Advertisement
১৫ মার্চ ২০২৫
Donald Trump Tariff War

শুল্ক-যুদ্ধে নেমে ‘আত্মঘাতী গোল’! মগডালে বসে মার্কিন অর্থনীতির গোড়া কাটছেন ‘কালিদাস’ ট্রাম্প?

একের পর এক দেশের সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধে নেমে মার্কিন অর্থনীতিতে বড় বিপদ ডাকছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:২৭
Share: Save:
০১ ২০
দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। সেই সঙ্গে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি। জোড়া লক্ষ্যে অটল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাই একরকম কোমর বেঁধেই শুল্ক-যুদ্ধে নেমে পড়েছেন তিনি। তবে সব দেখে ভুরু কুঁচকেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের দাবি, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আখেরে লোকসানই হবে যুক্তরাষ্ট্রের। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘আত্মঘাতী গোল’ করে ফেলছেন বলেও স্পষ্ট করেছেন তাঁরা।

দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। সেই সঙ্গে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি। জোড়া লক্ষ্যে অটল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাই একরকম কোমর বেঁধেই শুল্ক-যুদ্ধে নেমে পড়েছেন তিনি। তবে সব দেখে ভুরু কুঁচকেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের দাবি, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আখেরে লোকসানই হবে যুক্তরাষ্ট্রের। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘আত্মঘাতী গোল’ করে ফেলছেন বলেও স্পষ্ট করেছেন তাঁরা।

০২ ২০
মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগ্রাসী শুল্ক নীতির নেপথ্যে রয়েছে একটিই কারণ। ঘরোয়া উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করতে চাইছেন তিনি। ট্রাম্প মনে করেন, এতে তৈরি হবে বিপুল কর্মসংস্থান। পাশাপাশি, এর জেরে ফের ‘গ্রেট’ হবে আমেরিকা।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগ্রাসী শুল্ক নীতির নেপথ্যে রয়েছে একটিই কারণ। ঘরোয়া উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করতে চাইছেন তিনি। ট্রাম্প মনে করেন, এতে তৈরি হবে বিপুল কর্মসংস্থান। পাশাপাশি, এর জেরে ফের ‘গ্রেট’ হবে আমেরিকা।

০৩ ২০
আর তাই আমদানি হওয়া পণ্যের থেকে দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করতে একের পর এক শুল্ক চাপিয়ে চলেছেন ষুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এতে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলেও যুক্তি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের বিশ্বাস, উচ্চ হারে শুল্ক চাপালে বেশ কিছু দেশের উপর রাজনৈতিক চাপও তৈরি করা যাবে। তখন তারা ওয়াশিংটনের থেকে পণ্য কিনতে বাধ্য হবে।

আর তাই আমদানি হওয়া পণ্যের থেকে দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করতে একের পর এক শুল্ক চাপিয়ে চলেছেন ষুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এতে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলেও যুক্তি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের বিশ্বাস, উচ্চ হারে শুল্ক চাপালে বেশ কিছু দেশের উপর রাজনৈতিক চাপও তৈরি করা যাবে। তখন তারা ওয়াশিংটনের থেকে পণ্য কিনতে বাধ্য হবে।

০৪ ২০
আর ঠিক এখানেই আর্থিক বিশ্লেষকেরা সতর্কবাণী দিয়েছেন। তাঁদের যুক্তি, ট্রাম্পের এই শুল্ক-যুদ্ধের ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। কারণ এতে আগামী দিনে বিশ্বের অন্য দেশগুলিও একই হারে আমেরিকার উপর শুল্ক চাপাতে বাধ্য হবে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া বাজারে হু হু করে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম চলে যাবে আমজনতার নাগালের বাইরে।

আর ঠিক এখানেই আর্থিক বিশ্লেষকেরা সতর্কবাণী দিয়েছেন। তাঁদের যুক্তি, ট্রাম্পের এই শুল্ক-যুদ্ধের ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। কারণ এতে আগামী দিনে বিশ্বের অন্য দেশগুলিও একই হারে আমেরিকার উপর শুল্ক চাপাতে বাধ্য হবে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া বাজারে হু হু করে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম চলে যাবে আমজনতার নাগালের বাইরে।

০৫ ২০
এ ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের উদাহরণ দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। তখন ছিল প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের প্রথম শাসনকাল। সে বার আমদানি করা ধাতুর উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান তিনি। মার্কিন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, এতে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালুমিনিয়ামের উৎপাদন ৩২ শতাংশ এবং ইস্পাত উৎপাদন ৩.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।

এ ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের উদাহরণ দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। তখন ছিল প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের প্রথম শাসনকাল। সে বার আমদানি করা ধাতুর উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান তিনি। মার্কিন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, এতে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালুমিনিয়ামের উৎপাদন ৩২ শতাংশ এবং ইস্পাত উৎপাদন ৩.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।

০৬ ২০
২০১৮ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে পাশ হওয়া ‘জাতীয় নিরাপত্তা আইন’ মোতাবেক আমদানি করা ধাতুর উপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, দু’বছর পর পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল দাঁড়িয়েছিল। এর জেরে মার্কিন ইস্পাতশিল্পে তৈরি হয় মাত্র হাজার কর্মসংস্থান। অন্য দিকে গাড়ি, ওয়াশিং মেশিন নির্মাণকারী সংস্থাগুলিতে যে ৭৫ হাজার চাকরির সুযোগ ছিল, সেগুলি রাতারাতি নষ্ট হয়ে যায়।

২০১৮ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে পাশ হওয়া ‘জাতীয় নিরাপত্তা আইন’ মোতাবেক আমদানি করা ধাতুর উপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, দু’বছর পর পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল দাঁড়িয়েছিল। এর জেরে মার্কিন ইস্পাতশিল্পে তৈরি হয় মাত্র হাজার কর্মসংস্থান। অন্য দিকে গাড়ি, ওয়াশিং মেশিন নির্মাণকারী সংস্থাগুলিতে যে ৭৫ হাজার চাকরির সুযোগ ছিল, সেগুলি রাতারাতি নষ্ট হয়ে যায়।

০৭ ২০
উচ্চ হারে শুল্কের জন্য ইস্পাতের আমদানি হ্রাস পাওয়ায় এর দাম খুচরো বাজারে হু হু করে বাড়তে শুরু করে। ফলে মার্কিন ভোক্তাদের পকেট থেকে দিতে হয়েছিল অতিরিক্ত ন’লক্ষ ডলার। ফলে মাত্র দু’বছরের ব্যবধানে ইস্পাতের উপর শুল্ক তুলে নিতে প্রেসিডেন্টের ‘শ্বেত প্রাসাদ’-এ (পড়ুন হোয়াইট হাউস) এসেছিল এক লাখের বেশি অনুরোধ। আর সেগুলি পাঠিয়েছিলেন সে দেশের বড়-মেজো-ছোট শিল্পপতিরা।

উচ্চ হারে শুল্কের জন্য ইস্পাতের আমদানি হ্রাস পাওয়ায় এর দাম খুচরো বাজারে হু হু করে বাড়তে শুরু করে। ফলে মার্কিন ভোক্তাদের পকেট থেকে দিতে হয়েছিল অতিরিক্ত ন’লক্ষ ডলার। ফলে মাত্র দু’বছরের ব্যবধানে ইস্পাতের উপর শুল্ক তুলে নিতে প্রেসিডেন্টের ‘শ্বেত প্রাসাদ’-এ (পড়ুন হোয়াইট হাউস) এসেছিল এক লাখের বেশি অনুরোধ। আর সেগুলি পাঠিয়েছিলেন সে দেশের বড়-মেজো-ছোট শিল্পপতিরা।

০৮ ২০
এ বারের শাসনকালে ট্রাম্প ফের আগ্রাসী শুল্ক নীতি নেওয়ায় ঠান্ডা পানীয় সংস্থা কোকা কোলা, গাড়ি নির্মাণকারী কোম্পানি ফোর্ড এবং মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন ফোর্ডের সিইও জিম ফার্লি। তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত ঘরোয়া উৎপাদন এবং ব্যবসার জগতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।’’

এ বারের শাসনকালে ট্রাম্প ফের আগ্রাসী শুল্ক নীতি নেওয়ায় ঠান্ডা পানীয় সংস্থা কোকা কোলা, গাড়ি নির্মাণকারী কোম্পানি ফোর্ড এবং মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন ফোর্ডের সিইও জিম ফার্লি। তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত ঘরোয়া উৎপাদন এবং ব্যবসার জগতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।’’

০৯ ২০
আমেরিকার গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাগুলি কাঁচামালের একাংশ মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমদানি করে থাকে। শুল্কের জন্য সেগুলির দর চড়া হলে ঘরোয়া বাজারে বাড়বে গাড়ির দাম। সে ক্ষেত্রে গাড়ি বিক্রির সূচক নিম্নমুখী হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। এই আশঙ্কা থেকে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে একাধিক কোম্পানি।

আমেরিকার গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাগুলি কাঁচামালের একাংশ মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমদানি করে থাকে। শুল্কের জন্য সেগুলির দর চড়া হলে ঘরোয়া বাজারে বাড়বে গাড়ির দাম। সে ক্ষেত্রে গাড়ি বিক্রির সূচক নিম্নমুখী হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। এই আশঙ্কা থেকে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে একাধিক কোম্পানি।

১০ ২০
উদাহরণ হিসাবে ফোর্ডের কথাই বলা যেতে পারে। বিখ্যাত এই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাটি কাঁচামাল এবং যন্ত্রাংশের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশকে মজুত করার নির্দেশ দিয়েছে। কোকা কোলার আবার দাবি, অ্যালুমিনিয়ামের ক্যান ব্যয়বহুল হতে পারে। আর তাই আগামী দিনে প্লাস্টিকের বোতলে ঠান্ডা পানীয়টি বিক্রির উপর বেশি জোর দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত অবশ্য একেবারেই পরিবেশবান্ধব নয়।

উদাহরণ হিসাবে ফোর্ডের কথাই বলা যেতে পারে। বিখ্যাত এই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাটি কাঁচামাল এবং যন্ত্রাংশের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশকে মজুত করার নির্দেশ দিয়েছে। কোকা কোলার আবার দাবি, অ্যালুমিনিয়ামের ক্যান ব্যয়বহুল হতে পারে। আর তাই আগামী দিনে প্লাস্টিকের বোতলে ঠান্ডা পানীয়টি বিক্রির উপর বেশি জোর দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত অবশ্য একেবারেই পরিবেশবান্ধব নয়।

১১ ২০
একই রকমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুগন্ধি প্রস্তুতকারী মার্কিন সংস্থা কোটি। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনায় সুগন্ধি উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে তারা। গাড়ি প্রস্তুতকারী জেনারেল মোটরস আবার ট্রাম্পের শুল্ক নীতির ফলে খরচ কামানোর দিকে নজর দিয়েছে. ফলে সেখানে ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা তীব্র হয়েছে।

একই রকমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুগন্ধি প্রস্তুতকারী মার্কিন সংস্থা কোটি। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনায় সুগন্ধি উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে তারা। গাড়ি প্রস্তুতকারী জেনারেল মোটরস আবার ট্রাম্পের শুল্ক নীতির ফলে খরচ কামানোর দিকে নজর দিয়েছে. ফলে সেখানে ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা তীব্র হয়েছে।

১২ ২০
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দিয়েছে গাড়ি সরবরাহকারী সংস্থা অটোলিভ। তাদের দাবি, ‘‘আগামী দেড় থেকে দু’বছরের মধ্যে আমেরিকার বাজারে গাড়ির দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে।’’ আর্থিক বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শুল্ক নীতিতে দিনে অতিরিক্ত খরচ হবে ১১ কোটি ডলার। একটি আর্থিক বছরে সম্ভাব্য লোকসানের অঙ্ক চার হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দিয়েছে গাড়ি সরবরাহকারী সংস্থা অটোলিভ। তাদের দাবি, ‘‘আগামী দেড় থেকে দু’বছরের মধ্যে আমেরিকার বাজারে গাড়ির দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে।’’ আর্থিক বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শুল্ক নীতিতে দিনে অতিরিক্ত খরচ হবে ১১ কোটি ডলার। একটি আর্থিক বছরে সম্ভাব্য লোকসানের অঙ্ক চার হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

১৩ ২০
গত বছরের নভেম্বরে আমেরিকার গাড়ি নির্মাণ শিল্প নিয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেন বার্নস্টাইন গোষ্ঠীর বিশ্লেষকেরা। সেখানে বলা হয়, স্টেলান্টিস তাদের যানবাহনের ৩৯ শতাংশ তৈরি করে মেক্সিকো এবং কানাডায়। একই ভাবে জেনারেল মোটরস এবং ফোর্ডের যথাক্রমে ৩৬ এবং ১৮ শতাংশ গাড়ি তৈরি হয় ওই দুই দেশে। শুধু তা-ই নয়, উত্তর আমেরিকায় ব্যবহৃত গাড়ির তিন-চতুর্থাংশ মেক্সিকোয় তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমীক্ষকেরা। এর মধ্যে রয়েছে জেটা, টিগুয়ান এবং টাওসের মতো জনপ্রিয় এবং সাশ্রয়ী চার চাকার যানের ব্র্যান্ড।

গত বছরের নভেম্বরে আমেরিকার গাড়ি নির্মাণ শিল্প নিয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেন বার্নস্টাইন গোষ্ঠীর বিশ্লেষকেরা। সেখানে বলা হয়, স্টেলান্টিস তাদের যানবাহনের ৩৯ শতাংশ তৈরি করে মেক্সিকো এবং কানাডায়। একই ভাবে জেনারেল মোটরস এবং ফোর্ডের যথাক্রমে ৩৬ এবং ১৮ শতাংশ গাড়ি তৈরি হয় ওই দুই দেশে। শুধু তা-ই নয়, উত্তর আমেরিকায় ব্যবহৃত গাড়ির তিন-চতুর্থাংশ মেক্সিকোয় তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমীক্ষকেরা। এর মধ্যে রয়েছে জেটা, টিগুয়ান এবং টাওসের মতো জনপ্রিয় এবং সাশ্রয়ী চার চাকার যানের ব্র্যান্ড।

১৪ ২০
 চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন ট্রাম্প। এর পরই কানাডা এবং মেক্সিকোর উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন তিনি। চিনের উপর চাপান ১০ শতাংশ শুল্ক। ইস্পাত এবং অ্যালমুনিয়াম আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্কের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।

চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন ট্রাম্প। এর পরই কানাডা এবং মেক্সিকোর উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন তিনি। চিনের উপর চাপান ১০ শতাংশ শুল্ক। ইস্পাত এবং অ্যালমুনিয়াম আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্কের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।

১৫ ২০
এই ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা পদক্ষেপ করেছে বেজিং। আমেরিকান পণ্যের উপর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে ড্রাগনভূমি। অন্য দিকে মেক্সিকো এবং কানাডার উপর জারি করা শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্ক বৃদ্ধির জেরে এগুলির দাম মার্কিন বাজারে চড়তে শুরু করেছে।

