অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করার পথ বন্ধ করতে একগুচ্ছ অবৈধ সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সম্প্রতি সরকার সংসদে জানিয়েছে, ইলেক্ট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা প্রয়োগ করে ৮৭টি ঋণ সংস্থাকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। এ দেশে সেই সব সংস্থার কাজকর্মের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মন্ত্রক।
সরকারি মান্যতাপ্রাপ্ত বা সরকারের তালিকায় নাম থাকা ডিজিটাল অ্যাপগুলি থেকেই শুধুমাত্র ঋণ নেওয়া যাবে। ১ ডিসেম্বর লোকসভায় কর্পোরেট মন্ত্রকের কাছে পাঠানো একটি প্রশ্নের উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে লিখিত আকারে তথ্যটি প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হর্ষ মলহোত্র এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন লোকসভার অন্দরে।
কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে যে, ঋণ অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন ঋণ প্রদানে জড়িত সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়লেই যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একই সঙ্গে মন্ত্রক আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, অবৈধ সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও, ২০১৩ সালের কোম্পানি আইনে ‘শেল কোম্পানি’ শব্দবন্ধটি যথাযথ সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। এই জাতীয় সংজ্ঞা আইনে যোগ করার কোনও প্রস্তাব নেওয়া হয়নি।
মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হর্ষ জানিয়েছেন, ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায়, ইলেক্ট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ক্ষতিকারক ডিজিটাল বিষয়বস্তুতে সাধারণ মানুষের প্রবেশের অধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ৮৭টি অবৈধ ঋণ প্রদানকারী অ্যাপকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সরকার।
লাগামহীন ভাবে তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি, তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় শিথিলতা, বকেয়া আদায়ে অনৈতিক পদক্ষেপ, চড়া সুদ, গ্রাহকের ক্ষমতা যাচাই না করে ঋণ দেওয়ার মতো ঝুঁকি রয়েছে ডিজিটাল ঋণের ক্ষেত্রে। গ্রাহক তথ্যের নিরাপত্তা, ঋণ মঞ্জুরের প্রক্রিয়া, বকেয়া উদ্ধারে অনৈতিক প্রক্রিয়া, মাত্রাতিরিক্ত সুদ ঠেকাতে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র।
সাত থেকে ১৫ দিনের জন্য ঋণ দেওয়া হয় অ্যাপগুলির মাধ্যমে। তার জন্য ‘প্ল্যাটফর্ম ফি’ (ওই অনলাইন অ্যাপ ব্যবহার করে ঋণ নেওয়ার জন্য মূল্য) বাবদ মোট ঋণের ৩০-৪০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। যাঁরা সেই টাকা দিতে পারেন না, তাঁদের বিভিন্ন ভাবে চাপ দেওয়া হয়। এমনকি তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্যও হাতিয়ে নিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নজরদারিতে ধরা পড়েছে ব্যাঙ্ক, এনবিএফসি কিংবা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অধীনে থাকা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বা নিজেরাই ইন্টারনেট এবং অ্যাপের মাধ্যমে ঋণের ব্যবসায় পা রাখছে বিভিন্ন প্রযুক্তি সংস্থা। এতে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে কি না, মাত্রাতিরিক্ত হারে সুদ নেওয়া হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটিও রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy