ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের তীব্রতা বাড়তেই ভয়ে কাঁটা পাকিস্তান। সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্বের দাবি, আগামী দিনে ইসলামাবাদকে নিশানা করবে ইহুদি ফৌজ। সেই কারণে ‘ধর্মীয় তাস’ খেলে পশ্চিমের প্রতিবেশী তথা সাবেক পারস্য দেশটিক সব রকমের সাহায্যের জন্য সুর চড়িয়েছেন তাঁরা। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, পাক রাজনীতিবিদদের এই ভয় একেবারেই অমূলক নয়। কারণ, সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া কোনও ইসলামীয় রাষ্ট্রের কাছে পরমাণু হাতিয়ার থাক, তা একেবারেই চান না ইহুদি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
গত শতাব্দীর ৯০-এর দশকের একেবারে শেষের দিকে পরমাণু অস্ত্র হাতে পায় পাক ফৌজ। এর অন্তত দেড় দশক আগে আগে থেকে আণবিক হাতিয়ারের শক্তি অর্জনে কোমর বেঁধে লেগেছিল ইসলামাবাদ। গুপ্তচর মারফত সেই খবর কানে যেতেই প্রমাদ গোনে ইজ়রায়েল। কারণ, জন্মলগ্ন থেকে ইহুদিদের চরম শত্রু বলে মেনে এসেছে ভারতের পশ্চিম প্রতিবেশী। শুধু তা-ই নয়, ইজ়রায়েলকে কখনওই রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি ইসলামবাদ। এমত অবস্থায় তাদের ধ্বংস করতে পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে বলে মনে করেছিল তেল আভিভ।