এই ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা পদক্ষেপ করেছে বেজিং। আমেরিকান পণ্যের উপর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে ড্রাগনভূমি। অন্য দিকে মেক্সিকো এবং কানাডার উপর জারি করা শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্ক বৃদ্ধির জেরে এগুলির দাম মার্কিন বাজারে চড়তে শুরু করেছে।

১৬ ২০
এই আবহে আবার পারস্পরিক শুল্ক নীতি চালু করা হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি বলেন, ‘‘যে দেশ আমাদের পণ্যের উপর ঠিক যতটা শুল্ক নেবে, আমরাও তাদের ক্ষেত্রে সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করব। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে।’’ এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রক কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও পারস্পরিক শুল্ক কবে থেকে চালু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এই আবহে আবার পারস্পরিক শুল্ক নীতি চালু করা হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি বলেন, ‘‘যে দেশ আমাদের পণ্যের উপর ঠিক যতটা শুল্ক নেবে, আমরাও তাদের ক্ষেত্রে সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করব। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে।’’ এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রক কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও পারস্পরিক শুল্ক কবে থেকে চালু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

১৭ ২০
প্রথম বার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন শুল্ক সংক্রান্ত নেওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত থেকে পরবর্তী কালে সরে আসেন ট্রাম্প। এ ক্ষেত্রে মেক্সিকো এবং কানাডাকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন তিনি। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পেরু, চিলি এবং কলম্বিয়ার মতো ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলিকেও কিছু জায়গায় বিশেষ ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছিল ওয়াশিংটন।

প্রথম বার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন শুল্ক সংক্রান্ত নেওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত থেকে পরবর্তী কালে সরে আসেন ট্রাম্প। এ ক্ষেত্রে মেক্সিকো এবং কানাডাকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন তিনি। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পেরু, চিলি এবং কলম্বিয়ার মতো ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলিকেও কিছু জায়গায় বিশেষ ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছিল ওয়াশিংটন।

১৮ ২০
একই ভাবে এ বারও মেক্সিকো, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্কে অব্যাহতি চেয়েছে। সদ্য আমেরিকা সফর সেরে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি।

একই ভাবে এ বারও মেক্সিকো, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্কে অব্যাহতি চেয়েছে। সদ্য আমেরিকা সফর সেরে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি।

১৯ ২০
আগামী পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ৫০,০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ভারত এবং আমেরিকার। এ বছরের মধ্যেই সেই সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রফতানি শিল্পমহলের দাবি, এই বাণিজ্য চুক্তি হলে দিনের শেষে আখেরে লাভ হবে নয়াদিল্লির।

আগামী পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ৫০,০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ভারত এবং আমেরিকার। এ বছরের মধ্যেই সেই সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রফতানি শিল্পমহলের দাবি, এই বাণিজ্য চুক্তি হলে দিনের শেষে আখেরে লাভ হবে নয়াদিল্লির।

২০ ২০
২০২৪ সালে দু’পক্ষের বাণিজ্যের বহর ছিল ১৩,০০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। এর মধ্যে ভারতের উদ্বৃত্ত ৪৫০০ কোটি। অর্থাৎ, চুক্তি কার্যকর হলে বাণিজ্যের অঙ্ক চার গুণ হতে পারে। তাতে বিপুল লাভ দেখছে রফতানি সংস্থাগুলি। বিশেষত প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা এবং বিকল্প বিদ্যুতের যন্ত্রাংশ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলির লাভ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০২৪ সালে দু’পক্ষের বাণিজ্যের বহর ছিল ১৩,০০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। এর মধ্যে ভারতের উদ্বৃত্ত ৪৫০০ কোটি। অর্থাৎ, চুক্তি কার্যকর হলে বাণিজ্যের অঙ্ক চার গুণ হতে পারে। তাতে বিপুল লাভ দেখছে রফতানি সংস্থাগুলি। বিশেষত প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা এবং বিকল্প বিদ্যুতের যন্ত্রাংশ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলির লাভ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy