকর্ম ঠেকাতে কঠোর নিয়মের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আওয়াজ তুলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy