Canadians demand for banning access of pornhub in America amid tariff war dgtl
America-Canada
হাতিয়ার এ বার দুষ্টু ওয়েবসাইট! আমেরিকার বিরুদ্ধে শুল্কযুদ্ধে জিততে অন্য অস্ত্রে শান দিচ্ছে কানাডা
কানাডার নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই দাবি তুলেছেন, লিবারেল সরকারের উচিত আমেরিকায় পর্নহাবের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া। তাঁদের মতে, আমেরিকানদের পর্নহাব দেখা বন্ধ করা গেলে মুখের মতো জবাব দেওয়া যাবে ওয়াশিংটনকে।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ০৭:৫৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
আমেরিকা এবং কানাডার শুল্কযুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় বার শপথ নিয়েই কানাডার উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প।
০২১৮
বস্তুত, ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কানাডার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে নেমে পড়েছেন। কানাডার বিভিন্ন পণ্যের উপর শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি, যার জেরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন তৈরি হয়েছে।
০৩১৮
ট্রাম্পের শুল্কনীতির পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কানাডাও। কানাডায় আমেরিকান পণ্য বয়কটের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। একই সঙ্গে কানাডার পণ্য আমেরিকায় না পাঠানোর দাবিও তুলেছেন অনেকে।
০৪১৮
কানাডার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, আমেরিকার বিরুদ্ধে কানাডার হাতে এমন এক ‘পরমাণু অস্ত্র’ রয়েছে যা ইচ্ছা করলেই ব্যবহার করতে পারে তাদের সরকার। আর তাতেই নাকি ঠেলা টের পাবে ট্রাম্পের দেশ।
০৫১৮
কিন্তু কী সেই ‘পরমাণু অস্ত্র’? সেই অস্ত্রের নাম ‘পর্নহাব’। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে জনপ্রিয় এক দুষ্টু ওয়েবসাইট, যা কানাডার সংস্থা ‘আয়লো’র মালিকানাধীন।
০৬১৮
কানাডার নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই দাবি তুলেছেন, লিবারেল সরকারের উচিত, আমেরিকায় পর্নহাবের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া। তাঁদের মতে, আমেরিকানদের পর্নহাব দেখা বন্ধ করা গেলে মুখের মতো জবাব দেওয়া যাবে ওয়াশিংটনকে।
০৭১৮
আমেরিকার জন্য পর্নহাবের ‘দরজা’ বন্ধ করে দেওয়ার দাবি প্রথম তোলেন টরন্টোর বাসিন্দা ম্যাথিউ পুঝিটস্কি। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ওই দাবি তোলেন তিনি। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় ভিডিয়োটি। জনপ্রিয়তা লাভ করে তাঁর প্রস্তাবও।
০৮১৮
আমেরিকায় দুষ্টু ওয়েবসাইটের পরিষেবা বন্ধ করাকে কানাডার ‘গোপন পরমাণু অস্ত্র’ এবং চলতে থাকা শুল্কযুদ্ধে ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ হিসাবেও বর্ণনা করা হয়েছে ম্যাথিউয়ের ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োয়।
০৯১৮
সে প্রসঙ্গে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট’কে ম্যাথিউ বলেন, ‘‘কানাডা যদি আমেরিকার রাজ্যগুলিতে পর্নহাব নিষিদ্ধ করতে পারে, তা হলে আমরা শুল্কযুদ্ধে জয়ী হব। ব্যস, আর কোনও শুল্কযুদ্ধ থাকবে না।’’
১০১৮
অন্য দিকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পর্নহাবের নিজস্ব পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাইটের প্রায় ৪০ শতাংশ ট্র্যাফিক আমেরিকা থেকে আসে। ফলে আন্তঃসীমান্ত অর্থনৈতিক সংঘাতের আবহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘অস্ত্র’ হয়ে উঠতে পারে দুষ্টু ওয়েবসাইটটি।
১১১৮
কানাডা সরকারের আমেরিকায় পর্নহাবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত কি না, তা জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
১২১৮
একটি অনলাইন আবেদনে আমেরিকায় এই দুষ্টু ওয়েবসাইটের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার পক্ষে অনেক স্বাক্ষরও সংগ্রহ করা হচ্ছে।
১৩১৮
ওই অনলাইন আবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, সাইটটি আমেরিকায় ‘ব্লক’ করা হলে আমেরিকার শুল্ক নীতির বিরোধিতা আরও জোরালো হবে।
১৪১৮
উল্লেখ্য, টেক্সাস, ফ্লরিডা এবং ভার্জিনিয়া-সহ আমেরিকার ১৬টি রাজ্য সরকার কর্তৃক জারি করা কঠোর বয়স-যাচাই আইনের কারণে ইতিমধ্যেই পর্নহাবের পরিষেবা প্রায় বন্ধ হয়েছে।
১৫১৮
সে সব রাজ্যে গোপনীয়তা সংক্রান্ত আইন মেনে চলার থেকে পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তই নিয়েছে পর্নহাবের মূল সংস্থা।
১৬১৮
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে সংঘাতপূর্ণ অবস্থান নেওয়ার পর এই ‘ডিজিটাল প্রতিশোধ’-এর আহ্বান জানানো হয়েছে।
১৭১৮
কার্নে সাম্প্রতিক এক বক্তৃতায় বলেন, ‘‘আমরা যা তৈরি করি, যা বিক্রি করি, যার উপর ভিত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করি তার উপর অযৌক্তিক শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডার মানুষ, পরিবার এবং ব্যবসাকে আক্রমণ করছেন তিনি।’’
১৮১৮
কিন্তু পর্নহাব বন্ধ করলে কি আদৌ লাভ হবে? এতে কি কানাডার মূল সংস্থার আর্থিক ক্ষতি হবে না? এই ধরনের বহু প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে সমাজমাধ্যমে।