পদ্মফুলের বীজ, ফক্স নাট বা মখানা একই বীজের অনেক নাম। ওজন থেকে রক্তে গ্লুকোজ়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে মখানার জুড়ি মেলা ভার। প্রোটিন, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় খনিজে সমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার এই মখানা। এই সুপারফুডের বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখেই বিহারের মখানা চাষকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পদক্ষেপ করেছে সরকার।
বিশ্ব জুড়ে যে মখানা সরবরাহ হয়, তার ৮০ শতাংশই ভারতে উৎপাদিত হয়। তার আবার ৯০ শতাংশ একা বিহারই উৎপাদন করে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর বিহারে ৩৫ হাজার হেক্টর জুড়ে ১০ হাজার টন মখানা উৎপন্ন করেন ২৫ হাজার চাষি। দ্বারভাঙা, মধুবনী, পূর্ণিয়া, কাটিহার, অররিয়া, কিশানগঞ্জ জেলাগুলি মূলত মখানার চাষে শীর্ষস্থানীয়।
উচ্চমূল্যের অর্থকরী ফসল হিসাবে স্বীকৃত মখানা চাষ বেশ কষ্টকর। এটিতে মূলধন প্রচুর লাগে এবং শ্রমসাধ্যও বটে। কৃষকেরা এখনও হাতে ফসল সংগ্রহ এবং রোদে শুকোনোর পদ্ধতির উপর নির্ভর করেন। এর ফলে ফসলের মান নেমে যায় এবং ফলনও কম হয়। প্রতিকূলতা থাকলেও ২০১৩ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মখানার উৎপাদনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিহার কি এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারবে? না কি আরও একটি ‘সোনার খনি’ ভারতের হাতছাড়া হয়ে যাবে? চিন, কোরিয়া, তাইল্যান্ড, ইউরোপ এবং আমেরিকার মতো আন্তর্জাতিক বাজারগুলিতে চাহিদা প্রসারিত হলেও সঠিক বাণিজ্যিক পরিকাঠামোর অভাব এর বিকাশের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন চাষের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy