Advertisement
০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Donald Trump’s Economic Policy

‘যন্ত্রণা দিয়ে আনন্দ পান’, নোবেল শান্তির বায়না ধরা ট্রাম্পকে বকলমে ‘বদ্ধ উন্মাদ’ বললেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির কড়া সমালোচনা করেছেন বছর ৮২-র নোবেলজয়ী আমেরিকার অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিটজ়। শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করছেন বলেও সুর চড়িয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৬
Share: Save:
০১ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

নোবেল শান্তি পুরস্কার চেয়ে ‘বায়না’ ধরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে তাঁর যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিটজ়। শুধু তা-ই নয়, একরকম চাঁচাছোলা ভাষায় ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির সমালোচনা করেছেন তিনি। বলেছেন, এতে সাড়ে সাত দশক পিছিয়ে যাবে আমেরিকার অর্থনীতি। পাশাপাশি, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে শিক্ষা ও গণতন্ত্রের ধ্বংসকারী বলতেও ছাড়েননি স্টিগলিটজ়।

০২ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

সম্প্রতি, ভারত, ব্রাজ়িল এবং চিনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমে মুখ খোলেন বছর ৮২-র নোবেলজয়ী জোসেফ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘অর্থনীতির সমস্ত তত্ত্বকে দূরে সরিয়ে রেখে বাণিজ্যিক সংঘাতে নেমেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কী করছেন, তা তিনি নিজেও জানেন না। সারা দুনিয়ার কাছে সেটাই সবচেয়ে ঝঞ্ঝাটের। এতে বিপরীত দিকে থাকা সমঝোতাকারীরা বিরক্ত হচ্ছেন এবং ক্রমাগত আমেরিকাবিরোধী পদক্ষেপ করছেন।’’

০৩ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

এর পরই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমেরিকার সম্ভাব্য বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন স্টিগলিটজ়। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের সমঝোতাগুলির মূল ভিত্তি হল দর কষাকষি। আপনি কখনওই উল্টো দিকে বসে থাকা দেশটির থেকে সব কিছু পাবেন না। কারণ, তারাও বাণিজ্যচুক্তি থেকে লাভের গুড় খেতে ইচ্ছুক। আমি এ রকম অনেক বিদেশিকে চিনি, যাঁরা সমঝোতা বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের সাফ কথা, সম্ভাব্য বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র স্বাভাবিক আচরণ করছে না।’’

০৪ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

পাশাপাশি, এই ইস্যুতে বকলমে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘বদ্ধ উন্মাদ’ বলে খোঁচা দিয়েছেন নোবেলজয়ী স্টিগলিটজ়। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও বাণিজ্যচুক্তির নেপথ্যে একটা তত্ত্ব থাকে। কী ভাবে সংশ্লিষ্ট সমঝোতা মেনে দু’টি দেশ এগিয়ে যাবে, তার নীলনকশাও তৈরি হয় সেখানে। কিন্তু ট্রাম্প জমানায় তার কোনও বালাই নেই। একটা আলাদা বিশ্বে রয়েছেন তিনি। নিজের খেয়ালে উদ্ভট কথা বলছেন, উদ্ভট এবং পাগলাটে আচরণ করছেন।’’

০৫ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়া ইস্তক ভারত, ব্রাজ়িল এবং চিন-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ঘাটতি নিয়ে সরব হন ট্রাম্প। এই ব্যবধান মেটাতে এপ্রিলে ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতি চালু করেন তিনি। সেখানে বলা হয়, যে দেশ মার্কিন পণ্যে যতটা শুল্ক নেবে, সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামগ্রীর উপরে ঠিক ততটাই শুল্ক চাপাবে আমেরিকা। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ বলে উল্লেখ করেছেন স্টিগলিটজ়।

০৬ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

গণমাধ্যমের সামনে উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন নোবেলজয়ী জোসেফ। তাঁর যুক্তি, ‘‘ট্রাম্প বলছেন, যাঁদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যঘাটতি রয়েছে, তারা নাকি অনৈতিক সুবিধা পাচ্ছে। আর আমরা যে হেতু দুনিয়ার অন্যতম ‘সুপার পাওয়ার’, তাই সকলকে আমাদের থেকে পণ্য কিনতেই হবে। কিন্তু, মনে রাখতে হবে যে এটা ১৯৫০ সাল নয়, ২০২৫। ২১ শতকের আধুনিক পৃথিবীতে এটা সম্ভব নয়।’’

০৭ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

স্টিগলিটজ়ের দাবি, মার্কিন অর্থনীতির বড় অংশ পরিষেবাক্ষেত্রের উপরে নির্ভরশীল। তার মধ্যে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য। অন্য দিকে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) মাত্র ৯ থেকে ১০ শতাংশ আসে ঘরের মাটিতে তৈরি হওয়া পণ্য থেকে। নোবেলজয়ীর প্রশ্ন, ‘‘এই ক্ষেত্রগুলির উন্নতির জন্য কী করেছেন ট্রাম্প? ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কেবল ধ্বংসই করে চলেছেন।’’

০৮ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের গোড়াতেই খবরের শিরোনামে থেকেছে বেআইনি অনুপ্রবেশ। এটা বন্ধ করতে বিপুল সংখ্যায় অভিযুক্তকে প্রথমে গ্রেফতার এবং পরে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠান তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ধৃতদের সামরিক বিমানে চাপিয়ে তাঁর নিজের দেশে পৌঁছে দেয় আমেরিকার ফৌজ। এই সফরকালে সর্ব ক্ষণ হাতকড়া এবং পায়ে বেড়ি পরিয়ে রাখা হয় তাঁদের। এর থেকে ছাড় পাননি ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ভারতীয়েরাও। যদিও ওয়াশিংটনের ওই পদক্ষেপ নিয়ে দুনিয়া জুড়ে ওঠে নিন্দার ঝড়।

০৯ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

নোবেলজয়ী জোসেফ মনে করেন, এর জেরে আখেরে লোকসান হয়েছে ওয়াশিংটনের। বেআইনি অনুপ্রবেশ আটকাতে গিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে অনিশ্চিত দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে আমেরিকা। ফলে বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে অনেকেই আর উচ্চশিক্ষা বা পর্যটনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে চাইছেন না। স্টিগলিটজ়ের কথায়, ‘‘আমাদের প্রেসিডেন্ট যন্ত্রণা দিয়ে আনন্দ পান। মানুষের কষ্ট লাঘব করার কোনও ইচ্ছাই নেই তাঁর।’’

১০ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

স্টিগলিটজ় মনে করেন, ঘরের মাটিতে পণ্য উৎপাদন করার মতো কাঁচামাল এবং পরিকাঠামো নেই আমেরিকার। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘‘আগামী দিনে কারখানায় যাবতীয় সামগ্রী তৈরি করবে রোবট। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন সামগ্রী উৎপাদন করা গেলেও, আমরা যে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারব, এমনটা নয়। তা হলে বিভিন্ন দেশের উপরে শুল্ক চাপানোর অর্থ কী? এতে কার লাভ হচ্ছে?’’

১১ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানায় জন্ম হওয়া স্টিগলিটজ় প্রথম জীবনে ছিলেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। পরবর্তী কালে বিশ্বব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ পদে ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে তাঁকে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে নোবেল কমিটি। তাঁর লেখা বইগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘স্বাধীনতার পথ: অর্থনীতি এবং ভাল সমাজ’ (দ্য রোড টু ফ্রিডম: ইকোনমিকস অ্যান্ড দ্য গুড সোসাইটি)।

১২ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

স্টিগলিটজ়ের মতোই নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের শুল্কসংঘাত নিয়ে ট্রাম্পকে বিঁধেছেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ রিচার্ড উল্‌ফ। সংবাদমাধ্যম ‘রাশিয়া টুডে’কে দেওয়া পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে বিশ্বের সর্বাধিক কঠিন ব্যক্তির মতো আচরণ করছে আমেরিকা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী দুনিয়ার সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশ হল ভারত। এই অবস্থায় ওদের কী করতে হবে, সেই নির্দেশ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র! দেখে মনে হচ্ছে, একটা ইঁদুর মুষ্টি পাকিয়ে হাতিকে আঘাত করছে।’’

১৩ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

এর পাশাপাশি ‘ব্রিকস’ সংগঠন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন রিচার্ড। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার বাজার যদি ভারতের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে ওরা পণ্য রফতানি করতে অন্যত্র যাবে। এতে শক্তিশালী হবে ব্রিকস গোষ্ঠী। ঠিক যেমনটা রাশিয়া করেছে। মস্কো এখন তাদের জ্বালানি অন্যত্র বিক্রি করছে। নয়াদিল্লিও সেটাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে অন্য দেশে, বিশেষ করে ‘ব্রিকস’ভুক্ত দেশগুলির বাজারে পণ্য পাঠাবে। ফলে পশ্চিমের বিকল্প হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে ব্রিকস।’’

১৪ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

২০০৯ সালে জন্ম হওয়া ‘ব্রিকস’ সংগঠনে রয়েছে মোট ১০টি দেশ। সেগুলি হল ব্রাজ়িল, রাশিয়া, ভারত, চিন, সাউথ আফ্রিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিম ইউরোপের আর্থিক আধিপত্যের বিকল্প খুঁজে বার করাই এই গোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য। বর্তমানে মার্কিন মুদ্রা ডলারের একাধিপত্যকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ‘ব্রিকস’। আর তাই নয়াদিল্লির সঙ্গে ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের সিদ্ধান্তকে নিজের পায়ে কুড়ুল মারার শামিল বলে উল্লেখ করেছেন অর্থনীতিবিদ রিচার্ড।

