তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে আন্নাম্মা চাকোর কাছে ওই ফোন এসেছিল ওর্যাকলের বেঙ্গালুরুর শাখা থেকে। তরুণের মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুলিশকে তিনি জানান, তাঁর দুই ছেলের মধ্যে এক জন দক্ষিণের এক রাজ্যে থাকেন, অন্য জন আমদাবাদে। তবে তত দিনে আমদাবাদ থেকে তো গায়েব হয়ে গিয়েছে তরুণ! তবে কি তথ্য গোপন করছেন তরুণের মা?
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, তরুণের মায়ের কাছে বেঙ্গালুরুর ওই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার নামে নথিভুক্ত একটি ল্যান্ডলাইন থেকে ফোন আসত। এ ছাড়া একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসত, যা নিশা নামে এক মহিলার নামে ছিল। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কর্মী সেজে ওর্যাকলে তদন্তকারীরা ঢুকলেও তরুণের হদিস মেলেনি। তরুণের বয়স তত দিনে ৪২। তবে তার চেহারার সঙ্গে মিল রয়েছে, ওর্যাকলের অফিসে এমন কোনও ব্যক্তির দেখা মেলেনি। দেখা হয়েছিল প্রবীণ ভটেলে নামে এক সিনিয়র ম্যানেজারের সঙ্গে!
কী ভাবে প্রবীণবেশী তরুণকে পাকড়াও করল তদন্তকারীরা? সে সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে আমদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের স্পেশাল পুলিশ কমিশনার জেকে ভট্ট বলেছিলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশে নিজের শহরের এক কলেজের বন্ধুর নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়েছিল তরুণ। এর পর গত ছ’বছর ধরে বেঙ্গালুরুতে ওর্যাকলের সংস্থায় রাতের শিফ্টে কাজ করত সে। বিশেষ কারও সঙ্গে মেলামেশাও করত না।’’
তদন্তকারীদের দাবি, বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক পাকা করতে ‘উপহার’ হিসাবে স্ত্রীকে খুন করেছিল তরুণ। ২০০৩ সালের ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে ওই খুনের ঘটনায় গুজরাত জুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। খুনের ১৫ বছর পর অবশেষে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ধরা পড়ে সে। তত দিনে নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে ওর্যাকলের মতো বহুজাতিক সংস্থায় উঁচু পদে প্রায় ছ’বছর কাজ করে ফেলেছে সে। কোন ভুলে পুলিশের জালে পড়ল খুনি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy