Net worth comparison between Dhanush's ex wife Aishwarya Rajinikanth and rumoured girlfriend Mrunal Thakur dgtl
Celebrity Gossip
রজনীকান্তের কন্যাকে ছেড়ে ম্রুণালে মন! সম্পত্তির নিরিখে ধনুষের বর্তমান প্রেমিকা না প্রাক্তন স্ত্রী, কে এগিয়ে?
একাংশের দাবি, তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতির কারণে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা এবং ধনুষ। আবার কারও মতে, বোঝাপড়ার অভাবের জন্যই নাকি সম্পর্কে পাকাপাকি ভাবে ছেদ পড়েছিল তাঁদের।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ১২:২০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১৩০
বিবাহবিচ্ছেদের পর এক বছরও কাটেনি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রেমে পড়েছেন দক্ষিণী তারকা ধনুষ। নায়িকার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর হাত ধরে দাঁড়িয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে কথা বলছিলেন অভিনেতা। ছবিশিকারিদের ক্যামেরার লেন্সে এই দৃশ্য ধরা পড়তেই শুরু হয় জল্পনা।
০২৩০
গত ১ অগস্ট জন্মদিন ছিল ম্রুণাল ঠাকুরের। দক্ষিণী জগতের পাশাপাশি বলিপাড়ায়ও জনপ্রিয় ম্রুণাল। নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে নিমন্ত্রণ করেছিলেন ধনুষকে। দুই তারকাকে সেই অনুষ্ঠানে কাছাকাছি দেখা যায়। তার পর থেকেই কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে যে, বিবাহবিচ্ছেদের কয়েক মাসের ব্যবধানে ম্রুণালের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ধনুষ।
০৩৩০
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে দক্ষিণী তারকা রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বর্যার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ধনুষের। ম্রুণালের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা ছড়াতে শুরু করলে ধনুষের প্রাক্তন এবং বর্তমানের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়েও তুলনা করতে শুরু করেন অনেকে।
০৪৩০
বলিপাড়া সূত্রে খবর, প্রতি ছবিতে অভিনয় করতে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক আদায় করেন ম্রুণাল। বড় পর্দার পাশাপাশি বিভিন্ন জনপ্রিয় সংস্থার বিজ্ঞাপনী প্রচারেও অভিনয় করেন ম্রুণাল।
০৫৩০
একাংশের দাবি, বিজ্ঞাপনপ্রতি এক থেকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পান ম্রুণাল। মুম্বইয়ে দু’টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে নায়িকার।
০৬৩০
বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায় যে, মুম্বইয়ে যে দু’টি ফ্ল্যাট নায়িকা কিনেছেন, তার প্রতিটির বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ম্রুণালের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩ কোটি টাকা। তবে সম্পত্তির নিরিখে ধনুষের প্রাক্তন স্ত্রী নায়কের প্রেমিকার চেয়ে অনেক এগিয়ে।
০৯৩০
দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেতা রজনীকান্তের কন্যা বলে কথা! লেখালিখির সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন ঐশ্বর্যা। পাশাপাশি বড় পর্দায় ছবি পরিচালনা করেন তিনি।
১০৩০
গুঞ্জন শোনা যায়, পেশাগত ক্ষেত্র থেকেই বছরে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন ঐশ্বর্যা। তা ছাড়া রজনীকান্তের কন্যার সংগ্রহে দু’কোটি টাকা বাজারমূল্যের মার্সি়ডিজ় বেঞ্জ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি রয়েছে।
১১৩০
ইন্ডাস্ট্রিতে জনশ্রুতি, এখনও পর্যন্ত ঐশ্বর্যার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা। ম্রুণালের চেয়ে টাকার অঙ্কে এগিয়ে থাকলেও ধনুষের তুলনায় তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর সম্পত্তি অনেকটাই কম।
১২৩০
দক্ষিণী ফিল্মজগতের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অভিনেতাদের তালিকায় শীর্ষে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন ধনুষ। সূত্রের খবর, প্রতি ছবিতে অভিনয় করতে ২০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক আদায় করেন তিনি।
১৩৩০
ধনুষের নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে। সেখান থেকে বাড়়তি উপার্জন হয় তাঁর। পাশাপাশি, বিজ্ঞাপনী প্রচারেও অভিনয় করতে দেখা যায় ধনুষকে।
১৪৩০
ইন্ডাস্ট্রির একাংশের দাবি, বিজ্ঞাপনপ্রতি তিন কোটি টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয় ধনুষকে। তা ছাড়া মাঝেমধ্যে গানও গাইতে দেখা যায় তাঁকে।
১৫৩০
চেন্নাইয়ের এক বিলাসবহুল এলাকায় প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে ধনুষের। কানাঘুষো শোনা যায়, সেই বাড়িটির বাজারমূল্য ১৫০ কোটি টাকা।
১৬৩০
রোল্স রয়েস ঘোস্ট, ফোর্ড মুসতাং, বেন্টলে কন্টিনেন্টাল ফ্লায়িং স্পার এবং জাগুয়ার এক্সই মডেলের একাধিক দামি গাড়ি রয়েছে ধনুষের সংগ্রহে।
১৭৩০
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির একাংশের দাবি, ধনুষের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৩০ কোটি টাকা। প্রাক্তন স্ত্রী এবং চর্চিত প্রেমিকার চেয়ে প্রায় ছয় থেকে সাত গুণ সম্পত্তি রয়েছে অভিনেতার।
১৮৩০
২০০৩ সালে রজনীকান্ত-কন্যার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল ধনুষের। ধনুষের ‘কাধাল কোনদেন’ ছবির প্রদর্শনীর সময় ঐশ্বর্যার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল অভিনেতার। তাঁর আগে একে অপরকে চিনতেন না তাঁরা।
১৯৩০
ছবির প্রদর্শনী শেষ হওয়ার পর নাকি প্রেক্ষাগৃহের মালিক ঐশ্বর্যার সঙ্গে ধনুষের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। প্রথম আলাপে দুই তারকার সৌজন্য বিনিময় হয়েছিল মাত্র। ধনুষ এবং ঐশ্বর্যা খুব বেশি কথা বলেননি একে অপরের সঙ্গে।
২০৩০
প্রথম সাক্ষাতের পর ধনুষের বাড়িতে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছিলেন রজনীকান্ত-কন্যা। তোড়ার সঙ্গে ছিল একটি কার্ড। সেই কার্ডে লেখা ছিল, ‘‘ভাল কাজ করেছেন। যোগাযোগ রাখবেন।’’ ফুলের তোড়া পাওয়ার পর রজনীকান্তের কন্যাকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন ধনুষ।
২১৩০
ঐশ্বর্যার সঙ্গে ধনুষের সেই ফোনালাপ গড়িয়েছিল বহু দূর। এর পর নাকি মাঝেমধ্যেই লোকচক্ষুর আড়ালে দেখা করতেন তাঁরা। গোপনেই নাকি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন দু’জনে। প্রকাশ্যে কখনও সেই সম্পর্কের কথা স্বীকার করতেন না তাঁরা।
২২৩০
ধনুষ এবং ঐশ্বর্যার পরিবারের সদস্যেরা নাকি দেখাও করেছিলেন। দেখা করে দু’জনের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। ২০০৪ সালে ১৮ নভেম্বর ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল দুই তারকার। যাত্রা এবং লিঙ্গা— দুই পুত্রসন্তানের অভিভাবক তাঁরা। জ্যেষ্ঠ পুত্রের জন্ম ২০০৬ সালে। ২০১০ সালে কনিষ্ঠ পুত্রের জন্ম।
২৩৩০
বিয়ের পর সমাজমাধ্যমে নিজের নাম পরিবর্তন করে ফেলেছিলেন ঐশ্বর্যা। আগে নিজের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলেও বিয়ের পর সেই নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল পিতা এবং স্বামীর নামও। সমাজমাধ্যমে রজনীকান্তের কন্যা তাঁর নাম বদলে রেখেছিলেন ‘ঐশ্বর্যা আর ধনুষ’। ইংরেজি ‘আর’ হল তাঁর বাবা রজনীকান্তের নামের আদ্যক্ষর। তার পরে জুড়েছিলেন স্বামীর নাম।
২৪৩০
২০১২ সালে প্রথম ছবি পরিচালনার কাজে হাত দিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা। তাঁর পরিচালনায় ‘৩’ ছবির অভিনেতা ছিলেন ধনুষ। ধনুষের বিপরীতে নায়িকা হিসাবে ছোটবেলার বান্ধবী শ্রুতি হাসনকে পছন্দ করেছিলেন ঐশ্বর্যা।
২৫৩০
কানাঘুষো শোনা যায়, সেই ছবি শুটের সময় ধনুষের সঙ্গে কমল হাসনের কন্যা শ্রুতির প্রেম জমে উঠেছিল। একাংশের দাবি, বয়সে বছর দেড়েকের বড় স্ত্রী ঐশ্বর্যাকে নাকি আর মনে ধরছিল না ধনুষের।
২৬৩০
রেডিয়োয় এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্রুতি এবং ধনুষ। দুই তারকার কথা বলার সময় পরিকল্পনামতো অতিথির আসনে যোগ দিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা। কিন্তু ঐশ্বর্যা আসার পরেই ‘শরীর খারাপ’-এর কারণ দেখিয়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ধনুষ। অনেকের ধারণা, কোনও ভাবেই শ্রুতি এবং ঐশ্বর্যার সঙ্গে এক মঞ্চে আসতে রাজি ছিলেন না অভিনেতা। তাই অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
২৭৩০
ধনুষ এবং শ্রুতির সম্পর্ক নিয়ে সমস্ত কানাঘুষো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঐশ্বর্যার মন্তব্যের পর। তিনি জানিয়েছিলেন, ধনুষ এবং শ্রুতিকে নিয়ে যে সমস্ত কথাবার্তা রটানো হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। ২০১৫ সালে তামিল ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী তৃষা কৃষ্ণনের সঙ্গে বরুণ মানিয়ানের আংটিবদল হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছোতে পারেননি তাঁরা। বরুণের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যায় অভিনেত্রীর।
২৮৩০
অনেকে মনে করেন, তৃষার বিয়ে ভাঙার নেপথ্যেও ছিলেন ধনুষ।‘কোড়ি’ নামের একটি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ধনুষ এবং তৃষা। কিন্তু দুই তারকার বন্ধুত্ব বহু দিনের। কানাঘুষো শোনা যায়, তৃষা তাঁর আংটিবদলের অনুষ্ঠানে ধনুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বলে অভিনেত্রীর সঙ্গে বিবাদ হয়েছিল বরুণের। সেই সময় তৃষা এবং ধনুষের পার্টিতে তোলা একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে গিয়েছিল। একাংশের দাবি, ধনুষের সঙ্গে তৃষার সম্পর্কের কারণেই নাকি অভিনেত্রীর বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল।
২৯৩০
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতির কারণে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা এবং ধনুষ। আবার কারও মতে, বোঝাপড়ার অভাবের জন্যই নাকি সম্পর্কে পাকাপাকি ভাবে ছেদ পড়েছিল তাঁদের। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে সমাজমাধ্যমে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন দুই তারকা।
৩০৩০
সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ম্রুণালের ‘সন অফ সর্দার ২’ ছবির বিশেষ প্রদর্শন দেখার জন্য মুম্বই উড়ে গিয়েছিলেন ধনুষ। এর আগেও কণিকা ঢিলোঁর পার্টিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল দু’জনকে। অভিনেতার আসন্ন ছবি ‘তেরে ইশক মে’-কে ঘিরে এই পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। সেই পার্টিতেও একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ধনুষ এবং ম্রুণালকে। কিন্তু তাঁদের নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠলেও দু’জনের কেউই এই বিষয়ে মুখ খোলেননি।