সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে বালোচিস্তানে মাইলের পর মাইল খেত জুড়ে মাথা তুলেছে পোস্ত গাছ। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই অশান্ত অংশে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে আফিম সাম্রাজ্যের নয়া রাজধানী। আফিম চাষের উপর নিষেধাজ্ঞার ফলে আফগান চাষিরা পাকিস্তানের দিকে সরে এসেছেন।
আফগান বিশেষজ্ঞ এবং ভাগচাষিদের যোগসাজশে কাবুলের আফিমের সিংহাসন পূর্ব দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আফগান সীমান্ত-সংলগ্ন বালোচিস্তানের কয়েকটি গ্রামে আফিম চাষকেই জীবিকা করেছেন বাসিন্দারা। ইসলামিক স্টেটের মতো বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠীর আবাসস্থল ঘিরে আফিম চাষের বাড়বাড়ন্ত নয়াদিল্লির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ।
আমেরিকার কূটনীতিক এবং বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ জ়ালমে খলিলজাদ জানিয়েছেন, এমনিতেই বারুদের স্তূপের উপর বসে রয়েছে বালোচিস্তান। পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গে শত্রুতা কয়েক দশকের। দিনের পর দিন বালোচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে পাকিস্তান। জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আর সেই দাবিতেই বালোচিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
বালোচিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে ১ হাজার ২৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ অসুরক্ষিত সীমান্ত রয়েছে। কঠোর মরুভূমিতে ফসল চাষের প্রযুক্তিগত জ্ঞান নিয়ে বালোচ কৃষকদের সহায়তা করতে সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছেন আফগানি আফিম কারবারিরা। বেশির ভাগ আফগান কৃষক হয় জমিতে কাজ করেন অথবা ভাড়া দেন। স্থানীয় বালোচদের সহায়তা ছাড়া জমি পাওয়া এবং আফিম চাষ করা খুবই কঠিন।
আফগানিস্তান একসময় বিশ্বের ৮০ শতাংশ আফিম এবং ইউরোপের ৯৫ শতাংশ হেরোইন সরবরাহকারী দেশ হিসাবে পরিচিত ছিল। নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে শ্রমশক্তি ও দক্ষতা এখন সরে এসেছে পাকিস্তানে। ফাঁকা জায়গা ক্রমে ক্রমে দখল করছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মাদক বাজার দখল করছে এমন একটি দেশ যারা ২০০১ সালে আফিম চাষ মুক্ত দেশ বলে নিজেদের ঘোষণা করেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy