Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Lottery Win

মায়ের ফ্ল্যাট পরিষ্কার করতে গিয়ে খুলল ভাগ্যের তালা, ছেঁড়া টিকিটে লাখ লাখ টাকার লটারি জয়

গত বছরের মে মাসে মাকে হারিয়েছেন ইংল্যান্ডের বাসিন্দা কেলি। সম্প্রতি মায়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে ঝাড়পোঁছ করছিলেন তিনি। সেটি গোছগাছ করতে গিয়ে হাতে এসেছিল একটি কার্ড।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২২ ১২:৩২
Share: Save:
০১ ১৬
মায়ের মতো লটারির নেশা নেই তাঁর। তবে মা বেঁচে থাকতে প্রতি সপ্তাহে তাঁর জন্য লটারির টিকিট কিনতেন মধ্য চল্লিশের কেলি ফার্থ। যদিও কেলির মায়ের ভাগ্যে কখনও লটারির শিকে ছেঁড়েনি। সেই মায়ের ফ্ল্যাট পরিষ্কার করতে গিয়েই লক্ষাধিক টাকার লটারি জিতলেন কেলি।

মায়ের মতো লটারির নেশা নেই তাঁর। তবে মা বেঁচে থাকতে প্রতি সপ্তাহে তাঁর জন্য লটারির টিকিট কিনতেন মধ্য চল্লিশের কেলি ফার্থ। যদিও কেলির মায়ের ভাগ্যে কখনও লটারির শিকে ছেঁড়েনি। সেই মায়ের ফ্ল্যাট পরিষ্কার করতে গিয়েই লক্ষাধিক টাকার লটারি জিতলেন কেলি।

০২ ১৬
গত বছরের মে মাসে মাকে হারিয়েছেন ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট হ্যালিফ্যাক্স এলাকার বাসিন্দা কেলি। সম্প্রতি মায়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে ঝাড়পোঁছ করছিলেন তিনি। সেটি গোছগাছ করতে গিয়ে হাতে এসেছিল একটি কার্ড।

গত বছরের মে মাসে মাকে হারিয়েছেন ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট হ্যালিফ্যাক্স এলাকার বাসিন্দা কেলি। সম্প্রতি মায়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে ঝাড়পোঁছ করছিলেন তিনি। সেটি গোছগাছ করতে গিয়ে হাতে এসেছিল একটি কার্ড।

০৩ ১৬
ওই কার্ডে পাঁচটি নম্বর লিখে রেখেছিলেন কেলির মা ক্যারল। যা দেখে পুরনো কথা মনে পড়ে গিয়েছিল কেলির। ফি-হপ্তায় মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির কাছের দোকানে ছুটতেন তিনি। ৬৫ বছরের বৃদ্ধার জন্য কিনতে লোটো হটপিকস লটারির টিকিট।

ওই কার্ডে পাঁচটি নম্বর লিখে রেখেছিলেন কেলির মা ক্যারল। যা দেখে পুরনো কথা মনে পড়ে গিয়েছিল কেলির। ফি-হপ্তায় মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির কাছের দোকানে ছুটতেন তিনি। ৬৫ বছরের বৃদ্ধার জন্য কিনতে লোটো হটপিকস লটারির টিকিট।

০৪ ১৬
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে কেলি জানিয়েছেন, ওই কার্ডে লেখা ছিল ৭, ১৭ এবং ৩৭— এই নম্বরগুলি। প্রতি বার লটারির মেশিনে এই নম্বর নিয়ে খেলতেন তাঁর মা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে কেলি জানিয়েছেন, ওই কার্ডে লেখা ছিল ৭, ১৭ এবং ৩৭— এই নম্বরগুলি। প্রতি বার লটারির মেশিনে এই নম্বর নিয়ে খেলতেন তাঁর মা।

০৫ ১৬
মায়ের স্মৃতিতেই ওই নম্বর দিয়ে লটারিতে ভাগ্যপরীক্ষা করা স্থির করেন কেলি। ওয়েস্ট হ্যালিফ্যাক্সের যে দোকান থেকে মায়ের জন্য লটারি কিনতেন, সেখানেই বুধ এবং শনিবারের লাকি ড্রয়ে ওই নম্বর দিয়ে লটারি খেলবেন বলে ভেবে নেন।

মায়ের স্মৃতিতেই ওই নম্বর দিয়ে লটারিতে ভাগ্যপরীক্ষা করা স্থির করেন কেলি। ওয়েস্ট হ্যালিফ্যাক্সের যে দোকান থেকে মায়ের জন্য লটারি কিনতেন, সেখানেই বুধ এবং শনিবারের লাকি ড্রয়ে ওই নম্বর দিয়ে লটারি খেলবেন বলে ভেবে নেন।

০৬ ১৬
তবে প্রথম বারের চেষ্টায় নিরাশ হতে হয়েছিল কেলিকে। বুধবারের লাকি ড্রয়ে একসঙ্গে ৭-১৭-৩৭ নম্বর ভেসে ওঠেনি লটারির মেশিনে। তবে সপ্তাহান্তে ভাগ্য খুলে যায় কেলির।

তবে প্রথম বারের চেষ্টায় নিরাশ হতে হয়েছিল কেলিকে। বুধবারের লাকি ড্রয়ে একসঙ্গে ৭-১৭-৩৭ নম্বর ভেসে ওঠেনি লটারির মেশিনে। তবে সপ্তাহান্তে ভাগ্য খুলে যায় কেলির।

০৭ ১৬
বুধবারের লাকি ড্রয়ে লটারি জিততে না পেরে সেই টিকিটটি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন কেলি। টুকরো টুকরো করা সেই টিকিটটি ফেলে দিয়েছিলেন তাঁদের আবাসনের বাইরের ডাস্টবিনে।

বুধবারের লাকি ড্রয়ে লটারি জিততে না পেরে সেই টিকিটটি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন কেলি। টুকরো টুকরো করা সেই টিকিটটি ফেলে দিয়েছিলেন তাঁদের আবাসনের বাইরের ডাস্টবিনে।

০৮ ১৬
তবে শনিবার টেলিভিশনে লাকি ড্রয়ের ফলাফল দেখে চমকে যান। মায়ের লেখা ওই নম্বরেই তিনি জিতেছেন ১,৬০০ পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।

তবে শনিবার টেলিভিশনে লাকি ড্রয়ের ফলাফল দেখে চমকে যান। মায়ের লেখা ওই নম্বরেই তিনি জিতেছেন ১,৬০০ পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।

০৯ ১৬
লটারি জেতায় স্বাভাবিক ভাবে খুশিতে ভাসছেন কেলি। তবে ৪৪ বছরের এই মহিলার মতে, এ সবই তাঁর মায়ের আশীর্বাদের ফল। মা যে তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন, তা-ও মনে করেন কেলি।

লটারি জেতায় স্বাভাবিক ভাবে খুশিতে ভাসছেন কেলি। তবে ৪৪ বছরের এই মহিলার মতে, এ সবই তাঁর মায়ের আশীর্বাদের ফল। মা যে তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন, তা-ও মনে করেন কেলি।

১০ ১৬
সংবাদমাধ্যমের কাছে কেলি জানিয়েছেন, লটারি জেতার আনন্দে রেডিয়ো খুলতেই আরও এক বার হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। রেডিয়োতে বাজছে তাঁর মায়ের প্রিয় গান— টিনা টার্নারের ‘ইউ আর সিম্পলি দ্য বেস্ট’।

সংবাদমাধ্যমের কাছে কেলি জানিয়েছেন, লটারি জেতার আনন্দে রেডিয়ো খুলতেই আরও এক বার হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। রেডিয়োতে বাজছে তাঁর মায়ের প্রিয় গান— টিনা টার্নারের ‘ইউ আর সিম্পলি দ্য বেস্ট’।

১১ ১৬
সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর লটারি জেতার কাহিনি শুনিয়েছেন কেলি। জানিয়েছেন, শনিবারের লাকি ড্রয়ে লটারি জেতার খবর শুনে আবাসনের ডাস্টবিন ঘেঁটে ওই ছেঁড়া টিকিটটি খুঁজে বার করেছিলেন। তার পর সেটি জোড়া লাগিয়ে ছুটেছিলেন লটারির দোকানে।

সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর লটারি জেতার কাহিনি শুনিয়েছেন কেলি। জানিয়েছেন, শনিবারের লাকি ড্রয়ে লটারি জেতার খবর শুনে আবাসনের ডাস্টবিন ঘেঁটে ওই ছেঁড়া টিকিটটি খুঁজে বার করেছিলেন। তার পর সেটি জোড়া লাগিয়ে ছুটেছিলেন লটারির দোকানে।

১২ ১৬
কেলি বলেন, ‘‘মায়ের নম্বর দিয়ে যে লটারি জিতেছি, তা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না! মেয়েকে নিয়ে তো প্রতি সপ্তাহেই মায়ের জন্য লটারির টিকিট কিনতে ছুটতাম! একটা ছোট কার্ডে প্রতি বার একই নম্বর লিখে রাখতেন মা। বছরের পর বছর ধরে একই নম্বরে লটারি খেলতেন। তবে কোনও বারই জিততে পারেননি। মায়ের স্মৃতিতেই ওই নম্বর দিয়ে লটারি খেলেছি।’’

কেলি বলেন, ‘‘মায়ের নম্বর দিয়ে যে লটারি জিতেছি, তা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না! মেয়েকে নিয়ে তো প্রতি সপ্তাহেই মায়ের জন্য লটারির টিকিট কিনতে ছুটতাম! একটা ছোট কার্ডে প্রতি বার একই নম্বর লিখে রাখতেন মা। বছরের পর বছর ধরে একই নম্বরে লটারি খেলতেন। তবে কোনও বারই জিততে পারেননি। মায়ের স্মৃতিতেই ওই নম্বর দিয়ে লটারি খেলেছি।’’

১৩ ১৬
লটারি জেতার পর মায়ের কথাই বেশি করে মনে পড়ছে কেলির। তাঁর কথায়, ‘‘লাকি ড্রয়ে যখন নম্বরগুলো এল তখনও জানতাম, মা এখনও আমার আশপাশেই রয়েছেন। তবে আমি এখনও হতচকিত!’’

লটারি জেতার পর মায়ের কথাই বেশি করে মনে পড়ছে কেলির। তাঁর কথায়, ‘‘লাকি ড্রয়ে যখন নম্বরগুলো এল তখনও জানতাম, মা এখনও আমার আশপাশেই রয়েছেন। তবে আমি এখনও হতচকিত!’’

১৪ ১৬
অর্থ জয়ের পর কী করবেন? সংবাদমাধ্যমের এ প্রশ্নের জবাবে কেলি বলেন, ‘‘পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ব্ল্যাকপুলে ছুটি কাটাতে যাব।’’ কেলি জানিয়েছেন, ব্ল্যাকপুলের সমুদ্রতটে মেয়ে ডেমি এবং তাঁর চার সন্তানকে নিয়ে কিছু দিন সময় কাটাতে চান তিনি।

অর্থ জয়ের পর কী করবেন? সংবাদমাধ্যমের এ প্রশ্নের জবাবে কেলি বলেন, ‘‘পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ব্ল্যাকপুলে ছুটি কাটাতে যাব।’’ কেলি জানিয়েছেন, ব্ল্যাকপুলের সমুদ্রতটে মেয়ে ডেমি এবং তাঁর চার সন্তানকে নিয়ে কিছু দিন সময় কাটাতে চান তিনি।

১৫ ১৬
লটারির নম্বরের মতো ছুটি কাটানোর জায়গা বাছার ক্ষেত্রেও মায়ের পছন্দই আগে মনে এসেছে কেলির। তিনি বলেন, ‘‘(ছুটি কাটাতে) ব্ল্যাকপুলে যেতে ভালবাসতেন মা। ওই নম্বরগুলো যে তাঁর কাছে বিশেষ কিছু ছিল, তা জানতাম। আর ওই নম্বরগুলোই আমাদের জীবনে সুখস্মৃতি এনে দিয়েছে।’’

লটারির নম্বরের মতো ছুটি কাটানোর জায়গা বাছার ক্ষেত্রেও মায়ের পছন্দই আগে মনে এসেছে কেলির। তিনি বলেন, ‘‘(ছুটি কাটাতে) ব্ল্যাকপুলে যেতে ভালবাসতেন মা। ওই নম্বরগুলো যে তাঁর কাছে বিশেষ কিছু ছিল, তা জানতাম। আর ওই নম্বরগুলোই আমাদের জীবনে সুখস্মৃতি এনে দিয়েছে।’’

১৬ ১৬
কেলি আরও বলেন, ‘‘আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিলেন মা। প্রতি দিন মায়ের অভাব বোধ করি। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে ওই নম্বরগুলি আমাদের ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছে। মা নিশ্চয়ই ওপর থেকে আমাদের দেখছেন।’’

কেলি আরও বলেন, ‘‘আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিলেন মা। প্রতি দিন মায়ের অভাব বোধ করি। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে ওই নম্বরগুলি আমাদের ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছে। মা নিশ্চয়ই ওপর থেকে আমাদের দেখছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE