Advertisement
১১ মে ২০২৪
National News

গত ২৪ বছর, ফিরে দেখা মুম্বই বিস্ফোরণ মামলা

সাড়ে দুই দশক ধরে আরবসাগর দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিশেষ টাডা আদালতে সাজা ঘোষণা হল মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত মূল ছয় অভিযুক্তের। ফিরে দেখে নেওয়া যাক, গত ২৪ বছরে কী কী ঘটেছে মুম্বই বিস্ফোরণের মামলা ঘিরে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৬:৪৬
Share: Save:
০১ ০৯
১২ মার্চ, ১৯৯৩: ১৯৯৩-এর শুক্রবারের একটা দুপুর। তারিখটা ১২ মার্চ। মুম্বই শহরের ১৩টি জায়গায় পর পর বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় সাজানো বাণিজ্য নগরী। নিহতের সংখ্যা ২৫৭, আহত ৭১৩। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সাতশো কোটির সম্পত্তির।
১৯ এপ্রিল, ১৯৯৩: অভিনেতা সঞ্চয় দত্তকে গ্রেফতার করা হল। অপরাধী তালিকায় ১১৭ নম্বরে ছিল তাঁর নাম।

১২ মার্চ, ১৯৯৩: ১৯৯৩-এর শুক্রবারের একটা দুপুর। তারিখটা ১২ মার্চ। মুম্বই শহরের ১৩টি জায়গায় পর পর বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় সাজানো বাণিজ্য নগরী। নিহতের সংখ্যা ২৫৭, আহত ৭১৩। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সাতশো কোটির সম্পত্তির। ১৯ এপ্রিল, ১৯৯৩: অভিনেতা সঞ্চয় দত্তকে গ্রেফতার করা হল। অপরাধী তালিকায় ১১৭ নম্বরে ছিল তাঁর নাম।

০২ ০৯
৪ নভেম্বর, ১৯৯৩: ১০ হাজারেরও বেশি পাতার প্রাথমিক চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ১৮৯ জন সন্দেহজনকের নাম ছিল।
১৯ নভেম্বর, ১৯৯৩: সিবিআইয়ের হাতে যায় মুম্বই বিস্ফোরণের তদন্তের ভার।
১৯৯৪: মুম্বই স্টেশন থেকে ধরা পড়ে হামলা মূল চক্রী ইয়াকুব মেনন।

৪ নভেম্বর, ১৯৯৩: ১০ হাজারেরও বেশি পাতার প্রাথমিক চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ১৮৯ জন সন্দেহজনকের নাম ছিল। ১৯ নভেম্বর, ১৯৯৩: সিবিআইয়ের হাতে যায় মুম্বই বিস্ফোরণের তদন্তের ভার। ১৯৯৪: মুম্বই স্টেশন থেকে ধরা পড়ে হামলা মূল চক্রী ইয়াকুব মেনন।

০৩ ০৯
১০ এপ্রিল, ১৯৯৫: ২৬ জন সন্দেহভাজনকে মুক্তি দেয় টাডা আদালত।
১৯ এপ্রিল-জুন ১৯৯৫: অপরাধীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। 
১৪ অক্টোবর, ১৯৯৫: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামিনে মুক্তি পান সঞ্জয় দত্ত।

১০ এপ্রিল, ১৯৯৫: ২৬ জন সন্দেহভাজনকে মুক্তি দেয় টাডা আদালত। ১৯ এপ্রিল-জুন ১৯৯৫: অপরাধীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ১৪ অক্টোবর, ১৯৯৫: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামিনে মুক্তি পান সঞ্জয় দত্ত।

০৪ ০৯
অক্টোবর, ২০০০: ৬৮৪ জন সরকার পক্ষের সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়।
৯ মার্চ-১৮ জুলাই, ২০০১: অপরাধীদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়।
১৮ অক্টোবর, ২০০১: সরকার পক্ষের সওয়াল শুরু হয়।

অক্টোবর, ২০০০: ৬৮৪ জন সরকার পক্ষের সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়। ৯ মার্চ-১৮ জুলাই, ২০০১: অপরাধীদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। ১৮ অক্টোবর, ২০০১: সরকার পক্ষের সওয়াল শুরু হয়।

০৫ ০৯
৯ নভেম্বর, ২০০১: বিরোধী পক্ষের সওয়াল হয়। ২০০২-এর ২২ অগস্ট এই সওয়াল শেষ হয়।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩: দাউদ-গ্যাংয়ের ইজাজ পঠানকে কোর্টে পেশ করা হয়।
২০ মার্চ, ২০০৩: মুস্তাফা দোসার আলাদাভাবে ট্রায়াল হয়।
১৩ জুন, ২০০৬: আবু সালেমের ট্রায়াল হয়।

৯ নভেম্বর, ২০০১: বিরোধী পক্ষের সওয়াল হয়। ২০০২-এর ২২ অগস্ট এই সওয়াল শেষ হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩: দাউদ-গ্যাংয়ের ইজাজ পঠানকে কোর্টে পেশ করা হয়। ২০ মার্চ, ২০০৩: মুস্তাফা দোসার আলাদাভাবে ট্রায়াল হয়। ১৩ জুন, ২০০৬: আবু সালেমের ট্রায়াল হয়।

০৬ ০৯
১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৬: মেননের পরিবারের চার জনকে দোষী সব্যস্ত করে মুম্বইয়ের সন্ত্রাস দমন আদালত। ১২ জনকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়। ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়।
১ নভেম্বর, ২০১১: ১০০ অভিযুক্তের যুক্তি এবং সরকার পক্ষের পাল্টা যুক্তি শোনা শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট।
২৯ এপ্রিল, ২০১২: রায়দান স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট।

১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৬: মেননের পরিবারের চার জনকে দোষী সব্যস্ত করে মুম্বইয়ের সন্ত্রাস দমন আদালত। ১২ জনকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়। ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। ১ নভেম্বর, ২০১১: ১০০ অভিযুক্তের যুক্তি এবং সরকার পক্ষের পাল্টা যুক্তি শোনা শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট। ২৯ এপ্রিল, ২০১২: রায়দান স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট।

০৭ ০৯
২১ মার্চ, ২০১৩: টাইগার মেননের ভাই ইয়াকুব মেননের ফাঁসির রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এবং ১০ জন অপরাধীর মৃত্যদণ্ডের আদেশ রদ করে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দেওয়া হয়। আরও ১৬ জন অপরাধীর যাবজ্জীবনের রায়ের উপরও স্থগিতাদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
২১ জুলাই, ২০১৫: ইয়াকুব মেননের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হয়।
২৯ জুলাই, ২০১৫: সুপ্রিম কোর্ট ইয়াকুবের ফাঁসির রায়ে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে।

২১ মার্চ, ২০১৩: টাইগার মেননের ভাই ইয়াকুব মেননের ফাঁসির রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এবং ১০ জন অপরাধীর মৃত্যদণ্ডের আদেশ রদ করে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দেওয়া হয়। আরও ১৬ জন অপরাধীর যাবজ্জীবনের রায়ের উপরও স্থগিতাদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। ২১ জুলাই, ২০১৫: ইয়াকুব মেননের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হয়। ২৯ জুলাই, ২০১৫: সুপ্রিম কোর্ট ইয়াকুবের ফাঁসির রায়ে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে।

০৮ ০৯
২৯ জুলাই, ২০১৫: তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ইয়াকুবের প্রাণভিক্ষার আর্জি বাতিল করে।
৩০ জুলাই, ২০১৫: ইয়াকুবের ফাঁসির ঘণ্টাখানেক আগেও তার মৃত্যুর উপর ১৪ দিনের স্থগিতাদেশের আর্জি জানানো হয়।
৩০ জুলাই: ২০১৫: সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসি হয় ইয়াকুব মেননের।

২৯ জুলাই, ২০১৫: তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ইয়াকুবের প্রাণভিক্ষার আর্জি বাতিল করে। ৩০ জুলাই, ২০১৫: ইয়াকুবের ফাঁসির ঘণ্টাখানেক আগেও তার মৃত্যুর উপর ১৪ দিনের স্থগিতাদেশের আর্জি জানানো হয়। ৩০ জুলাই: ২০১৫: সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসি হয় ইয়াকুব মেননের।

০৯ ০৯
১৬ জুন, ২০১৭: বিশেষ টাডা আদালতে দোষী সব্যস্ত আবু সালেম-সহ ছয় জন।
৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭: অন্যতম অভিযুক্ত ফিরোজ খান ও তাহের মার্চেন্টকে ফাঁসি, আবু সালেম ও করিমুল্লা খানের যাবজ্জীবন ও রিয়াজ সিদ্দিকির ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায় টাডা আদালত।

১৬ জুন, ২০১৭: বিশেষ টাডা আদালতে দোষী সব্যস্ত আবু সালেম-সহ ছয় জন। ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭: অন্যতম অভিযুক্ত ফিরোজ খান ও তাহের মার্চেন্টকে ফাঁসি, আবু সালেম ও করিমুল্লা খানের যাবজ্জীবন ও রিয়াজ সিদ্দিকির ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায় টাডা আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE