Advertisement
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
South Korea Weapon Export

দামে কম মানে ভাল, সাঁজোয়া গাড়ি-ট্যাঙ্ক-লড়াকু জেট বিক্রিতে ঝড় তুলে চিনা ব্যবসায় ‘লালবাতি’ জ্বালাবে এই দেশ?

২০৩০ সালের মধ্যে চিনকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম হাতিয়ার সরবরাহকারী দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। কী ভাবে পূরণ হবে সোলের স্বপ্ন? রাস্তায় রয়েছে কোন কোন কাঁটা?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ১০:১৭
Share: Save:
০১ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

অস্ত্রব্যবসায় চিনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস। ‘আন্ডারডগ’ হিসাবে খেলতে নেমে ক্রমশ উপরের দিকে উঠে আসছে ‘রিপাবলিক অফ কোরিয়া’ বা আরওকে (পড়ুন দক্ষিণ কোরিয়া)। চাকা লাগানো কামান থেকে শুরু করে মাল্টিপল রকেট লঞ্চার বা সাঁজোয়া গাড়ি। এর পাশাপাশি রয়েছে গোলা-বারুদ এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম। বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে সোলের হাতিয়ারের চাহিদা। অচিরেই কি বেজিঙের আসন টলিয়ে দেবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপদ্বীপ-রাষ্ট্র? জবাব খুঁজছে বিশেষজ্ঞ মহল।

০২ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর (১৯৩৯-’৪৫ সাল) পৃথিবীতে অস্ত্রব্যবসার মূল প্রতিযোগিতা ছিল দ্বিমুখী। ওই সময় হাতিয়ারের বাজারের পুরোটাই চলে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) দখলে। কিন্তু ৯০-এর দশকের পর থেকে ঘুরতে থাকে খেলা। সুইডিশ রেটিং সংস্থা ‘স্টকহলোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা সিপ্রি জানিয়েছে, বর্তমানে দুনিয়ার পাঁচটি বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানিকারী দেশ হল আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, চিন এবং জার্মানি। এই তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে আরওকে।

০৩ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

সিপ্রির সমীক্ষকদের দাবি, যে ভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্রের চাহিদা বাড়ছে তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে চিনকে ছাপিয়ে যাবে সোল। ২০১৮-’২০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী মাত্র ২০০-৩০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করত আরওকে। ঠিক তার পরের বছর থেকেই ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপদ্বীপ-রাষ্ট্রটির হাতিয়ার এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বিক্রির সূচক। ফলে ২০২১ সালে হাতিয়ার ব্যবসার অঙ্ক পৌঁছোয় ৭০০ কোটি ডলারে। অর্থাৎ, ওই বছর এতে ১৫০ শতাংশের বৃদ্ধি দেখেছিল দক্ষিণ কোরিয়া।

০৪ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। তার পর থেকে গত সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে পূর্ব ইউরোপে চলছে যুদ্ধ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার বছরে অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানিতে সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড স্পর্শ করে দক্ষিণ কোরিয়া। টাকার অঙ্কে সেটা ছিল ১,৭৩০ কোটি ডলার। এর পর সোলকে আর কখনওই পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ওই সময় মস্কোর আগ্রাসনের আতঙ্কে তড়িঘড়ি আরওকে থেকে ট্যাঙ্ক এবং কামান (পড়ুন হাউৎজ়ার) কিনতে ১,৪৫০ কোটি ডলারের চুক্তি করে পূর্ব ইউরোপের আর একটি দেশ পোল্যান্ড।

০৫ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

পরবর্তী বছরগুলিতে অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার এই ব্যবসায় কিছুটা ভাটা আসে। তবে কখনওই সেটা বার্ষিক হাজার কোটি ডলারের নীচে নামেনি। সিপ্রির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-’২৪ সালের মধ্যে বিশ্ব অস্ত্রবাজারের মাত্র ২.২ শতাংশ দখল করতে সক্ষম হয় সোল। অন্য দিকে, হাতিয়ার ব্যবসার ৪৩ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র, ৯.৬ শতাংশ ফ্রান্স, ৭.৮ শতাংশ রাশিয়া এবং ৫.৯ শতাংশ চিনের হাতের রয়েছে। স্পেন, ইজ়রায়েল, ব্রিটেন, ইটালি এবং জার্মানির সেখানে অংশীদারি যথাক্রমে ৩, ৩.১, ৩.৬, ৪.৮ ও ৫.৬ শতাংশ।

০৬ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

২০১৫-’১৯ সালের মধ্যে বিশ্বের অস্ত্রবাজারের মাত্র ২.১ শতাংশ ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে। পরবর্তী পাঁচ বছরে এতে ৪.৯ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। সিপ্রির সমীক্ষকদের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে স্থলসেনার জন্য তৈরি কামান কে-৯ থান্ডার হাউৎজ়ার ও চুনমু কে-২৩৯, মাল্টিপল রকেট লঞ্চার, সাঁজোয়া যান রেডব্যাক ইনফ্যান্টি ফাইটিং ভেহিকল এবং কে-২ ব্ল্যাক প্যান্থার নামের মেন ব্যাটেল ট্যাঙ্ক রফতানিতে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে আরওকে।

০৭ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

সোল নির্মিত কে-৯ থান্ডার হাউৎজ়ার ব্যবহার করে ভারতীয় সেনার গোলন্দাজ বাহিনী। আরওকের প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হানওয়া গ্রুপ। নয়াদিল্লি ছাড়াও পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, রোমানিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় হাতিয়ার সরবরাহ করে থাকে তারা। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় সামরিক জোট ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা’ বা নেটো-ভুক্ত দেশগুলির কাছে এর পরিচয় এশিয়ার ‘লকহিড মার্টিন’। আমেরিকার জনপ্রিয় অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে তুলনা টানায় হানওয়া গ্রুপের তৈরি সরঞ্জামের চাহিদা যে বেড়েছে, তা বলাই বাহুল্য।

০৮ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি অস্ত্রই সর্বাধিক পছন্দ করছে বিভিন্ন দেশের স্থলবাহিনী। হানওয়া গ্রুপ অবশ্য তার বাইরেও বেশ কিছু হাতিয়ার তৈরি করছে। উদাহরণ হিসাবে এফএ-৫০ এবং টি-৫০ যুদ্ধবিমানের কথা বলা যেতে পারে। এই দুই লড়াকু জেটের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সরবরাহ করেছে আরওকের ওই প্রতিরক্ষা সংস্থা। পাশাপাশি ডিজিটাল ক্যামেরা (এসিসিটিভিএস), ইন্টারকম সিস্টেম (আইসিএস) এবং স্মার্ট মাল্টি-ফাংশন ডিসপ্লের (এসএমএফডি) মতো প্রয়োজনীয় এভিওনিক্স এবং ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম তৈরিতেও মুনশিয়ানা রয়েছে তাদের।

০৯ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

গত ৫০ বছরে ১০ হাজারের বেশি বিমানের ইঞ্জিন তৈরি করেছে হানওয়া। কোরীয় বায়ুসেনার শিরদাঁড়া হিসাবে পরিচিত এফ-১৫কে লড়াকু জেটের ইঞ্জিন সরবরাহ করে থাকে এই সংস্থা। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে আরওকের তৈরি প্রথম হেলিকপ্টার হল কেইউএইচ সুরিয়ন। সেটিরও ইঞ্জিন দিয়েছে এই প্রতিরক্ষা কোম্পানি। তবে যুদ্ধবিমানের জন্য খুব উন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিন যে হানওয়া তৈরি করতে পেরেছে, এমনটা নয়। বর্তমানে মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পঞ্চম প্রজন্মের লড়াকু জেটের ইঞ্জিন তৈরির চেষ্টা করছে তারা।

১০ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

সোলের বিমানবাহিনীর বহরে রয়েছে সাড়ে চার প্রজন্মের বহুমুখী লড়াকু জেট কেএফ-২১ বোরামে। একে পঞ্চম প্রজন্মের ‘স্টেল্‌থ’ শ্রেণির যুদ্ধবিমান হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে ইন্দোনেশিয়াকে পাশে পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এতে জাকার্তার সাড়ে সাত শতাংশ অংশীদারি রয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পঞ্চম প্রজন্মের মোট ৪৮টি কেএফ-২১ বোরামে জেট বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশটির বায়ুসেনাকে সরবরাহ করবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপদ্বীপ রাষ্ট্র।

১১ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

এ ছাড়া কোরিয়া অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ়ের তৈরি টিএ-৫০ গোল্ডেন ইগল প্রশিক্ষণ লড়াকু জেটের চাহিদা রয়েছে। ২০১৬ সালে ২৪টি এই যুদ্ধবিমান ইরাককে সরবরাহ করে সোল। অন্য দিকে ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহিনী পায় ১৬টি টিএ-৫০। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে সংশ্লিষ্ট লড়াকু জেটটির আরও ছ’টি বরাত দেয় জাকার্তা। বর্তমানে ফিলিপিন্স ১৬টি এবং তাইল্যান্ডের বায়ুসেনা ১২টি টিএ-৫০ ব্যবহার করছে বলে জানা গিয়েছে।

১২ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

কোরীয় অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ়ের গোল্ডেন ইগল সিরিজ়ের হালকা ওজনের লড়াকু জেট হল এফএ-৫০। ২০২২ সালে যার ৪৮টিকে বায়ুসেনায় শামিল করতে চেয়ে সোলের শরণাপন্ন হয় পোল্যান্ড। সেই প্রথম কোনও নেটো-ভুক্ত দেশের থেকে যুদ্ধবিমানের বরাত পায় এশিয়ার এই উপদ্বীপ-রাষ্ট্র। এর পর ২০২৩ সালে ১৮টি এফএ-৫০ জেট কিনতে আরওকের সঙ্গে চুক্তি করে মালয়েশিয়া। যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি নৌবাহিনীর জন্যও একাধিক হাতিয়ার তৈরি করছে সেখানকার বহু প্রতিরক্ষা সংস্থা।

১৩ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

আরওকের নৌবহরে রয়েছে অত্যাধুনিক জ্যাং বোগো শ্রেণির ডিজ়েল-ইলেকট্রিক ডুবোজাহাজ। সংশ্লিষ্ট হাতিয়ারটি ইন্দোনেশিয়া-সহ একাধিক দেশকে রফতানি করেছে সোল। গত বছর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাহাজ নির্মাণকারী দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানে ১৭ শতাংশ অংশীদারি রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপদ্বীপ রাষ্ট্রের। বর্তমানে বিমানবাহী রণতরী, ডেস্ট্রয়ার ও ফ্রিগেট শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ এবং পণ্যবাহী জাহাজ নির্মাণের উপর জোর দিয়েছে তারা।

১৪ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

গত বছর ৪০ হাজার টনের একটি সামরিক মালবাহী জাহাজের মেরামতির জন্য মার্কিন নৌসেনার সঙ্গে চুক্তি করে দক্ষিণ কোরিয়া। সাবেক সেনাকর্তাদের কথায়, সোলের হাতিয়ার পছন্দ করার নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার তৈরি করা অস্ত্রের দাম অনেকটাই বেশি। সেখানে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ সস্তায় কামান, সাঁজোয়া গাড়ি বা ডুবোজাহাজ সরবরাহ করছে আরওকে। ফলে আগামী দিনে ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রেডার এবং লড়াকু জেটের ব্যবসায় তারা চিনকে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

১৫ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

তবে এর উল্টো যুক্তিও রয়েছে। প্রথমত, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানিতে চিনের সমকক্ষ হতে হলে সোলকে অস্ত্রের বিক্রির পরিমাণ ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমানে সামরিক ড্রোন বাজারের ২২ শতাংশ রয়েছে বেজিঙের দখলে। সেখানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে পারেনি আরওকে। একই কথা যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ইতিমধ্যেই দু’টি পঞ্চম প্রজন্মের লড়াকু জেট তৈরি করে ফেলেছে ড্রাগন। তা ছাড়া ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের পরীক্ষা চালাচ্ছে তারা।

১৬ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

অস্ত্রবাজারে চিনের কিছু বাঁধা ক্রেতা রয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আজ়ারবাইজান উল্লেখযোগ্য। নানা কারণে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির বেজিঙের উপর বিভিন্ন ধরনের নির্ভরশীলতা রয়েছে। ইসলামাবাদ তো তাদের হাতিয়ারের ৮০-৮৫ শতাংশ আমদানি করে ড্রাগনভূমি থেকে। দক্ষিণ কোরিয়ার এই সুবিধা নেই। শুধু তা-ই নয়, সামরিক দিক দিয়ে তাদের যথেষ্ট মার্কিন নির্ভরশীলতা রয়েছে।

১৭ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

অন্য দিকে অস্ত্রের ব্যবসায় আবার দক্ষিণ কোরিয়ার ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে তুরস্ক। সামরিক ড্রোনের বাজারে আঙ্কারার যথেষ্ট নামডাক রয়েছে। তা ছাড়া পঞ্চম প্রজন্মের স্টেল্‌থ শ্রেণির একটি লড়াকু জেট তৈরির মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সাবেক অটোমান রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গবেষকেরা। সেখানে সাফল্য পেলে হাতিয়ারের বাজারে সোলের একধাপ নেমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

১৮ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

চলতি বছরের ২০ অক্টোবর সোলে অনুষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক মহাকাশ এবং প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী’তে ভাষণ দেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জ়ে মিউং। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষা শিল্পে চারটে পাওয়ার হাউসের মধ্যে এক জন হওয়া কঠিন হলেও একেবারে অসম্ভব নয়। সেই লক্ষ্যে ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রত্যাশার চেয়ে বেশি খরচ করবে সরকার।’’ পাশাপাশি, এ ব্যাপারে বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে যে আরওকে এগোবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লি।

১৯ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়া ইস্তক রাশিয়ার উপর ১৬ হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমি দুনিয়া। বিশ্লেষকদের দাবি, সেই কারণে অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে মস্কোর হাতিয়ারের ব্যবসা। এ বছরের ডিসেম্বরে ভারত সফর করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই সময় নয়াদিল্লির সঙ্গে একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আগামী দিনে আরও কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে সোল।

২০ ২০
Can South Korea topple China as Seoul aims to emerge top 4 weapons exporter in World

সাবেক সেনাকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, কৃত্রিম মেধাভিত্তিক ড্রোন নির্মাণে খুব দ্রুত বড় সাফল্য পাবে আরওকে। তখন আবার অস্ত্রব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবে সোল। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে না এলেও হাতিয়ার রফতানিতে সাত নম্বর স্থান পেতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া, বলছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy