আবার অনেক সময় দেখা যায় কোনও পরিবারের বিবাহযোগ্য ছেলে বা মেয়ের বিয়েতে নানা ভাবে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এ রকম সময়ে কোনও গণকঠাকুরের পরামর্শ নেওয়া হয়। তিনি এসে খোঁজ নেন যে, পরিবারের কোনও ছেলে বা মেয়ে অবিবাহিত অবস্থায় মারা গিয়েছে কি না। ঘটনা সত্যি হলে পরলোকগত উপযুক্ত ‘পাত্র’ বা ‘পাত্রী’র সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়ার নিদান দেন।
অনেক সময় উপযুক্ত ‘পাত্র’ বা ‘পাত্রী’র সন্ধানে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সম্প্রতি কর্নাটকের একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে এমনই একটি ‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপন দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ৩০ বছর আগে মৃত মেয়ের জন্য উপযুক্ত মৃত পাত্রের খোঁজে বিজ্ঞাপন দেয় দক্ষিণ কর্নাটকের পুত্তুর শহরের একটি পরিবার। অদ্ভুত বিজ্ঞাপনটিতে এ-ও ছিল যে, বরের পরিবার যেন অবশ্যই ‘কুলাল’ বর্ণ এবং ‘বাঙ্গেরা’ গোত্রের হয়।
জীবিত ব্যক্তিদের বিয়ের সব রীতিই নিষ্ঠাভরে পালিত হয় ‘প্রেত মদুভে’তে। বর এবং কনের প্রতীক হিসাবে দু’টি পাত্র রাখা হয়। যে পাত্রটিকে কনে মনে করা হয় তাকে দক্ষিণ ভারতের ঐতিহ্যবাহী শাড়ি, কালো মুক্তোর গয়না এবং জুঁই ফুল দিয়ে সাজানো হয়। ‘বর’কে পোশাক-আশাকের সঙ্গে পাগড়িও পরানো হয়। বর-কনের ভাইবোনেরা দু’টি পাত্রের মালাবদল করান এবং ‘কনে’র সিঁথিতে সিঁদুর এঁকে দেওয়া হয়। কেরলের কাসারগড়ের মতো কিছু জায়গায় বর এবং কনের প্রতিনিধিত্ব করে দু’টি ছোট ছোট মূর্তি।
প্রেতের বিয়েতে আমন্ত্রিত থাকেন আত্মীয়-পরিজনেরাও। এমনই একটি বিয়েতে আমন্ত্রিত হওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া হয়েছে ‘@অ্যানি_অরুণ’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে। সেই বিয়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে পোস্টদাতা লিখেছেন, দু’টি পরিবার একে অপরের বাড়িতে বাগ্দানের জন্য যাবে, বিয়ের শোভাযাত্রা হবে এবং সব শেষে গাঁটছড়া বাঁধা হবে।
হোসাবেত্তু বিশ্বনাথ নামে এক ব্যক্তির লেখায় পাওয়া যায়, তাঁর মাসিকে প্রতিবেশিনী জানকী-আক্কা ‘মামি’ সম্বোধন করতেন। সাধারণত শাশুড়িস্থানীয়াদের এই সম্বোধন করা হয়ে থাকে। অথচ, ছোট্ট বিশ্বনাথ বিবাহিত এমন কোনও পুরুষ-নারীকে এই দুই বাড়িতে দেখতেন না, যাঁদের কেন্দ্র করে এই সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। পরে তিনি জানতে পারেন তাঁর মাসির অবিবাহিত মৃত কন্যার সঙ্গে ‘কুলে মদিমে’ সম্পন্ন হয় জানকী-আক্কার অবিবাহিত মৃত ভাইয়ের। এ থেকে বোঝা যায়, যে দু’টি পরিবারের মৃত সদস্য বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়, তারা চিরকাল আত্মীয়তা বজায় রাখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy