পাকিস্তানের দ্বিতীয় সেনা অফিসার হিসাবে ‘ফিল্ড মার্শাল’-এর পদ পেলেন সেনাপ্রধান আসিম মুনির। পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির প্রথম সেনাশাসক আয়ুব খানও ছিলেন ওই পদে। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারতের হাতে পর্যুদস্ত হন তিনি।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৫ ১২:৫৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
‘অপারেশন সিঁদুর’-এ নতজানু পাকিস্তান। ভারতীয় ফৌজের হাতে মার খেয়ে তড়িঘড়ি সংঘর্ষবিরতির রাস্তায় হেঁটেছে ইসলামাবাদ। ‘যুদ্ধে’ হেরেও অবশ্য এতটুকু লজ্জা নেই রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তাদের। উল্টে সত্য গোপন করতে এই আবহে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ফের পদোন্নতি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। এ বার তাঁকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ হিসাবে নিয়োগ করলেন শরিফ, যা ইসলামাবাদের বাহিনীর সর্বোচ্চ পদ।
০২১৯
পাক সেনার ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত দু’জন ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদ পেয়েছেন। মুনিরের আগে এই সম্মান ছিল শুধুমাত্র মহম্মদ আয়ুব খানের ঝুলিতে। জেনারেল পদে থাকাকালীনই সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেন তিনি। ফলে দেশভাগের ১১ বছরের মধ্যেই ইসলামাবাদ চলে যায় সেনাশাসনে। পরবর্তী কালে আয়ুবের দেখানো রাস্তায় হাঁটতে দেখা গিয়েছে একাধিক ফৌজি জেনারেলকে। যদিও তাঁদের কেউই ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদ পাননি। পূর্বসূরির মতো মুনিরও সেনা অভ্যুত্থান ঘটাবেন কি না, তা নিয়ে অবশ্য ইতিমধ্যেই তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।
০৩১৯
আয়ুব এবং মুনিরের ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদ পাওয়ার রাস্তা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। আবার ইসলামাবাদের সেনাবাহিনীর দুই শীর্ষ অফিসারের ভারতের সঙ্গে ‘যুদ্ধ’ অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে রয়েছে পরতে পরতে মিল। ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানে ‘মার্শাল আইন’ জারি করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জ়া। জেনারেল আয়ুবকে তিনি ‘মুখ্য মার্শাল আইন প্রশাসক’ (পড়ুন চিফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর) নিযুক্ত করেন। এতে রাতারাতি ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে পৌঁছে যান তৎকালীন পাক সেনাপ্রধান।
০৪১৯
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর সংবিধান তৈরি করতেই ইসলামাবাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। ফলে ’৫৮ সাল পর্যন্ত ঘন ঘন সরকার বদল হচ্ছিল। এতে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। পাশাপাশি, সীমাহীন দুর্নীতি প্রেসিডেন্ট মির্জ়াকে একরকম অধৈর্য করে তোলে। এরই পরিণতি হিসাবে মার্শাল আইন জারি করে দেন তিনি। কিন্তু, এর কয়েক দিনের মাথায় তাঁকেই সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল আয়ুব। কুর্সিতে বসে নিজেকে প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষণা করেন এই সাবেক পাক সেনাপ্রধান।
০৫১৯
ক্ষমতা দখলের পর মির্জ়া ও তাঁর পরিবারকে ব্রিটেনে নির্বাসনে পাঠান আয়ুব। এই সেনা অভ্যুত্থানের এক বছরের মাথায় (পড়ুন ১৯৫৯ সালে) নিজেই নিজেকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ খেতাব দেন তিনি। পরবর্তী ১১ বছর তাঁর হাতেই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে পাকিস্তানের ভাগ্য। ১৯৬৫ সালে দ্বিতীয় ভারত-পাক যুদ্ধের পর আয়ুবের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ১৯৬৯ সালে গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।
০৬১৯
আয়ুব কুর্সি ছাড়লেও পাকিস্তানে সেনাশাসনের অবসান হয়নি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন আর এক সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খান। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের হাতে ফের পর্যুদস্ত হওয়ায় মুখ পোড়ে তাঁর। হাতছাড়া হয় পূর্ব পাকিস্তান। সেখানে জন্ম নেয় স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। এ ছাড়া যুদ্ধে ৯৩ হাজার পাক সৈনিক বন্দি হয় ভারতীয় সেনার হাতে। ওই লড়াই থামার পর আর কুর্সিতে টিকে থাকতে পারেননি ইয়াহিয়া। তবে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এক বারও ‘ফিল্ড মার্শাল’-এ পদোন্নতির ব্যাপারে উচ্চবাচ্য করেননি তিনি।
০৭১৯
আয়ুবের মতোই ১০ বছর ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা আর এক জন সেনাশাসক হলেন জেনারেল জ়িয়া-উল-হক। ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জ়ুলফিকার আলি ভুট্টোকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন তিনি। পূর্বসূরিদের মতো দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের প্রাক্তনী জ়িয়াও প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হতে খুব একটা দেরি করেননি। তাঁর নির্দেশে বাতিল হয় পাক সংসদ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’ এবং সংবিধান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জ়ুলফিকার আলি ভুট্টোকে ফাঁসিতেও ঝোলান তিনি।
০৮১৯
১৯৮৮ সালের ১৭ অগস্ট পাকিস্তানের বহাওয়ালপুরে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জেনারেল জ়িয়ার। পরবর্তী সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ় মুশারফ ক্ষমতায় আসেন ১৯৯৯ সালে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফকে হটিয়ে কুর্সি দখল করেন তিনি। সেনা অভ্যুত্থানের আগে ওই বছরই তাঁর নির্দেশে ভারতের সঙ্গে কার্গিল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে পাকিস্তান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কুর্সিতে বসেই জাতীয় জরুরি অবস্থা (ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করেন মুশারফ। জ়িয়ার মতোই বাতিল করেন সংবিধান এবং ব্রিটেনে নির্বাসনে পাঠান নওয়াজ়কে। নওয়াজ় সম্পর্কে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের দাদা।
০৯১৯
আয়ুব-পরবর্তী সেনাশাসকদের মধ্যে জ়িয়া বা মুশারফও ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেননি। কিন্তু বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মুনিরের ওই পদ পাওয়ার নেপথ্যে একাধিক উদ্দেশ্য রয়েছে। তাঁদের দাবি, এই পদোন্নতির জন্য প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জ়ারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফকে একরকম বাধ্য করেছেন তিনি। আগামী দিনে রাজনৈতিক বর্ম হিসাবে একে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন পাক সেনাপ্রধান। ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদ পাওয়ায় কোর্ট মার্শাল এড়ানোর সুযোগ রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি, আগাম অবসরের কথাও বলা যাবে না তাঁকে।
১০১৯
দ্বিতীয়ত, ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদ পাওয়ায় নিজেকে বাহিনীর ঊর্ধ্বে তুলে ধরার ক্ষমতা পাচ্ছেন মুনির। সৈনিক জীবনে ঘরের মাঠে তাঁকে সর্বাধিক চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর দল ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ বা পিটিআইয়ের সদস্যেরা ইতিমধ্যেই তাঁকে ‘কাপুরুষ’ ও ‘যুদ্ধবাজ’ বলে খোঁচা দিতে শুরু করেছেন। ইমরান অবশ্য এখনও জেলবন্দি রয়েছেন। কোনও ভাবে তিনি যাতে গরাদের বাইরে বেরিয়ে আসতে না পারেন, বর্তমানে সেই চেষ্টাই করে চলেছেন মুনির। ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদ পাওয়ায় এতে যথেষ্ট সুবিধা পাবেন রাওয়ালপিন্ডির এই জেনারেল।
১১১৯
পাক সেনার জনসংযোগ দফতর বা ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনের (আইএসপিআর) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৭ মাসে ফৌজের উপর ৩,৭০০-র বেশি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় চার হাজার সৈনিক। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এর জেরে বাহিনীতে মুনিরের জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়েছিল। জ়ারদারি-শরিফের থেকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদ ছিনিয়ে নিয়ে তিনি যে নিজের অবস্থান মেরামত করে নিয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য।
১২১৯
মুনিরকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ হিসাবে পদোন্নতি দেওয়ার অনুষ্ঠানে তাঁর কর্মদক্ষতা এবং সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ়। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য দৃঢ়তার সঙ্গে বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেনাপ্রধান। ফলে শত্রুদের চূড়ান্ত পরাজয় হয়েছে।’’ অন্য দিকে, এ ব্যাপারে মুনিরের বক্তব্যও ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। পদোন্নতিকে সশস্ত্র বাহিনী এবং জাতির জন্য বড় সম্মান বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
১৩১৯
১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারতের কাছে হেরে গিয়েও লড়াইয়ে জয় এসেছে বলে দেশ জু়ড়ে প্রচার চালান আয়ুব খান। এখনও ওই যুদ্ধকে নিয়ে ‘বিজয় দিবস’ পালন করে পাক সেনাবাহিনী। আয়ুবের উত্তরসূরি মুনিরের মধ্যেও সেই প্রবণতা দেখা গিয়েছে। সংঘর্ষবিরতির পর পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটিতে একরকম উৎসবের ছবি দেখা গিয়েছে। কারণ, আমজনতার মধ্যে যুদ্ধজয়ের বার্তা ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন মুনির এবং তাঁর অধীনস্থ সেনা অফিসারেরা।
১৪১৯
তবে ‘ফিল্ড মার্শাল’ দুই সেনাপ্রধানের মধ্যে অনেক জায়গায় অমিল রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে সরাসরি ভারত আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আয়ুব। ওই সময়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক এবং সেনা— দু’টির ক্ষমতাই ছিল তাঁর হাতে। অন্য দিকে মুনির সরাসরি এ দেশে হামলা চালানোর কোনও চেষ্টা করেননি। উল্টে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে রক্তাক্ত করেছেন জম্মু-কাশ্মীরকে। ভারতে ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করতে দিয়েছেন সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক ভাষণ। যদিও তাঁর সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে।
১৫১৯
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারান পর্যটক-সহ মোট ২৬ জন। এই ঘটনার বদলা নিতে ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের (পাকিস্তান অকুপায়েড জম্মু-কাশ্মীর বা পিওজেকে) ন’টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। এই অভিযানেরই পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপে তীব্র হয় দুই দেশের সংঘাত। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, পহেলগাঁও কাণ্ডের কয়েক দিন আগে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক ভাষণ দেন মুনির।
১৬১৯
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের সীমান্তে পাল্টা প্রত্যাঘাতের চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়ে এ দেশের একাধিক এলাকাকে নিশানা করে ইসলামাবাদ। সেই তালিকায় ফৌজি ছাউনির পাশাপাশি ছিল অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরও। কিন্তু, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে (এয়ার ডিফেন্স) কাজে লাগিয়ে সেগুলিকে শূন্যেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ভারতীয় সেনা।
১৭১৯
ইসলামাবাদকে শিক্ষা দিতে এর পর পাকিস্তানের ১১টি বায়ুসেনা ছাউনিতে হামলা চালিয়ে সেগুলিকে প্রায় ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। ওড়ানো হয় লাহৌরের এয়ার ডিফেন্স। এ ছাড়া চিনের তৈরি দু’টি জেএফ-১৭ লড়াকু জেটও হারায় পাকিস্তান। ফলে যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন করেন রাওয়ালপিন্ডির সেনা অফিসারেরা। ১০ মে বিকেল থেকে সেই সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার।
১৮১৯
‘যুদ্ধ’ থামার ১০ দিনের মাথায় বাহিনীর সর্বোচ্চ পদে মুনিরের বহাল হওয়াকে একেবারে অন্য চোখে দেখছে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, অবসরের মুখে প্রথমে সেনাপ্রধান এবং তার পর ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে আসীন হলেন তিনি। এতে তার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাই ফুটে উঠেছে। আয়ুব যখন ‘ফিল্ড মার্শাল’-এর সম্মান নিয়েছিলেন, তখন কোনও পরাজয়ের দাগ তাঁর উর্দিতে ছিল না। মুনিরের ক্ষেত্রে সেটা বলা যাবে না।
১৯১৯
পাকিস্তানের ইতিহাসে যত বার ফৌজি জেনারেলদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব হাতে ধরে এনে উঁচু পদে বসিয়েছেন, তত বারই অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক নেতাকেই ছুড়ে ফেলে দিতে এক মুহূর্ত সময় নেননি ওই অফিসারেরা। আয়ুব, জ়িয়া বা মুশারফের দেখানো সেই রাস্তাতেই কি হাঁটবেন মুনির? উত্তর দেবে সময়।