গভীর সমুদ্র অভিযানের জন্য টাইটানে ৯৬ ঘণ্টার মতো অক্সিজেন মজুত করা থাকে। সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এটি দুমড়ে-মুচড়ে না-ও যেত, তা হলেও সওয়ারিদের মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকত কারণ, টাইটানের হদিস মিলেছে অভিযান শুরুর চার দিন পর। ওই সময়ে ডুবোযানের অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যেত। আর এই অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হতে পারত সওয়ারিদের।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখানোর জন্য টাইটানের প্রথম অভিযান শুরু হয় ২০২১ সালে। এর পর ২০২২ সালে আরও এক বার অভিযান চালায় ওশানগেট সংস্থা। বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে আমেরিকার আদালতে ওশানগেট দাবি করেছিল, টাইটানের ৫০ বার পরীক্ষামূলক অভিযান চালানো হয়েছে। সেই অভিযানের তালিকায় টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষও ছিল।
ওশানগেট আরও দাবি করেছিল যে, ২০২১ এবং ’২২ সালে মোট ৪৬ জন অভিযাত্রীকে সফলমূলক ভাবে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করিয়ে আনা হয়েছিল টাইটান ডুবোযানে। সংস্থাটি আরও দাবি করেছিল যে, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই ডুবোযানটি ভেসে ওঠার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিরও ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও টাইটানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ওশানগেটকে।
সমুদ্রের উপরে থাকা সহযোগী জাহাজ ‘পোলার প্রিন্স’কে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর সিগন্যাল পাঠানোর কথা ছিল টাইটানের। কিন্তু দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ টাইটানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে টাইটানের ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও টাইটান না ফেরায় আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে খবর পৌঁছয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy