নামিবিয়া তখন জার্মান কলোনি। মরুভূমির মধ্যে দিয়ে রেললাইন পাতছে জার্মানরা। সালটা ১৯০৮। লাইন পাতার কাজ করতে করতে সেখানে এক কর্মী হঠাৎ পেয়ে যান একটি উজ্জ্বল পাথর। সেটিকে অবশ্য হিরে বলে চিনতে পারেননি সেই কর্মী। তিনি সেটা দেখান জার্মান রেল ইনস্পেক্টরকে। ব্যস, তার পরই জার্মানরা বুঝে যায় ওখানে অনেক হিরে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সুসময় বেশি দিন চলেনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই এর দুর্দিন শুরু হয়। কারণ, এলাকার হিরে ফুরিয়ে আসছিল। ত্রিশের দশকে কোলম্যানস্কোপের থেকে ১৬৮ মাইল দক্ষিণে নামিবিয়ার সীমান্তের দিকে আরও একটি হিরের খনি আবিষ্কৃত হয়। সেখানে বিপুল পরিমাণ হিরে উত্তোলন শুরু হওয়ায় কোলম্যানস্কোপের অবস্থা দুয়োরানির মতো হতে শুরু করে।
মরুভূমির এই ‘ভূতের শহরে’ যাঁরা প্রবেশ করেন তাঁদের সামনে উপস্থিত হয় জরাজীর্ণ ভবনগুলি। বাড়িগুলি ভয়াবহ বালির ঝড় সহ্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ধনী পরিবারগুলি আরও ভাল সুরক্ষার জন্য বালির পাহাড়ের মাথায় সবচেয়ে উঁচু বাড়িগুলি তৈরি করেছিলেন। পর্যটকেরা এখন হাঁটু পর্যন্ত বালিতে ভরা ঘরগুলির মধ্য দিয়ে হেঁটে যান। বালির চাদর সরিয়ে মাঝেমধ্যে উঁকি দেয় আফ্রিকার প্রথম ট্রামলাইন। কখনও উজ্জ্বল ইতিহাস, কখনও মলিন বাস্তব খেলা করে যায় বালির আড়াল থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy