Who is Dagar Tudu, who won Best Actress for a film at 12th Dada Saheb Phalke Film Festival
URL Copied
চিত্র সংবাদ
সাঁওতালি ভাষায় কাজ করে ইতিমধ্যেই তারকা! পুরুলিয়ার এই তরুণী পেয়েছেন বহু পুরস্কার
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ১৬ মে ২০২২ ১৩:২৯
Advertisement
১ / ২০
বয়স মাত্র ২২। পরিচয় অভিনেত্রী এবং গায়িকা। সাঁওতালি এই শিল্পীকে ঘিরেই বর্তমানে নানা কৌতূহল নেটপাড়ার বাসিন্দাদের। তিনি ডগর টুডু।
২ / ২০
রায়গঞ্জের দক্ষিণ সোহারই গ্রামের পরিবেশ ও জাতীয় সড়কের পাশে থাকা একটি অনাথ আশ্রমের প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছিল সাঁওতালি চলচ্চিত্র ‘আশা’।
Advertisement
Advertisement
৩ / ২০
সেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ডগর। যে অভিনয় নজর কাড়ে গুণীজনের। দ্বাদশ দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২২-এ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারও পেয়েছেন ডগর টুডু। যদিও এই পুরস্কারের সঙ্গে কেন্দ্রের দেওয়া ‘দাদা সাহেব ফালকে’ পুরস্কারের সম্পর্ক নেই। এই ছবির প্রযোজক ছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং পরিচালক ছিলেন পল্লব রায়।
৪ / ২০
‘আশা’-র প্রেক্ষাপট বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক আদিবাসী কন্যার জীবনযুদ্ধের লড়াই। সেই চরিত্রটিকে আপন দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন ডগর। ছবিটির শুট্যিং হয়েছিল সোহারই গ্রামে।
Advertisement
৫ / ২০
ডগরের জন্ম ১৮ মে ১৯৯৮। পুরুলিয়ার মানবাজার-১ ব্লকের বাসিন্দা ডগরের আসল নাম ডগরমুনি টুডু।
৬ / ২০
গত ২৯ এপ্রিল ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল ‘আশা’। সেখানে ডগরের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হন অনেকে।
৭ / ২০
সাঁওতাল পরিবারে জন্ম। সাঁওতালি ভাষার বিনোদন জগতে ডগর যথেষ্ট পরিচিত মুখ।
৮ / ২০
শুধু চলচ্চিত্রে অভিনয়ই নয়, সাঁওতালি গানও করেন ডগর। তাঁর বহু মিউজিক ভিডিয়ো জনপ্রিয় হয়েছে।
৯ / ২০
বর্তমানে সাঁওতালি ভাষার বহু ছবি এবং গানের ভিডিয়োয় কাজ করছেন ডগর।
১০ / ২০
বিনোদন জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠার পাশে পড়াশোনা অবহেলা করেননি ডগর। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাঁওতালি ভাষায় স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেছেন।
১১ / ২০
সম্প্রতি সাঁওতালি ভাষার একটি টিভি চ্যানেলের অন্যতম প্রধান মুখ হিসাবেও উঠে এসেছেন ডগর।
১২ / ২০
সব ধরনের পোশাকে স্বচ্ছন্দ হলেও ডগরের সব চেয়ে প্রিয় ঐতিহ্যবাহী সাঁওতালি পোশাক।
১৩ / ২০
পোশাক নিয়ে নিজেই বলেছেন, ‘‘আমাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক যে কোনও ধরনের পরিস্থিতিতেই পরা যায়। নিজে এই পোশাকেই সব চেয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। মনোবল বেড়ে যায়।’’
১৪ / ২০
তাঁর নিজের জগতে পরিচিত হলেও টলিপাড়ায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রথম সারির অনেক পরিচালক, প্রযোজক ডগরের নামই শোনেননি।
১৫ / ২০
শুধু এ দেশের সাঁওতালি সমাজেই নয়, কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশেও তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি বারকোনা গ্রামের বাহা উৎসবেও সঙ্গীত পরিবেশন করে এসেছেন ডগর।
১৬ / ২০
শুধু সিনেমা বা গান করাই নয়, ডগর এক জন ইউটিউবারও। সেখানেও তাঁর লক্ষ্য সাঁওতালি সমাজ। সমাজসেবামূলক বহু প্রকল্পে কাজ করেছেন তিনি। লকডাউন পর্বে দরিদ্র সাঁওতাল পরিবারকে দু’বেলা, দু’মুঠো তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করেছেন।
১৭ / ২০
মাত্র ১২ বছর বয়স থেকে অভিনয় শুরু করেন। ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন সাঁওতালি সমাজে। বহু পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
১৮ / ২০
শুধু গান বা অভিনয়ই নয়, নিজে সাঁওতালি ভাষায় গান লেখেন এবং সুরও করেন ডগর।
১৯ / ২০
সম্প্রতি ওড়িয়া ভাষার মিউজিক ভিডিয়োতেও নিয়মিত দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
২০ / ২০
নেটমাধ্যমে সক্রিয়। ফেসবুকে প্রায় ৩ লক্ষ ফলোয়ার। ইন্সটাগ্রাম এবং টুইটারেও নিজের উপস্থিতি নিয়মিতই জানান দেন।