পুলিশের কয়েক জন কর্মী তল্লাশিতে গিয়ে পথ ভুল করে চলে এসেছিলেন ওয়াগনার প্রধানের স্নানঘরে। সেখানে তাঁদের মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়। বিশাল আকৃতির স্নানঘরের কোণে মার্বেল পাথরে মোড়া বাথটাব। বাথটাবে পৌঁছনোর জন্য দু’দিকে সিঁড়ি, কালো পাথরে মোড়া। বাথরুমের এক কোণে বিরাট ‘ফ্রেঞ্চ উইনডো’। তার পাশে বসানো দু’টি ডেক চেয়ার। সূর্যের তাপ নিতে নিতে স্নানের আদর্শ স্থান।
শোয়ার ঘরেরই একটি অংশ সোজা চলে গিয়েছে প্রিগোঝিনের খেলার ঘরে। সেখানে রাখা বিলিয়ার্ড টেবল। রয়েছে একটি অতিকায় হাতুড়িও। অনলাইনে এমন একাধিক ছবি, ভিডিয়ো রয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, হাতুড়ি হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রিগোঝিন। তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, উপরমহলের নির্দেশ মেনে সেটি দিয়ে কিছু ক্ষণ আগেই কোনও এক জনকে নিকেশ করেছেন। ফলে তাঁর বাড়িতেও যে হাতুড়ি থাকবে, তাতে আর আশ্চর্য কী!
রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই ভিলা থেকে একাধিক পাসপোর্টও পাওয়া গিয়েছে। সেই পাসপোর্টগুলিতে নাম রয়েছে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোঝিনের। কিন্তু প্রতিটিতে ছবি আলাদা আলাদা। এ থেকেই সন্দেহ, প্রিগোঝিন সেজে কি তা হলে অন্যেরাও ঘুরে বেড়াতেন? সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, ইদানীং যাঁকে প্রিগোঝিন বলে দাবি করা হচ্ছে, তিনিই আসল লোক তো?
১৯৬১ সালের ১ জুন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের লেনিনগ্রাদ (বর্তমানে সেন্ট পিটার্সবার্গ) শহরে জন্ম প্রিগোঝিনের। ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল ‘ক্রস-কান্ট্রি স্কিয়ার’ হওয়ার। কিন্তু জীবন চলে সম্পূর্ণ অন্য পথে। ২০০০ সাল নাগাদ পুতিনের কাছাকাছি চলে আসেন তিনি। তার পর আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি দুনিয়ার অন্যতম ভয়ঙ্কর ভাড়াটে বাহিনীর প্রধানকে।
সেই প্রিগোঝিনই দু’সপ্তাহ আগে অসন্তোষের অভিযোগে মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎই বিদ্রোহ থামিয়ে বেলারুশের উদ্দেশে রওনা দেন ওয়াগনার নেতা প্রিগোঝিন। কেন পিছু হটেছিলেন তিনি, আজও জানা যায়নি। ওয়াগনার বাহিনী এবং রুশ সরকারের মধ্যে লুকাশেঙ্কো শান্তি সমঝোতা করলেও তিনি কী বুঝিয়েছিলেন, তা-ও অজানা। তা ছাড়া কেনই বা বেলারুশে গেলেন প্রিগোঝিন, তা-ও রহস্য থেকে গিয়েছে। বিদ্রোহ থামার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেননি প্রিগোঝিন। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আদৌ বেঁচে আছেন তো ওয়াগনার নেতা?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy