Bappi Lahiri wanted to quit Bollywood and Music world due to Kishore Kumar, claims many
URL Copied
চিত্র সংবাদ
Bappi Lahiri: কিশোর কুমারের জন্য সঙ্গীতজগৎ থেকেই দূরে সরে যেতে চেয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি!
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:৫৬
Advertisement
১ / ১৫
তিন বছর বয়স থেকে সুর-তাল-বাদ্যই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। ১৯ বছর বয়সে সেই সঙ্গীতশিক্ষাকে সম্বল করে বলিউড-যাত্রা। তার পর থেকে ধীরে ধীরে হিন্দি ছবির জগতে জাঁকিয়ে বসেছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। তবে আশির দশকের শেষ দিকে নাকি সঙ্গীতজগৎকেই বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন বাপ্পি। তার কারণ ছিলেন নাকি কিশোর কুমার।
২ / ১৫
কিশোর কুমারের সঙ্গে শুধুমাত্র গায়ক-সুরকারের সম্পর্ক ছিল না বাপ্পি লাহিড়ির। সম্পর্কে তাঁর তুতো মামা ছিলেন কিশোর। আত্মীয়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পর্কও সোনা ফলিয়েছিল বলিউডে। নিজের কেরিয়ারে বাপ্পির সুরে অজস্র সুপারহিট গান ছিল কিশোর-কণ্ঠে।
Advertisement
Advertisement
৩ / ১৫
সত্তরের দশকের শেষ দিকে সুরকার হিসাবে পথচলা শুরু করেছিলেন বাপ্পি। বলিউডি ছবির সুরে মিশিয়ে দিয়েছেন ডিস্কোর লয়। পাশাপাশি ডানা মেলেছিলেন বাংলা ছবিতেও। আঞ্চলিকস্তরেও তিনি বিদ্যমান। তেলুগু, তামিল, কন্নড় এবং গুজরাতি ছবিতেও সুরের জাদু ছড়িয়েছেন। নেপথ্য গায়ক হিসাবেও দ্যুতি ছড়িয়েছিল তাঁর উপস্থিতি।
৪ / ১৫
বলিউডে টাটকা হাওয়া বয়ে এনেছিলেন সুরকার বাপ্পি। চিরাচরিত বাদ্যযন্ত্রের পাশাপাশি সিন্থেসাইজারের মতো ইলেকট্রনিক যন্ত্রের বহুল ব্যবহার দেখেছিল বলিউড। হিন্দি ছবিতে সাইকোডেলিক ডিস্কোর সুর জনপ্রিয় করায় বাপ্পির ভূমিকা নিয়ে বিশেষ তর্ক হত না। সে সময় ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘নমক হলাল’, ‘শরাবি’, ‘নকর বিবি কা’, ‘সুহাগ’-এর মতো একের পর এক সুপারহিট ছবিতে শোনা গিয়েছিল বাপ্পির সুর।
Advertisement
৫ / ১৫
অনেকেই হয়তো জানেন না, কিশোরের সৌজন্যেই বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন বাপ্পি। কিশোরের হাত ধরেই অভিনেতা বাপ্পির যাত্রা শুরু হয়েছিল।
৬ / ১৫
১৯৭৪ সালে ‘বড়তি কা নাম দাড়ি’ ছবিতে প্রথম বার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। সে ছবির পরিচালক ছিলেন কিশোর কুমার।
৭ / ১৫
আদ্যন্ত কমেডি ছবি ‘বড়তি কা নাম দাড়ি’-তে বাপ্পির পাশাপাশি তাঁর অন্য মামা অশোক কুমারকেও দেখা গিয়েছিল। ছিলেন কিশোরের ছেলে অমিত কুমারও।
৮ / ১৫
‘বড়তি কা নাম দাড়ি’-র পর আরও দু’টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বাপ্পি। ২০০৯ সালে ‘ম্যায় অউর মিসেস খান্না’ এবং ২০১২-তে ‘ইটস রকিং: দর্দ-এ-ডিস্কো’। তবে অভিনেতা নয়, সুরকার-গায়ক বাপ্পিকেই মনে রেখেছে সঙ্গীতদুনিয়া।
৯ / ১৫
সুরকার হিসাবে বাপ্পির কেরিয়ারের সোনালি রেখা ছিল আশির দশকের শেষ ভাগ। সে সময় খ্যাতির মধ্যগগনে ছিলেন বাপ্পি।
১০ / ১৫
সে সময় বাপ্পির হাতে অজস্র কাজ। ১৯৮৬ সাল জুড়ে ৩৩টি ছবিতে তাঁর ১৮০টিরও বেশি গান রেকর্ডিং হয়েছিল। যা জায়গা করে নিয়েছিল গিনেস বইয়ের রেকর্ডে।
১১ / ১৫
তবে শোনা গিয়েছিল, সে সব ছেড়েছুড়ে দেওয়ার কথাই নাকি চিন্তা-ভাবনা করেছিলেন তিনি। সে ভাবনার অনুঘটক ছিলেন কিশোর।
১২ / ১৫
১৯৮৭ সালের অক্টোবরে প্রয়াত হন কিশোর। সে সময় তাঁর বয়স ছিল ৫৮। বলিউডে কান পাতলে শোনা যায়, সে ঘটনায় নাকি একেবারে ভেঙে প়ড়েছিলেন বাপ্পি।
১৩ / ১৫
কিশোরের প্রয়াণে ব্যক্তিগত লোকসান হয়ে গিয়েছিল বলে ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন বাপ্পি। তবে ছেলের সিদ্ধান্তের কথা শুনে তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন অপরেশ লাহিড়ি।
১৪ / ১৫
বাপ্পির ঘনিষ্ঠদের দাবি, সুরকার ছেলেকে কাছে টেনে নিয়ে বুঝিয়েছিলেন অপরেশ। সঙ্গীতজগৎ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বদল করতে তিনিই নাকি বাপ্পিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিশোরের আশীর্বাদ যে সব সময় বাপ্পির সঙ্গেই রয়েছে, তা-ও নাকি বলেছিলেন তিনি। কিশোরের নাম করেই এগিয়ে চলার কথাও বলেছিলেন অপরেশ।
১৫ / ১৫
বাপ্পি যে স্বমহিমায় ফিরেছেন তা টের পাওয়া গিয়েছিল ওই ছবির ‘গোরি হ্যায় কলাইয়া’ গানে। বাপ্পির সুরে অমিতাভ-জয়ার খুনসুটিতে ভরা সে গান তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। বলিউডেও থেকে গিয়েছিলেন বাপ্পি।