ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে মার্কিন হামলার পর পশ্চিম এশিয়ায় ফিরেছে শান্তি। যুদ্ধ বন্ধ হলেও মূল প্রশ্নের উত্তর কিন্তু এখনও অধরা। সাবেক পারস্য দেশের আণবিক বোমা তৈরির স্বপ্নকে কি চিরতরে ধূলিসাৎ করতে পেরেছে আমেরিকা? না কি বিশেষ লাভ হয়নি? গোপনে গোপনে ফের সেই কাজ শুরু করতে পারবে তেহরান? এ ব্যাপারে নিজের দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টকেই অস্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে আমজনতার মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে দেরি হয়নি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ইরান ইস্যুতে ট্রাম্প যে ভাবে গোয়েন্দা রিপোর্টকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন, তাতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) গ্রহণযোগ্যতা। শুধু তা-ই নয়, ইজ়রায়েলি গুপ্তচরবাহিনী মোসাদের সঙ্গে এর তুলনা টেনে বিতর্ক তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রবাসীদেরই একাংশ। মজার বিষয় হল, ওয়াশিংটন ও তেল আভিভের মধ্যে সুদৃঢ় ‘বন্ধুত্ব’ থাকা সত্ত্বেও এই দুই সংস্থার মধ্যে সম্পর্ক যে সব সময় সরলরেখায় চলেছে এমনটা নয়।