পেশায় শল্য চিকিৎসক পেজ়েশকিয়ান ইরানের রাজনীতিতে কট্টরপন্থী হিসাবে পরিচিত নন। তিনি পরিচিত মধ্যপন্থী হিসাবে। অর্থাৎ, সব পক্ষকে মানিয়ে-গুছিয়ে চলাই তাঁর নীতি। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আমেরিকার মতো পশ্চিমি বিশ্বের দেশগুলির সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তবে এ ক্ষেত্রে পেজ়েশকিয়ানের নীতি অন্য। তিনি বিশ্বাসী পশ্চিমি বিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে চলায়।
রইসির আমলে ২০২২ এবং ২০২৩ সালে হিজাব বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ইরান। সে দেশের মহিলাদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করে দেওয়ায় দিকে দিকে প্রতিরোধ গ়ড়ে ওঠে। রইসির ‘নীতিপুলিশি’র বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে তরুণ প্রজন্ম। সেই প্রতিবাদকে কড়া হাতে দমন করেছিল তৎকালীন সরকার। বহু জনকে ফাঁসিতে চড়ানো হয়। হিজাব বিরোধী আন্দোলনে নেমে মৃত্যু হয় প্রায় ৫০০ মানুষের।
এই আবহে প্রশ্ন উঠছে পেজ়েশকিয়ান ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক হবে ইরানের? ভারতের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন রইসি। বিশেষজ্ঞদের মতে, নীতিগত দিক দিয়ে রইসির সঙ্গে পেজ়েশকিয়ানের ফারাক থাকলেও ভারতের সঙ্গে কোনও মতেই সম্পর্ক খারাপ করবেন না পেজ়েশকিয়ান। বরং দু’দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হতে পারে।
পেজ়েশকিয়ানের শাসনে কৌশলগত চাবাহার বন্দরের উপর আরও নজর দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে ভারত। এর পাশাপাশি, ইরানে আরও কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। তাই এই পরিস্থিতিতে পেজ়েশকিয়ান ভারতকে চটাবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy