Advertisement
E-Paper

পাহাড়চুড়োয় যখন প্রথম আট বাঙালি মেয়ে

আট বাঙালি মেয়ে গিয়েছিল রন্টি পর্বতশৃঙ্গ অভিযানে। ভারতে সেটাই প্রথম মেয়েদের শিখর ছোঁয়া। গত কাল সেই অভিযান নিঃশব্দে পূর্ণ করল ৫০ বছর।আট বাঙালি মেয়ে গিয়েছিল রন্টি পর্বতশৃঙ্গ অভিযানে। ভারতে সেটাই প্রথম মেয়েদের শিখর ছোঁয়া। গত কাল সেই অভিযান নিঃশব্দে পূর্ণ করল ৫০ বছর।

তিয়াষ মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৫৭
ছবি: কুনাল বর্মণ

ছবি: কুনাল বর্মণ

প্র কাণ্ড বুটজোড়ার ডগায় শরীরের সর্বশক্তি জড়ো করে বরফে গাঁথতে গাঁথতে কয়েক মাস আগের রাতটা হঠাৎই মনে পড়ে গিয়েছিল। এক বালতি আলকাতরা আর মোটা তুলি হাতে নিয়ে, মই বেয়ে বড় গেটটার মাথায় চড়েছে মেয়ে। ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি রোয়িং ক্লাবের গেট। প্রতিষ্ঠানের নামের পাশে বড় বড় করে মেয়ে লিখছে, ‘ওনলি ফর বয়েজ’। কয়েক দিন আগে ভর্তি হতে চেয়ে বারবার ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেয়ে। হাজার কাকুতি-মিনতিতেও কাজ হয়নি। কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব ছিল, ‘‘এ সব স্পোর্টস মেয়েদের জন্য নয়।’’

এই ‘মেয়েদের জন্য নয়’ শব্দবন্ধটার প্রতি তুমুল রাগ থেকেই পাহাড় পাড়ি দিয়েছিল মেয়ে। একা নয়। তারই মতো আরও সাত দামাল কন্যার সঙ্গে। দীপালি সিংহ। ১৯৬৭ সালে, গঢ়বাল হিমালয়ের রন্টি শৃঙ্গ অভিযানের দলনেত্রী। পূর্ব ভারতের প্রথম অসামরিক মহিলা দলের পর্বতারোহণের ইতিহাসের স্রষ্টা। তাঁর নেতৃত্বেই ৫০ বছর আগে রন্টি শৃঙ্গে সফল অভিযান করেছিল আট বাঙালি মেয়ের একটি দল। সেটিই বাঙালি মহিলাদের প্রথম শৃঙ্গজয়। সেই কথা তুললে আজও স্মৃতির আলো ঝকঝক করে ওঠে তাঁর ৭২ বছর বয়সি দুই চোখে।

লালপাড় সাদা শাড়ি পরা স্কুল-জীবনে ‘মাউন্টেনিয়ারিং’ শব্দটাও জানতেন না দীপালি। শ্রীশিক্ষায়তন কলেজে পৌঁছেই পেয়েছিল এনসিসি-তে যোগ দেওয়ার সুযোগ। আর সেই সঙ্গেই অনুশাসন, নীতি, নিয়মে আবদ্ধ জীবনের বাইরে, বেঁচে থাকার অন্য স্বাদ। ‘‘১৯৬৪ সালে যখন বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স করতে পাঠাল এনসিসি থেকে, বাড়িতে কান্নাকাটির দশা। ঠাকুমা বলেছিল, এক মাস বাড়ির বাইরে থাকবে মেয়ে, বিয়ে দেব কী করে! পাড়াপড়শিদেরও একই চিন্তা,’’ বললেন দীপালি। বাবা দেবেন্দ্রচন্দ্র সিংহকে সে সময় পাশে পেয়েছিলেন। সকলকে বুঝিয়ে, রাজি করিয়ে তিনি মেয়েকে পাহাড়ে পাঠিয়েছিলেন।

ওই কোর্স করতে গিয়েই দেখা মিলেছিল আনন্দবাজার পত্রিকার মাউন্টেনিয়ারিং ক্লাব ‘পর্বত অভিযাত্রী সংঘ’-এর সদস্যদের সঙ্গে। কাবরু ডোম শৃঙ্গ অভিযানে গিয়েছিলেন তাঁরা। টেন্ট-ভর্তি রাশি রাশি চকলেট, বিস্কুটের পাহাড় দেখে মনে মনে ঠিক করেছিলেন, শৃঙ্গে চড়তেই হবে, যে ভাবে হোক। ‘‘কিন্তু তখন জানতাম না, এত টাকা লাগে। আর সেই টাকা যাঁর কাছেই চাইতে যাই, শুনতে হয়— নাচগান শেখো, খেলতে হলে বড়জোর টেনিস খেলো। পাহাড় কেন? আসল অভিযান পাহাড়ে নয়, সমতলেই করতে হয়েছিল। আমরাও পারি চেষ্টা করলেই, এই কথাটা মানুষকে বিশ্বাস করানোর অভিযান,’’ বলতে বলতে হেসে ফেললেন দীপালি।

কিন্তু অর্ধশতক পরে, আজও যে নাচ-গান-টেনিসের বাইরে মেয়েদের বিচরণভূমি তৈরি করতে দেওয়া হচ্ছে না, সে নিয়ে তীব্র আক্ষেপ দীপালির। তাঁর স্পষ্ট মত, মেয়েদের যে ভাবে ঠেকিয়ে রাখা হয়, সেটা সামাজিক কৃত্রিমতা। ‘‘একটা মেয়েকে পাহাড়ে যাওয়ার জন্য যে বাধা আজও সহ্য করতে হয়, সে পরিমাণ উৎসাহ যদি সে পেত, তবে পর্বতারোহণের ইতিহাসে মেয়েদের জায়গাটাই অন্য রকম হত,’’ বলছিলেন দীপালি।

১৯৬৭ সালে দীপালির হাত ধরে তৈরি হল ‘পথিকৃৎ মহিলা পর্বতারোহণ সংস্থা’। দীপালির বাবা, দেবেন্দ্রচন্দ্র সিংহর ইতিবাচক মনোভাব ছাড়া যা সম্ভব হত না। সেই ক্লাবের তরফেই প্রথম বাঙালি মহিলা অভিযানের দিকে পা বাড়াল এক দল বাঙালি মেয়ে। তত দিনে পর্বতারোহণের অ্যাডভান্সড কোর্স করা হয়ে গেছে দীপালির। হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের খাতা দেখে জোগাড় করেছেন কিছু বাঙালি মেয়ের নাম। এমনি ভাবেই স্বপ্না মিত্র (চৌধুরী), লক্ষ্মী পাল, শীলা ঘোষ, সুজয়া গুহ, স্বপ্না নন্দী, সুদীপ্তা সেনগুপ্ত (পরে দক্ষিণ মেরু অভিযান করে বিখ্যাত), ইন্দিরা বিশ্বাস জড়ো হলেন পথিকৃতে।

২০,৭০০ ফুট উচ্চতার নন্দাঘুন্টি অভিযানের প্রস্তুতি সারা। সব ঠিকঠাক। দিন দশেক আগে ইন্ডিয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ফাউন্ডেশন (আইএমএফ) নির্দেশ দিল, অত বড় শৃঙ্গে মেয়েদের যাওয়া চলবে না! চোখে অন্ধকার নেমে আসার আগেই উদ্ধারকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেতা প্রফুল্ল সেন। নিজে হাতে চিঠি লিখে দীপালি আর সুদীপ্তাকে সোজা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর কাছে। দীপালির কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যে সে দিন বিষয়টাকে অতটা গুরুত্ব দেবেন, নিজে সেই মুহূর্তে আইএমএফ-কে নির্দেশ দেবেন অভিযান বাতিল না-করার, তা আমাদের ভাবনার অতীত ছিল।’’ সে দিন প্রধানমন্ত্রীর ওই তৎপরতা অবাক করেছিল তাঁদের।

শীর্ষে: আনন্দবাজার পত্রিকায় বঙ্গকন্যাদের সাফল্যের খবর। ৩১ অক্টোবর ১৯৬৭

তবে নন্দাঘুন্টি নয়, ঠিক হল রন্টি শৃঙ্গে অভিযান করতে পারবেন দীপালিরা। রন্টি কেন? উচ্চতা ২০ হাজার ফুটের কম। ১৯ হাজার ৯০০ ফুট। নন্দাঘুন্টি আর রন্টির মাঝের ওই আটশো ফুট উচ্চতাটুকু মেয়েদের অলঙ্ঘনীয় বলে মনে করেছিলেন আইএমএফ-এর তৎকালীন কর্তারা।

১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর, মহাষষ্ঠীর দিন পা বাড়িয়েছিলেন আট পার্বতী। অত দিন আগে, এত আধুনিক ছিল না যোগাযোগ ব্যবস্থা, আধুনিক ছিল না পর্বতারোহণের পদক্ষেপগুলো। প্রতিটা বাধা পেরিয়ে, শেরপা পাসাং ফুতারকে নিয়ে শুরু হয় অভিযান। বেসক্যাম্প যাওয়ার পথে হঠাৎই মালপত্র নামিয়ে রেখে বিদ্রোহ করে বসেন পোর্টাররা। বুঝিয়ে রাজি করানোই দায়। ‘‘ভয় পাওয়ার দরকার ছিল না, কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাব বেশির ভাগ সময়েই ভয় ডেকে আনে। আমাদেরও সেটাই হয়েছিল। ছোটখাটো সব বিষয়ে ভয় পেতাম, অভিযান না বাতিল হয়!’’ বললেন দীপালি।

পাশে ছিল আনন্দবাজার পত্রিকা। অভিযানের প্রস্তুতি থেকে শৃঙ্গ ছুঁয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত প্রতিটি পর্বের বিবরণকে দলিল করে রেখেছিল এই সংবাদপত্র। আনন্দবাজারের পর্বত অভিযাত্রী সংঘও তখন সাহায্য করেছিল দীপালিদের। ডানপিটে এই মেয়েদের বেশ স্নেহ করতেন তৎকালীন মুখ্য সম্পাদক অশোককুমার সরকার। দীপালির বক্তব্য, ‘‘আমরা, অভিযাত্রী মেয়েরা রীতিমত দাপিয়ে বেড়াতাম ওই বাড়ির ভিতরে। অভিযোগ-আবদারের সম্পর্ক ছিল অশোককুমার সরকার, গৌরকিশোর ঘোষের সঙ্গে।’’

এসেছিল আরও বাধা। তখন এত হালকা জুতো নেই। পাহাড়ে রান্না-খাওয়ার আধুনিক সরঞ্জামও ছিল না। নেই যথেষ্ট ভাল শীতপোশাক। দীপালি বলছিলেন, অভিযানে ভয় ছিল, কিন্তু মেয়ে হওয়ার আক্ষেপ কখনও নয়। গোটা অভিযানে একটা বারের জন্যও কারও মনে হয়নি, মেয়ে হওয়ার কারণে এই অভিযানের পথ বেশি কঠিন লাগছে।

বরং যত বার সমতলের সামাজিক বাধাগুলোর কথা মনে পড়েছে, দাঁতে দাঁত চেপে স্বপ্নটাকে ধরে রেখেছেন ওঁরা। দীপালি আজও বলেন, ‘‘জানতাম, পারতে আমাদের হবেই। এটা আমাদের একার নয়, বহু বাঙালি মেয়ের পারার লড়াই।’’ না পারারই বা কী আছে! পর্বতারোহণের কোর্সে ছেলেদের যে পথে, যে ভাবে চড়তে শেখানো হয়, মেয়েদের ক্ষেত্রেও তাই। ছেলেদের পিঠের স্যাকে যতটা ওজন বইতে হয়, মেয়েদের ক্ষেত্রেও তাই।

স্বপ্ন সত্যি হয়েছিল ২৮ অক্টোবর। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মেঘলা আকাশে ভয়-ভয় চোখ রেখে তাঁবু ছেড়ে বেরিয়েছিলেন চার জন। স্বপ্না মিত্র, স্বপ্না নন্দী, লক্ষ্মী পাল, শীলা ঘোষ। ঘণ্টা দুয়েক ঠিকঠাক এগনোর পরেই শুরু তুষারপাত। কোমর অবধি বরফ ঠেলে এগোচ্ছেন সবাই। ক্লান্তিতে অবসন্ন শরীর। ‘‘ওরা তিন জন পারল না, শরীর খুব খারাপ করছিল ওদের। এ দিকে এক মুহূর্তের জন্য থামছে না বরফের কুচি-মেশা ঝোড়ো হাওয়া,’’ বলছিলেন স্বপ্না মিত্র। শেরপারা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘পারবে তো, স্বপ্না?’’

বিজয়িনী: ১৯৬৭ সালের রন্টি শৃঙ্গ অভিযানের মেয়েরা। তখনকার অ্যালবাম থেকে

তার কয়েক বছর আগে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে তেনজিং নোরগে নিজের হাতে ধরে পাহাড় চড়ার খুঁটিনাটি শিখিয়েছিলেন স্বপ্নাকে। ওই প্রশিক্ষণের সেরা ছাত্রী হয়েছিলেন তিনি। ‘‘আমার ভয় করেনি একটুও। শারীরিক ভাবে সুস্থ ছিলাম। আর মানসিক ভাবে জেদ ধরেছিলাম, শৃঙ্গ ছুঁতেই হবে,’’ বলছিলেন স্বপ্না।

দুপুর হয়ে এসেছে। শেষ কয়েকশো মিটারের প্রাণান্তকর চড়াই ভাঙছেন স্বপ্না। আবহাওয়া তখন তুমুল খারাপ। তুষারপাতে সাদা হয়ে আছে দৃষ্টি। সেই সঙ্গে হাওয়ার কামড়। হঠাৎই তুষারধস! ‘‘ওই ধসটা বড় মাপের হলে হয়তো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা দিয়ে শেষ হতো অভিযান। কিন্তু শেষ অবধি পাহাড়ের ঢাল বেয়ে অনেকটা গড়িয়ে পড়েও সামলে নিয়েছিলাম আমরা। আইস অ্যাক্স দিয়ে আটকে ফেলেছিলাম নিজেদের,’’ এখনও উত্তেজনার ছাপ স্পষ্ট স্বপ্নার গলায়।

শেষ পর্যন্ত একাই পেরেছিলেন স্বপ্না মিত্র। ২৮ অক্টোবর বেলা দু’টো বেজে পঁয়তাল্লিশ। রন্টি শৃঙ্গের চুড়োয় বাঙালি মেয়ের হাতে
উড়ল পতাকা। ভারতের পতাকা। দলনেত্রী দীপালির স্বপ্ন, বহু দূরের এক শহরে অপেক্ষা করে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষীদের আশীর্বাদ সত্যি করে, লেখা হল ইতিহাস।

হাওড়ায় নামার পর অবিরল জনস্রোত। চারিদিকে শুধু মাথা ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছে না। সারা শহর যেন স্টেশনে ভেঙে প়ড়ে়ছিল, স্বপ্ন-ছোঁয়া মেয়ের দলকে এক ঝলক দেখবে বলে। ‘‘ফুল-মিষ্টি-কার্ডের কথা তো ছেড়েই দিলাম। বাসে করে গোটা কলকাতা শহর ঘোরানো হয়েছিল আমাদের। বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়ে গিয়েছিল,’’ আজও গর্ব ঝরে পড়ে দীপালির গলার স্বরে।

তবে এতটা গর্ব ধরে রাখতে না-পারার আক্ষেপটা আজও তাঁকে কুরে কুরে খায়। ১৯৭৪ সালে বিয়ের পর থেকে প্রায় বছর দশেক পাহাড়-ছাড়া ছিলেন দীপালি। ১৯৮৭ সালে রুদ্রগয়রা অভিযান করেছিলেন, প্রথম মহিলা অভিযানের কুড়ি বছর পূর্তি উপলক্ষে। ‘‘চেয়েছিলাম আরও অনেক মেয়েকে তৈরি করতে, চেয়েছিলাম অনেকে এগিয়ে আসুক। নিজের ফাউন্ডেশনও তৈরি করেছি। কিন্তু টাকা কই? আর, তেমন জেদি মেয়েই বা কই,’’ গলার স্বরে হতাশা চাপা থাকে না।

দীপালির অভিজ্ঞতা বলে, বাইরের জগতের সঙ্গে এখন মেয়েদের পরিচয়টা অনেক বেশি। কিন্তু একটা মেয়ের পর্বতারোহণের ক্ষেত্রে তার উপর চাপিয়ে দেওয়া পারিবারিক আর সামাজিক বাধার ধরনটা এই এত বছর পরেও তেমন বদলায়নি। দীপালি বলছিলেন, সে ভাবে দেখতে গেলে পর্বতারোহণ বিষয়টি সহজ হয়েছে আগের থেকে, এ কথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। পাহাড় চড়ার উপকরণ— স্নো-বুট, রুকস্যাক, আইস অ্যাক্স— বা অন্যান্য বন্দোবস্ত, সব কিছুতেই আগের থেকে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে। কিন্তু সব রকম ‘না’কে নিজের জেদে পার করে এগিয়ে আসার সাহস তেমন করে দেখাতে পারছে না মেয়েরা। ছন্দা গায়েন, টুসি দাস এভারেস্ট আরোহণ করেছেন বলে হয়তো মানুষের কাছে পরিচিত। কিন্তু এঁদের বাইরে আর ক’টা মেয়ের নাম জেনেছে আমাদের চারপাশের সমাজ, সাধারণ মানুষ?

এর বড় কারণ, এখনও পর্যন্ত সব কিছুতেই ‘মেয়েরা পারবে না’ এই ট্যাগলাইন ঝুলছে। ‘‘আগে মেয়েদের সুযোগটা দিয়ে তো দেখো, পারে কি না! না-পারার স্বাদটাও পেতে দাও ওদের! আগে থেকে ‘পারবে না’ শিকলে পা বেঁধে রাখার মানে কী,’’ ঝাঁঝিয়ে ওঠেন দীপালি। সেই পঞ্চাশ বছর আগের চেনা ঝাঁজ, যাকে সঙ্গী করে সমাজের যাবতীয় ছক ভেঙে পাহাড়পথে এগিয়েছিল এক দল সাহসী বাঙালি মেয়ে।

Ronti Saddle Trek Ladies
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy