কথায় আছে, ‘বিপদের বন্ধুই সত্যিকারের বন্ধু’। সেই প্রবাদ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছে ইজ়রায়েল। কার্গিল যুদ্ধ থেকে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা, যখনই চক্রব্যূহে আটকা পড়েছে ভারত, তখনই পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে পশ্চিম এশিয়ার এই ইহুদিভূমি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে ‘রণং দেহি’ ভাব দেখানোয় ফের এক বার সেই দৃশ্যেরই পুনরাবৃত্তি দেখছে বিশ্ব। কারণ, সঙ্কটকালে নয়াদিল্লি আসার কথা ঘোষণা করেছেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
এ দেশের সাবেক সেনাকর্তাদের অধিকাংশই আরব দুনিয়ার ইহুদি রাষ্ট্রটিকে ভারতের ‘সব আবহাওয়ার বন্ধু’ (পড়ুন অল ওয়েদার ফ্রেন্ড) বলে মনে করেন। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা— পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়াতে কখনওই দ্বিধা করেনি তেল আভিভ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, প্রতিরক্ষার পাশাপাশি এখানকার কৃষি ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো উন্নয়নেও বড় ভূমিকা নিয়েছে ইজ়রায়েল। যদিও ইহুদিদের দেশটি তৈরির সময়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে প্যালেস্টাইনের পক্ষে ভোট দিয়েছিল সদ্য স্বাধীন ভারত।