Mystery of White Shark death by giant sea animal under water in Australia dgtl
White Shark Death Mystery
গডজ়িলা, ক্র্যাকেন না অন্য কিছু? বিশাল হিংস্র সাদা হাঙর মেরে খেয়ে ফেলল কোন সামুদ্রিক দানব!
সাদা হাঙরকে সমুদ্রের সব থেকে হিংস্র প্রাণী বলেন বেশির ভাগ বিজ্ঞানী। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা যে সাদা হাঙরটির উপর পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন সেটি ছিল প্রায় ৯ ফুট লম্বা।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১০:১৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
২০০৩ সালের মে মাস নাগাদ একটি সাদা হাঙরকে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এক দল বিজ্ঞানী। সঙ্গে ছিলেন এক জন তথ্যচিত্র পরিচালক। সেই পরীক্ষা চলাকালীনই ঘটে এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। জলের অতলে টেনে নিয়ে দিয়ে ওই সাদা হাঙরটিকে মেরে ফেলে কোনও এক অজানা সামুদ্রিক দানব!
০২১৫
সাদা হাঙরকে সমুদ্রের সবথেকে হিংস্র প্রাণী বলেন বেশির ভাগ বিজ্ঞানী। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা যে সাদা হাঙরটির উপর পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন সেটি ছিল প্রায় ৯ ফুট লম্বা। এই হিংস্র শিকারির শিকার কে করল, তা নিয়ে তৈরি হয় একাধিক জল্পনা।
০৩১৫
প্রাথমিক ভাবে হাঙরটির শরীরে একটি ট্র্যাকার লাগিয়ে তার উপর নজরদারি চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। হাঙরটি সমুদ্রের কতটা গভীরে রয়েছে, সেই জায়গার তাপমাত্রা কত, তা-ও সময়ে সময়ে জানা যাচ্ছিল ওই ট্র্যাকারের মাধ্যমে।
০৪১৫
কিন্তু পরীক্ষা শুরুর চার দিনের মাথায় বিজ্ঞানীরা হঠাৎই দেখেন, হাঙরটি প্রচন্ড গতিতে সমুদ্রের গভীরে নেমে যাচ্ছে। সাদা হাঙরের যা গতি, তাতে অত তাড়াতাড়ি সমুদ্রের নীচের দিকে যাওয়া সম্ভব নয়। যেন কোনও এক অজানা শক্তি বিশাল হাঙরটিকে নীচের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল।
একই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা দেখেন, ওই জায়গায় জলের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বাড়তে আরম্ভ করেছে। প্রাথমিক ভাবে ওই জায়গার তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এক ধাক্কায় তা বেড়ে প্রায় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায়।
০৭১৫
বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, নিমেষের মধ্যে ওই সাদা হাঙরের শিকার করে ফেলেছে অজানা সামুদ্রিক দানব। এবং ট্র্যাকার দানবের পেটে যাওয়ায় তাপমাত্রার আকস্মিক বৃদ্ধি হয়েছে।
০৮১৫
এর পরই বিষয়টি নিয়ে একাধিক জল্পনা তৈরি হয়। অনেকে দাবি তোলেন, সাদা হাঙরের শিকার করা কোনও সাধারণ সামুদ্রিক জীবের ক্ষমতার বাইরে। পাশাপাশি দাবি করা হয়, মেরে ফেলার জন্য হাঙরটিকে কেউ সমুদ্রের অত গভীরে নিয়ে যাবে না।
০৯১৫
গভীর সমুদ্রে হাঙর হত্যার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্ব জুড়ে হইচই পড়ে যায়। বিভিন্ন জন বিভিন্ন মতামত দিতে শুরু করেন। জল্পনা তৈরি হয় অতিকায় সামুদ্রিক দানব গডজ়িলা এবং ক্র্যাকেন-এর অস্তিত্ব নিয়েও।
১০১৫
গবেষকদের একাধিক দল অতিকায় দানবের তথ্য পেতে সমুদ্রের ওই জায়গায় জাহাজ নিয়ে পরীক্ষা চালায়।
১১১৫
পুরো ঘটনাটি নিয়ে ‘দ্য সার্চ ফর দ্য ওশানস সুপার প্রিডেটর’ নামে অস্ট্রেলিয়ায় একটি তথ্যচিত্রও তৈরি হয়।
১২১৫
তথ্যচিত্র নির্মাতা ডেভ রিগস বলেছেন, ‘‘আমার মনে শুধু একটাই প্রশ্ন আসছিল যে, কী করে কোনও স্বাভাবিক সামুদ্রিরক প্রাণী এত বড় একটি সাদা হাঙরকে খেয়ে ফেলল।’’
১৩১৫
তবে সেই ঘটনার প্রায় ১০ বছর পর রহস্যের সমাধান হয়। দীর্ঘ দিন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে সেই হাঙর হত্যা রহস্যের কিনারা করেন।
১৪১৫
অস্ট্রেলিয়ার ওই বিজ্ঞানীদের দাবি, ওই অতিকায় সামুদ্রিক দানব আসলে অন্য একটি অতিকায় সাদা হাঙর। হরমোনের সমস্যার জন্য ওই হাঙরটি আকারে স্বাভাবিকের থেকে বড় ছিল। সেই দৈত্যাকার অন্য সাদা হাঙরের কামড়েই মৃত্যু হয়েছে প্রথম হাঙরটির।
১৫১৫
যদিও অনেকেই এই তত্ত্ব মেনে নেননি। অনেকের মতে শুধুমাত্র সত্য লুকিয়ে রাখতেই এই গল্প ফেঁদেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। এর নেপথ্যে আন্তর্জাতিক চাপ ছিল বলেও একাংশের মত।