Advertisement
০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Kaveri Engine for Fighter Jets

‘কাবেরী’র জন্য টাকা চেয়ে সমাজমাধ্যমে বিপ্লব! আদৌ জীবন্ত হবে যুদ্ধবিমানের ‘জড়ভরত’ ইঞ্জিন?

তেজস যুদ্ধবিমানের জন্য কাবেরী ইঞ্জিনের নমুনা তৈরি করেছিল ডিআরডিও। কিন্তু ৩৯ বছর আগের সেই প্রকল্পে রয়ে গিয়েছে বহু খামতি। ফলে একরকম জড়ভরত অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে কাবেরী। দ্রুত তাকে জীবন্ত করতে সমাজমাধ্যমে আওয়াজ তুলেছে আমজনতার একাংশ। ভারতের সামনে কতটা চ্যালেঞ্জিং এই প্রকল্প?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ০৭:৪৯
Share: Save:
০১ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

চার দিনের ‘যুদ্ধে’ পাকিস্তানের ভিতরে ধ্বংসলীলা চালিয়ে খবরের শিরোনামে একাধিক ভারতীয় হাতিয়ার। এ দেশের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীদের হাতযশে মুগ্ধ আমজনতা। লড়াই থামতেই এ বার যুদ্ধবিমানের অত্যাধুনিক ইঞ্জিন তৈরির দাবিতে সরব হলেন তাঁরা। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমাজমাধ্যমে চলছে ‘হ্যাশট্যাগ কাবেরী ইঞ্জিন তহবিল’ আন্দোলন। উঠেছে এই প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করার দাবি। এক কথায় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর’ হতে এই প্রথম প্রবল ভাবে আগ্রহ প্রকাশ করল দেশবাসী। আর তাই এই ঘটনাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

০২ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

চলতি বছরের ২৬ মে হঠাৎ করেই এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) কাবেরী ইঞ্জিন তৈরির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করতে একের পর এক পোস্ট করতে থাকেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের কেউ কেউ ইঞ্জিনটির নমুনা বা প্রোটোটাইপের ছবি দিয়ে সরকারকে বিপুল টাকা খরচ করার পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকে আবার এই নিয়ে তৈরি করেছেন মিম-কার্টুন-অ্যানিমেশন। সেখানে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং পাক সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে দেখা গিয়েছে।

০৩ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

কাবেরীকে নিয়ে নেটিজেনদের আবেগ এতটাই বেশি ছিল যে, মিমে বাদ যায়নি পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি-ও (গুড্স অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে উল্লেখ করে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের এক জন লিখেছেন, ‘‘মাননীয়া নির্মলা সীতারমণ, ক্যারামেল পপকর্নে ১৮-র বদলে জিএসটি ২০ শতাংশ করে দিন। কর বাবদ আয় হওয়া অতিরিক্ত অর্থ কাবেরী ইঞ্জিনের জন্য দেওয়া চাই। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এটা প্রয়োজন।’’ কোনও প্রতিরক্ষা সামগ্রীর জন্য আমজনতার মধ্যে এতটা আবেগ এর আগে কখনও দেখা যায়নি।

০৪ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

সাড়ে চার প্রজন্মের হালকা যুদ্ধবিমান তেজসে এই কাবেরী ইঞ্জিন ব্যবহার হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু, গত ৩৯ বছর ধরে লাগাতার চেষ্টা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে সাফল্য পায়নি প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও (ডিফেন্স রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন)। ফলে ঘরের মাটিতে অত্যাধুনিক লড়াকু জেট তৈরির স্বপ্ন অধরাই রয়ে গিয়েছে ভারতের। এ ব্যাপারে পুরোপুরি বিদেশের উপর নির্ভরশীল নয়াদিল্লি তথা বায়ুসেনা, যা কাটিয়ে উঠে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার জন্য আওয়াজ তুলেছে দেশবাসী। সেই কারণেই এই ঘটনাকে নজিরবিহীন বলছেন প্রাক্তন ফৌজি জেনারেলরা।

০৫ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

ক্রুজ় ও ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে পরমাণু শক্তির ডুবোজাহাজ। স্বদেশি ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। একাধিক হাতিয়ার তৈরিতে নজরকাড়া সাফল্য পাওয়া সত্ত্বেও যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন কাবেরী তৈরির ক্ষেত্রে ডিআরডিও-র হোঁচট খাওয়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, যাত্রীবিমানের ইঞ্জিন তৈরির জন্য প্রায় ৪০ হাজারের বেশি যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হয়। লড়াকু জেটে লাগে আরও বেশি। এই পরিকাঠামো দেশের ভিতরে না-থাকায় সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনটি তৈরি করতে ডিআরডিও-কে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।

০৬ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

দ্বিতীয়ত, লড়াকু জেটের ইঞ্জিন ৯ থেকে ১০ গুণ বেশি ওজন নিয়ে আকাশে উড়তে পারে। তীব্র গতি পাওয়ার জন্য এটি চালু হওয়ার সময়ে যে থ্রাস্ট তৈরি হয় তাতে ইঞ্জিনের তাপমাত্রা ১৫ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাপিয়ে যেতে পারে। লোহার মতো শক্ত ধাতুও এই উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না। শুধু তা-ই নয়, ইঞ্জিনে লোহা ব্যবহার করলে চোখের নিমেষে তা গলে যেতে পারে। তাই কাবেরীর জন্য চাই বিশেষ ধরনের সংকর ধাতু। ভারতের ঘরের মাটিতে এটি তৈরি করার পরিকাঠামো নেই বললেই চলে।

০৭ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

স্বাধীনতার পর ১৯৬২ সালে চিনের সঙ্গে যুদ্ধে প্রথম বার শক্তিশালী লড়াকু জেটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে নয়াদিল্লি। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন ফিটজেরাল্ড কেনেডিকে চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। আমেরিকার কাছে দ্রুত যুদ্ধবিমান পাঠানোর আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ওই সময়ে পাকিস্তানের দিকে প্রবল ভাবে ঝুঁকে ছিল ওয়াশিংটন। মার্কিন যুদ্ধবিমানকে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না, এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও তা পাঠাতে অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।

০৮ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

’৬২-র যুদ্ধের পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী বছরগুলিতে ঘরের মাটিতে যুদ্ধবিমান তৈরির প্রস্তুতি নেয় ভারত। এ ব্যাপারে জার্মান প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী কুর্ট টাঙ্কের সাহায্য পেয়েছিল নয়াদিল্লি। মূলত তাঁর হাত ধরেই জন্ম হয় ‘এইচএফ-২৪ মারুত’ নামের লড়াকু জেটের। এর নির্মাণকারী সংস্থাটি ছিল ‘হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড’ বা হ্যাল। ১৯৬৭ সাল থেকে সংশ্লিষ্ট যুদ্ধবিমানটি ব্যবহার করা শুরু করে ভারতীয় বায়ুসেনা। তাঁদের বহরে এর কোড নাম ছিল ‘স্পিরিট অফ টেম্পেস্ট’ বা ঝড়ের আত্মা।

০৯ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

১৯৭১ সালের বাংলাদেশ যুদ্ধে পাক বিমানবাহিনীর বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল ভারতের ‘এইচএফ-২৪ মারুত’। নিখুঁত নিশানায় হামলা চালিয়ে ইসলামাবাদের ট্যাঙ্কবাহিনীকে একরকম নাস্তানাবুদ করে ফলে এই লড়াকু জেট। ওই সময়ে পাক বায়ুসেনার বহরে ছিল আমেরিকার তৈরি ‘এফ-৮৬ সাব্‌র’ নামের একটি যুদ্ধবিমান। ধারে ও ভারে তাকে মারুতের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু, মাঝ-আকাশের লড়াইয়ে মার্কিন সাব্‌রকে গুলি করে নামাতে সক্ষম হয় হ্যালের লড়াকু জেট।

১০ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

১৯৯০ সালে ‘এইচএফ-২৪ মারুত’কে অবসরে পাঠায় ভারতীয় বায়ুসেনা। কারণ, তত দিনে যুদ্ধকৌশল অনেক বদলে গিয়েছে। চিন-পাক বিমানবাহিনীর বহরে চলে এসেছে আরও আধুনিক লড়াকু জেট। তাদের সঙ্গে হ্যালের এই যুদ্ধবিমানের এঁটে ওঠা সম্ভব ছিল না। ফলে পরবর্তী প্রজন্মের লড়াকু জেট তৈরি করতে আসরে নামে ডিআরডিও। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাটির বেঙ্গালুরুর ‘গ্যাস টার্বাইন রিসার্চ এস্টাব্লিশমেন্ট’ বা জিটিআরই-তে শুরু হয় তার ইঞ্জিন তৈরির প্রক্রিয়া। প্রকল্পটির নাম ‘কাবেরী’ রেখেছিলেন ডিআরডিওর বিজ্ঞানীরা, যার সূচনার বছরটি ছিল ১৯৮৬।

১১ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

কিন্তু, গোড়া থেকেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করতে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে জিটিআরই। এখনও পর্যন্ত কাবেরীর মোট ন’টি নমুনা বা প্রোটোটাইপ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে তারা। যদিও তার কোনওটাই বায়ুসেনার বেঁধে দেওয়া গুণমানের সীমা স্পর্শ করতে পারেনি। ফলে বাধ্য হয়ে তেজস লড়াকু জেটের জন্য বিকল্প ইঞ্জিনের সন্ধানে নামে হ্যাল ও কেন্দ্র। বর্তমানে এ ব্যাপারে আমেরিকার সাহায্য পাচ্ছে নয়াদিল্লি।

১২ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

২০২৩ সালে মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিক অ্যারোস্পেসের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক বা মউ (মেমর‌্যান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং) সই করে হ্যাল। এর পরই তেজস মার্ক-১ এবং তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমানের জন্য ইঞ্জিন সরবরাহ করতে রাজি হয় আমেরিকার ওই সংস্থা। সেইমতো চলতি বছরে এফ৪১৪ এবং এফ৪০৪ ইঞ্জিন পাঠাতে শুরু করেছে আটলান্টিকের পারের ‘সুপার পাওয়ার’। অন্য দিকে, তেজসের জন্য বিকল্প ইঞ্জিনের সন্ধান মিলতেই আরও ঠান্ডা ঘরে চলে গিয়েছে ডিআরডিও-র কাবেরী ইঞ্জিন প্রকল্প।

১৩ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, মার্কিন জেট ই়ঞ্জিন নির্মাণকারী সংস্থাটি ৮০ শতাংশ প্রযুক্তি ভারতকে হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে জেনারেল ইলেকট্রিকের বেশ গড়িমসি ভাব রয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাটির উপর ভরসা করে আদৌ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন ডিআরডিও-র গবেষকেরা তৈরি করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

১৪ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

বর্তমানে ফ্রান্সের তৈরি রাফাল লড়াকু জেট ব্যবহার করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর নির্মাণকারী সংস্থা হল দাসোঁ অ্যাভিয়েশন। সম্প্রতি, সংশ্লিষ্ট যুদ্ধবিমানটির সোর্স কোড ফ্রান্সের কাছে চেয়েছে নয়াদিল্লি। সেটি পাওয়া গেলে রাফালের নির্মাণ কী ভাবে করা হয়েছে, তা বোঝার সুবিধা হত। পাশাপাশি, এর ইঞ্জিন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেতেন এ দেশের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, রাফালের সোর্স কোড দিতে অস্বীকার করেছে ফ্রান্স।

১৫ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

অন্য দিকে, ভারতের মাটিতে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে রোলস রয়েস বা গোদরেজের মতো বেসরকারি সংস্থার। কিন্তু, তারা কাবেরী ইঞ্জিন প্রকল্পে যুক্ত হতে নারাজ। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির দাবি, ১৯৮৬ সাল থেকে চলা গবেষণায় তৈরি হওয়া ইঞ্জিনকে কোনও ভাবেই অত্যাধুনিক করা সম্ভব নয়। কারণ, মাঝের বছরগুলিতে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ঘটে গিয়েছে বিপ্লব। বর্তমানে কৃত্রিম মেধা বা এআইকে (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) কাজে লাগিয়ে বহু সমরাস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে লড়াকু জেটও। নতুন প্রযুক্তিকে কাবেরীর সঙ্গে খাপ খাওয়ানো সম্ভব নয়।

১৬ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

সম্প্রতি চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে টক্কর দিতে অতি দ্রুত পঞ্চম প্রজন্মের ‘অ্যাডভান্স়ড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্‌ট’ বা অ্যামকা তৈরিতে নজর দিয়েছে ভারত। ঘরের মাটিতে এই যুদ্ধবিমান তৈরি করতে বেসরকারি সংস্থাকে আহ্বান জানাতে পারে নয়াদিল্লি। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে একরকম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সে ক্ষেত্রে টাটা ও আদানি গোষ্ঠীর মতো সংস্থাগুলি এগিয়ে আসতে পারে। তবে অ্যামকার ইঞ্জিন নিজের থেকে তৈরি করবে তারা। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি কাবেরী প্রকল্পের অংশ হতে আদৌ চাইবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

১৭ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, একমাত্র রাশিয়ার থেকেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের প্রযুক্তি হাতে পাওয়া যেতে পারে। কারণ সূত্রের খবর, পঞ্চম প্রজন্মের ‘স্টেল্‌থ’ শ্রেণির এসইউ-৫৭ ফেলন লড়াকু জেট ভারতকে বিক্রি করতে দুর্দান্ত প্রস্তাব দিয়েছে মস্কো। নয়াদিল্লির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সেটি এ দেশের মাটিতে তৈরিতে আপত্তি নেই ক্রেমলিনের। কিন্তু, সে ক্ষেত্রে কাবেরী ইঞ্জিন প্রকল্পটির গতি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

১৮ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

এর আগে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে নয়াদিল্লি। এ ছাড়া, উত্তরপ্রদেশের অমেঠির কারখানায় শুরু হয়েছে মস্কোর অত্যন্ত জনপ্রিয় একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেলের উৎপাদন। এই ধরনের প্রকল্পগুলিতে ক্রেমলিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন একটি প্রতিরক্ষা সংস্থার জন্ম দিতে হয়েছে ভারতকে। এসইউ-৫৭-এর ক্ষেত্রেও রাশিয়া একই ধরনের শর্ত রাখবে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। ফলে যৌথ উদ্যোগে তৈরি লড়াকু জেটের ইঞ্জিন অন্য কোনও প্রকল্পে নয়াদিল্লি কাজে লাগাক, তা কখনওই চাইবে না মস্কো।

১৯ ১৯
Fund Kaveri Engine is trending in Social Media, why India is facing challenges for it

বর্তমানে বিশ্বের মাত্র চারটি দেশ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করে থাকে। আমেরিকা, রাশিয়া ও ফ্রান্স ছাড়া এই তালিকায় রয়েছে ব্রিটেনের নাম। সেখান থেকে সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর তাই আমজনতা চাইলেও শেষ পর্যন্ত কাবেরী ইঞ্জিনের ভাগ্যে কী রয়েছে, তা অনুমান করা বেশ শক্ত। সূত্রের খবর, একে দূরপাল্লার হামলাকারী ড্রোনে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে ডিআরডিও-র। সেই লক্ষ্যে ইঞ্জিনগুলির পরীক্ষা রাশিয়ায় চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy