অস্ত্রব্যবসায় চিনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস। ‘আন্ডারডগ’ হিসাবে খেলতে নেমে ক্রমশ উপরের দিকে উঠে আসছে ‘রিপাবলিক অফ কোরিয়া’ বা আরওকে (পড়ুন দক্ষিণ কোরিয়া)। চাকা লাগানো কামান থেকে শুরু করে মাল্টিপল রকেট লঞ্চার বা সাঁজোয়া গাড়ি। এর পাশাপাশি রয়েছে গোলা-বারুদ এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম। বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে সোলের হাতিয়ারের চাহিদা। অচিরেই কি বেজিঙের আসন টলিয়ে দেবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপদ্বীপ-রাষ্ট্র? জবাব খুঁজছে বিশেষজ্ঞ মহল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর (১৯৩৯-’৪৫ সাল) পৃথিবীতে অস্ত্রব্যবসার মূল প্রতিযোগিতা ছিল দ্বিমুখী। ওই সময় হাতিয়ারের বাজারের পুরোটাই চলে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) দখলে। কিন্তু ৯০-এর দশকের পর থেকে ঘুরতে থাকে খেলা। সুইডিশ রেটিং সংস্থা ‘স্টকহলোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা সিপ্রি জানিয়েছে, বর্তমানে দুনিয়ার পাঁচটি বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানিকারী দেশ হল আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, চিন এবং জার্মানি। এই তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে আরওকে।