১৫ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

পশ্চিমি দুনিয়ার একটি নিজস্ব অর্থনৈতিক জোট রয়েছে, নাম গ্রুপ অফ সেভেন বা জি-৭। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, কানাডা এবং জাপান। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও (ইইউ) এর ভিতরে রাখা হয়েছে। একটা সময়ে রাশিয়াকে নিয়ে জি-৮ তৈরি করে পশ্চিমি বিশ্ব। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের থেকে ক্রাইমিয়া ছিনিয়ে নেয় মস্কো। তার পরই সংশ্লিষ্ট সংগঠনটির থেকে বহিষ্কৃত হয় ক্রেমলিন।

১৬ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

‘রাশিয়া টুডে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করেন অর্থনীতিবিদ রিচার্ড। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি) ৩৫ শতাংশ আসে ভারত, রাশিয়া, চিন ও অন্যান্য ‘ব্রিকস’ দেশ থেকে। সেখানে জি-৭ রাষ্ট্রগুলির জিডিপি ২৮ শতাংশে নেমে গিয়েছে। এই অবস্থায় নয়াদিল্লির সঙ্গে শুল্ক নিয়ে লড়াই করা মূর্খামি।’’

১৭ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বরাবরই ‘ব্রিকস’কে ছোট গোষ্ঠী বলে অবজ্ঞা করে এসেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংশ্লিষ্ট সংগঠনটি ‘দ্রুত বিলুপ্ত হবে’ এবং ‘মারা গিয়েছে’ বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। পাশাপাশি, ‘ব্রিকস’ভুক্ত দেশগুলি যদি ডলারের বিকল্প কোনও মুদ্রা চালু করে তা হলে তাদের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেন তিনি।

১৮ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

‘ব্রিকস’ নিয়ে ট্রাম্পের এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অর্থনীতিবিদ উল্‌ফ। আর তাই এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। পডকাস্টে তাঁর নাম করে রিচার্ড বলেন, ‘‘আপনি যেটা করছেন, তাকে হট হাউস ফ্যাশন বলা যেতে পারে। পশ্চিমি বিশ্বের তুলনায় আরও বৃহত্তর, সমন্বিত এবং সফল অর্থনৈতিক বিকল্প হিসাবে গড়ে উঠছে ব্রিকস। আমরা সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তটা দেখতে চলেছি।’’

১৯ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

ট্রাম্প শপথ নেওয়ার চার মাসের মাথায় ভিসা নীতিতে বড় বদল আনে ওয়াশিংটন। গত ২৮ মে নতুন নিয়মের কথা ঘোষণা করেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, ‘‘আগামী দিনে আক্রমণাত্মক ভাবে চিনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বিপুল সংখ্যায় বাতিল করা হবে।’’ ফলে মান্দারিনভাষী যে ছাত্র-ছাত্রীরা যুক্তরাষ্ট্র পড়াশোনা করছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। যদিও ওই পড়ুয়াদের ভিসা সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

২০ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

গত ২৬ অগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে চিনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বিলির প্রসঙ্গে বিস্ফোরক ঘোষণা করেন ট্রাম্প। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমি এ ব্যাপারে অনেক গল্প শুনেছি। আমরা নাকি ড্রাগনভূমির পড়ুয়াদের প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে সেটা হবে না। আমরা ওদের অনুমতি দেব। মোট ছ’লক্ষ শিক্ষার্থী ভিসা পাবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে আমরা বেজিঙের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব।’’

২১ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

এ বছরের ২৮ অগস্ট চিনা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ট্রাম্পের ভিসা নীতির ব্যাখ্যা দেয় তাঁর ওভাল অফিস। মার্কিন গণমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’-এর করা প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের প্রেসিডেন্ট বেজিঙের পড়ুয়াদের জন্য ‘স্টুডেন্ট ভিসা’ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিচ্ছেন না। গত দু’বছরে যে ছ’লক্ষ শিক্ষার্থী এখানে এসেছেন তাঁদের ভিসা পুনর্নবীকরণের কথা বলেছেন তিনি। এটা বিদ্যমান প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা।’’

২২ ২২
Donald Trump is hell-bent at hurting says Joseph Stiglitz, a Nobel laureate US economics

আমেরিকার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রের গবেষণা চালিয়ে যেতে অনেকাংশেই বিদেশি পড়ুয়াদের থেকে প্রাপ্ত অর্থের উপরে নির্ভরশীল। চিনা পড়ুয়াদের ভিসা বিপুল সংখ্যায় বাতিলে সেগুলি থমকে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হত। আর তাই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে ট্রাম্প পিছিয়ে এসেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy