From Harshad Mehta to Jane Street, Indian Stock Market Regulator SEBI failed to resist scams, know the reason dgtl
Stock Market Scams vs SEBI
হর্ষদ মেহতা থেকে হালের জেন স্ট্রিট, বার বার কোটি কোটি টাকা ‘লুট’! কেন স্টক-কেলেঙ্কারি আটকাতে ব্যর্থ সেবি?
গত শতাব্দীর ৯০-এর দশকের গোড়ায় হর্ষদ মেহতা থেকে হালফিলের ‘জেন স্ট্রিট ক্যাপিটাল’-এর শেয়ার কেলেঙ্কারি। বার বার স্টকে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও কেন তা আটকাতে পারছে না বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবি? কোথায় রয়েছে গলদ?
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫ ১০:২২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
ফের শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় গোটা দেশ। স্টক কেনাবেচায় ‘কারসাজি’র জন্য ‘জেন স্ট্রিট ক্যাপিটাল’কে কাঠগড়ায় তুলেছে সেবি (সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া)। চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একটি অন্তর্বর্তিকালীন আদেশ জারি করে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সংস্থা। ফলে আপাতত শেয়ার বাজারে কোনও লেনদেন করতে পারবে না ‘জেন স্ট্রিট ক্যাপিটাল’। স্টকের দুনিয়ায় কোনও রকমের কারচুপি সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেবির চেয়ারম্যান তুহিনকান্ত পাণ্ডে।
০২২০
ভারতের শেয়ার বাজারে আর্থিক তছরুপের ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। ‘জেন স্ট্রিট ক্যাপিটাল’-এর বহু আগে স্টক কেলেঙ্কারির জন্য খবরের শিরোনামে আসেন হর্ষদ শান্তিলাল মেহতা। বাজার নিয়ন্ত্রণের গুরুদায়িত্ব কাঁধে থাকা সত্ত্বেও তাঁর ‘কারসাজি’ ধরতে ব্যর্থ হয় সেবি। ফলে রাতারাতি গায়েব হয়ে যায় আমজনতার লগ্নি করা কোটি কোটি টাকা। শুধু তা-ই নয়, লাফিয়ে নেমেছিল স্টকের সূচক। আতঙ্কে বাজারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন বিনিয়োগকারীদের একাংশ।
০৩২০
১৯৮৮ সালে জন্ম হওয়া সেবির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পরবর্তী দশকগুলিকে একাধিক আইন পাশ করে কেন্দ্র। শেয়ার কেলেঙ্কারিতে যুক্ত যে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে এই সংস্থার। তা সত্ত্বেও কেন বার বার আর্থিক তছরুপ আটকাতে ব্যর্থ হচ্ছে সেবি? স্টক বাজারে লগ্নিকারীদের অর্থ কতটা সুরক্ষিত? ‘জেন স্ট্রিট ক্যাপিটাল’-এর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ সামনে আসার পর স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে এই সমস্ত প্রশ্ন।
০৪২০
১৯৯২ সালে হর্ষদ মেহতার শেয়ার কেলেঙ্কারির পর সেবির আইনি ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নতুন বিল পাশ করে সরকার। আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ওই তছরুপের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাটিকে ষোলো আনা দোষ দেওয়া উচিত নয়। হর্ষদের সঙ্গে নিবিড় ভাবে জড়িয়ে ছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একগুচ্ছ পদস্থ আধিকারিক। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে লেনদেন করতেন হর্ষদ। ব্যাঙ্কের টাকা সরকারি নিরাপত্তা খাতে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে।
০৫২০
ব্যাঙ্ক ও সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করায় মেহতার হাতে চলে আসে বিপুল টাকা। নিয়ম মেনে সেটা সুনির্দিষ্ট জায়গায় জমা না করে শেয়ারে বিনিয়োগ করতেন তিনি। এতে বাজারে হঠাৎ করে লগ্নির অঙ্ক অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় হু-হু করে চড়ত স্টকের সূচক। দাম অনেকটা বেড়ে গেলে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিতেন হর্ষদ। এর পর ব্যাঙ্কের টাকা ফেরত দিয়ে দিনের পর দিন অতিরিক্ত লাভের অর্থ পকেটস্থ করছিলেন কুখ্যাত এই ‘বিগ বুল’।
০৬২০
এই ভাবে চলতে চলতে একটা সময়ে হর্ষদের লোভ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ব্যাঙ্কের টাকাও ফেরত দেননি তিনি। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) থেকে ১০ হাজার কোটি গায়েব করায় তাঁকে দাষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। এই কুখ্যাত ‘বিগ বুল’-এর বিরুদ্ধে মোট ২৭টি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার মধ্যে চারটিতে অপরাধ প্রমাণ হয় তাঁর। ফলে হর্ষদের ঠাঁই হয় গারদে। বিচারে তাঁর সাজা হওয়ার পর আর্থিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলেছিলেন, ‘‘হর্ষদ কোনও জালিয়াতি করেননি। কেবলমাত্র সরকারি ব্যবস্থার ফাঁকফোকরগুলি ব্যবহার করেছিলেন তিনি।’’
০৭২০
হর্ষদের স্টক কেলেঙ্কারি কিন্তু সেবির নজরে আসেনি। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) অডিটে বিষয়টি ধরা পড়ে। দেশের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা আরবিআই (রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া) হওয়ায় মধ্যস্থতাকারীর ব্যবহার নিয়ে কোনও রকম হস্তক্ষেপের অধিকার ছিল না সেবির। এরই খেসারত দিতে হয় শেয়ার বাজারকে। হর্ষদের জালিয়াতি প্রকাশ্যে চলে আসার সঙ্গে সঙ্গেই স্টকের সূচক এতটা নীচে চলে গিয়েছিল যে মোটা লোকসানের মুখে পড়েন লগ্নিকারীরা। এর আঁচ এসে লেগেছিল ভারতীয় অর্থনীতির গায়েও।
০৮২০
স্টক জালিয়াতিতে জড়িত থাকা হর্ষদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে পরিচিত কেতন পারেখের কুকীর্তি ফাঁস করতেও সেবির কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। এর জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাটির কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে যৌথ সংসদীয় কমিটি। পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট কেতন কর্মজীবনের গোড়ার দিকে হর্ষদের ব্রোকারেজ ফার্ম ‘গ্রোমার ইনভেস্টমেন্ট’-এর কর্মী ছিলেন। স্টক কেনাবেচায় ‘কারসাজি’র জন্য সার্কুলেট ট্রেডিংয়ের আশ্রয় নেন তিনি। এর জেরে ২০০১ সালের ৩০ মার্চ গ্রেফতার হতে হয় তাঁকে। ২০১৪ সালের মার্চে মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনায় কেতনকে।
০৯২০
তদন্তকারীদের দাবি, শেয়ার কেলেঙ্কারির জন্য অভিনব একটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন হর্ষদের সহযোগী কেতন। ছোট মূলধনের সংস্থাগুলির শেয়ার বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ীর মধ্যে বার বার কেনাবেচা করতেন তিনি। এর জেরে সংশ্লিষ্ট স্টকগুলির চাহিদা রয়েছে ভেবে সেগুলিতে বিনিয়োগ করতে থাকেন লগ্নিকারীরা। ফলে দ্রুত গতিতে চড়তে থাকে দাম। উদাহরণ হিসাবে জি টেলিফিল্মসের শেয়ারের কথা বলা যেতে পারে। কেতনের সার্কুলেট ট্রেডিংয়ের জেরে এই সংস্থার ১২৭ টাকার স্টক এক লাফে ১০ হাজার টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। এই কায়দায় জালিয়াতি করার জন্য মজা করে অনেকেই কেতনের নাম রাখেন ‘পেন্টাফোর বুল’।
১০২০
কেতন-কেলেঙ্কারির পর প্রশ্নের মুখে পড়ে বাজারের উপর সেবির নজরদারি প্রক্রিয়া। স্থানীয় পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই বজ্র আঁটুনির ফাঁক গলে দিনের পর দিন দিব্যি সার্কুলেট ট্রেডিং চালিয়ে গিয়েছেন কেতন। ২০১০ সালে আবার সামনে আসে ‘এনএসই সহ-অবস্থান’ (পড়ুন এনএসই কো-লোকেশন) জালিয়াতি। জানা যায় খোদ ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ বা এনএসই দফতরের ভিতরেই সার্ভার বসিয়ে ব্যবসা করছে কিছু ব্রোকারেজ ফার্ম। ফলে শেয়ারের দাম ওঠাপড়া হলেই মুহূর্তের মধ্যে সেটা কিনতে বা বিক্রি করে দিতে পারছে তারা। এতে মোটা লাভ হচ্ছে এক শ্রেণির মধ্যস্থতাকারীর। আর লোকসানের মুখ দেখছেন খুচরো লগ্নিকারীরা।
১১২০
‘এনএসই সহ-অবস্থান’ কারচুপিতে মোট কত টাকা ব্রোকারেজ ফার্মগুলি সরিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেউ মনে করেন এই অঙ্ক ৫০ হাজার কোটি টাকা। কারও আবার ধারণা সেটা ৭৫ হাজার কোটির ছাড়িয়ে গিয়েছে। তদন্তে জানা যায়, ন্যানো সেকেন্ডে শেয়ারের দামে ওঠাপড়া জানতে ‘ডার্ক ফাইবার’ নামের বিশেষ এক ধরনের তারযুক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করে এনএসই দফতরের ভিতরে ব্যবসা করা যাবতীয় ব্রোকারেজ ফার্ম। এই প্রযুক্তির সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো নেই সেবির কাছে।
১২২০
ফলে ‘এনএসই সহ-অবস্থান’ জালিয়াতির বিষয়টি নজরে পড়েনি কেন্দ্রীয় সংস্থার। সেখানকার ব্রোকারেজ ফার্মগুলির এ-হেন চুরি ফাঁস করে দেন শেয়ার বাজারের এক কর্মী। পরে অবশ্য এর জন্য ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জকে মোটা টাকা জরিমানা করে সেবি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই বাজারের কর্তাব্যক্তিরা। তখন প্রমাণ চাওয়া হলে তা এজলাসে পেশ করতে ব্যর্থ হয় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সংস্থা।
১৩২০
২০১৯ সালে ব্রোকারেজ ফার্ম ‘কার্ভে স্টক’-এর বিরুদ্ধে লগ্নিকারীদের ধোঁকা দিয়ে বাজার থেকে ২,৭০০ কোটি টাকা ঋণ জোগাড় করার অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে ২০২৩ সালে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সেবি। কিন্তু জানা যায়, তালিকাভুক্ত ব্রোকারেজ ফার্ম হওয়া সত্ত্বেও তাদের সম্পর্কিত বহু তথ্যই কেন্দ্রীয় সংস্থাটির আধিকারিকদের কাছে নেই। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের অডিটে ধরা পড়ে কার্ভের কারচুপি। এই ব্যর্থতার জন্যও সেবিকেই দুষেছিলেন লগ্নিকারীরা।
১৪২০
এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হল ‘জেন স্ট্রিট ক্যাপিটাল’ কেলেঙ্কারি। সেবির অনুমান, ৪৮০০ কোটি টাকার জালিয়াতি করেছে এই মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ইচ্ছাকৃত ভাবে বিপুল পরিমাণে স্টক কিনে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছিল তারা। পরে হঠাৎ করে একসঙ্গে সেগুলি বিক্রি করে দিয়ে টাকা নিয়ে সরে যায়। এতে একাধিক সংস্থার স্টকের সূচকে দেখা যায় বড় পতন। বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার এই অভিযোগ অবশ্য মানাতে নারাজ ‘জেন স্ট্রিট’। তাঁদের দাবি, নিয়ম মেনেই স্টক কেনাবেচা করা হয়েছে।
১৫২০
‘জেন স্ট্রিট ক্যাপিটাল’-এর জালিয়াতির খবর প্রকাশ্যে আসতেই চলতি বছরের ১০ জুলাই ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের ইকুইটি ডেরিভেটিভস সেগমেন্টে লেনদেন কমে যায় প্রায় ২১ শতাংশ। ওই বাজারের এই সেগমেন্টে সামগ্রিক কেনাবেচার পরিমাণ ছিল ৪৭৬.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা। গত ৩ জুলাই এই অঙ্কই ছিল ৬০৫.২৩ লক্ষ কোটি টাকা। ঠিক তার পরের দিন ‘জেন স্ট্রিট’-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেবি। আর তার পরেই নিম্নমুখী হয় সূচক।
১৬২০
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে স্টকের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে শেয়ার বাজার বিশ্লেষক তথা কর্পোরেট তথ্যানুসন্ধানে যুক্ত মার্কিন সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। পরবর্তী সময়ে তৎকালীন সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট শিল্পগোষ্ঠীকে বেআইনি ভাবে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এতে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার ভাবমূর্তি মারাত্মক ভাবে ধাক্কা খেয়েছিল।
১৭২০
শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনা শুধু যে ভারতের ক্ষেত্রে ঘটছে, সেটা একেবারেই নয়। ২০০৮ সালে মার্কিন সংস্থা বেটনিক মেডঅফের পনজ়ি স্ক্যামের খবর জানাজানি হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। রাতারাতি ৬৫০০ কোটি ডলার বাজার থেকে মুছে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়ে আমেরিকার বহু লগ্নিকারীর। ২০২০ সালে স্টক জালিয়াতিতে নাম জড়ায় জার্মান সংস্থা অয়্যারকার্ডের। সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির খতিয়ান দিয়ে বার্লিন প্রশাসনকে বোকা বানিয়েছিল।
১৮২০
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতের ক্ষেত্রে সেবির ব্যর্থতার নেপথ্যে রয়েছে মূলত দু’টি কারণ। প্রথমত, প্রযুক্তিগত দিক থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটি অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ব্রোকারেজ ফার্মগুলির উপর নজরদারির তেমন কোনও পরিকাঠামোই নেই। দ্বিতীয়ত, দিনকে দিন বাজারের আয়তন বৃদ্ধি পাওয়ায় সেবির উপর বাড়ছে চাপ। অথচ সংস্থাটির আধুনিকিকরণের ব্যাপারে তেমন কোনও গরজ নেই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের।
১৯২০
বিশ্লেষকেরা তাই শেয়ার কেলেঙ্কারি ঠেকাতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁদের কথায়, প্রথমত, প্রযুক্তিগত দিক থেকে সেবিকে আরও আধুনিক করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আরবিআই এবং আয়কর-সহ অর্থ মন্ত্রকের অন্যান্য দফতরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলা আবশ্যক। লেনদেনের নতুন নিয়মের স্পষ্ট উল্লেখ করার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সেবির হাত শক্ত করতে হবে সরকারকে।
২০২০
বর্তমানে সেবির কোনও গ্রেফতার করার ক্ষমতা নেই। স্টক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় পুলিশ বা কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) ও ইডির (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) সাহায্য নিতে হয় তাদের। এই ব্যবস্থার বদল আনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। তবে তার জন্য আইনে আনতে হবে বড় বদল। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার সেই ধরনের কোনও বিল তৈরির রাস্তায় হাঁটবে কি না, তার উত্তর দেবে সময়।